কোপা আমেরিকার সেমি ফাইনালে নেইমারের অসাধারণ নৈপুণ্যে পেরুকে হারিয়েছে ব্রাজিল। নিশ্চিত করেছে টানা দ্বিতীয় কোপা আমেরিকা ফাইনাল। লুকাস পাকুয়েতার জয়সূচক গোলে নেইমারের অবদান কম নয়। পেরুর তিন ডিফেন্ডারের মধ্য দিয়ে যেভাবে বল বের করেছেন, সেটি দুর্দান্ত। শিরোপার মঞ্চে নেইমার চাইলেন লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনাকে।
কোপা ফাইনালে সুপার ক্লাসিকোর মঞ্চ প্রায় প্রস্তুত। বুধবার কলম্বিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা জয় পেলেই স্বপ্নের ফাইনাল। শিরোপার লড়াইয়ে নেইমার মুখিয়ে রয়েছেন বন্ধু লিওনেল মেসির সঙ্গে দ্বৈরথে নামার।
নেইমার বলেন, ‘ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে চাই। সেখানে আমার বন্ধু রয়েছে। তাদের সঙ্গে আমি আনন্দ করতে চাই। ফাইনালে অবশ্য ব্রাজিলই জিতবে।’
বার্সেলোনায় পাঁচ বছর খেলেছেন মেসির সঙ্গে। সেখান থেকে পিএসজিতে নাম লেখালেও মেসির সঙ্গে বন্ধুত্বের বন্ধন রয়েছে অটুট। পিএসজিতেও নেইমারের রয়েছে আর্জেন্টাইন সতীর্থ- আনহেল ডি মারিয়া ও লেয়ান্দ্রো পারেদেস।
ব্রাজিলের জার্সিতে নেইমারের অর্জন ২০১৩ সালের কনফেডারেশনস কাপ। ইনজুরির কারণে ২০১৯ কোপা আমেরিকাজয়ী ব্রাজিল দলের সদস্য হতে পারেননি নেইমার। সেই আক্ষেপ ঘোচানোর মিশনে দারুণ ছন্দে রয়েছে ২৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। বিশ্বের সবচেয়ে দামী ফুটবলার চলমান কোপায় করেছেন ২ গোল ও ৩ অ্যাসিস্ট। ব্রাজিল সেমিফাইনাল ও ফাইনালে উঠেছে নেইমার-লুকাস পাকুয়েতা জুটিতে ভর করে। সেমিফাইনালের মতো কোয়ার্টার ফাইনালেও পাকুয়েতা গোল করেছিলেন নেইমারের বাড়ানো বলে। ফরাসি ক্লাব অলিম্পিক লিঁও’র ফর্মটা জাতীয় দলে টেনে এনেছেন পাকুয়েতা। গত মৌসুমে ১০ গোল ও ৭ অ্যাসিস্ট ২৩ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারের।
কোপা আমেরিকায় নামার আগে খেলা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে গোল করেছিলেন। কোপায় সেমিফাইনালে মাঠে ছিলেন পুরো ৯০ মিনিট। বাকি চার ম্যাচের কোনোটাতেই মাঠে ছিলেন না পুরোটা সময়। তাতেই ২ গোল। দুটিই গুরুত্বপূর্ণ দুই ম্যাচে। পাকুয়েতা তাই ব্রাজিলের ভরসা হয়ে উঠেছেন।
জাতীয় দলে মাত্র ২০ ম্যাচ খেলা এই মিডফিল্ডারকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত নেইমার, ‘পাকুয়েতা দুর্দান্ত ফুটবলার। প্রতিটি ম্যাচেই সে আরও ভালো হয়ে উঠছে। ক্লাবের হয়ে দুর্দান্ত একটি মৌসুম কেটেছে তার এবং এখানেও দেখাচ্ছে যে, ব্রাজিলের হয়ে সে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার হতে পারে।’