Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় আওয়ামী লীগ, এবার ওয়াক ওভার পাবে না : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় এমন অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এবার আর তারা ওয়াকওভার পাবে না। এ দেশের জনগণ আর তা হতে দেবে না।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৬তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে উত্তরবঙ্গ ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা প্রায়ই বলে যে, বিএনপি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করছে। ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত তো তোমরা করছো। এই দেশের মানুষের সমস্ত অধিকারগুলোকে কেড়ে নিয়েছো। আবারও সেই ভোটের দিকে যেতে চাও যেন আগের মতোই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফাঁকা মাঠে ট্রফি নিয়ে চলে যেতে পারো। কিন্তু এদেশের মানুষ এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তেমনটি আর করতে দেওয়া হবে না।

ফখরুল বলেন, কথা বেশি নয়, কথা একটাই- এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে। যতই চেষ্টা করুক শেখ হাসিনা, সে এককভাবে নির্বাচন করতে পারবে না, এটা আমি বলে গেলাম। জয় নিশ্চিত, কারণ আমরা সত্যের পক্ষে আছি। জয় আমাদের হবেই।

তিনি বলেন, এই সরকার একটি লক্ষ্য নিয়েছে। যারা বিরুদ্ধে কথা বলবে, আন্দোলন করবে, তাদের জেলে ঢুকিয়ে গ্রেপ্তার করে সরকার স্তব্ধ করতে করতে চায়। কিন্তু এগুলো করে জনগণের আন্দোলন থামাতে পারবে না। এ আন্দোলনে জয়ী হতে হবে, আন্দোলন করে এদের পতন ঘটানো ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, আসুন আমরা পণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাই, এছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলনকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ হিসেবে অভিহিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা লড়াই করছি ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটানোর জন্য, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য। এই সরকার স্বাধীনতার যে অর্জন সব নষ্ট ও ধ্বংস করে ফেলেছে। তারা এ দেশের আত্মাকে নষ্ট করেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার একটি লক্ষ্য নিয়েছে, যারা এদের বিরুদ্ধে কথা বলবে, আন্দোলন করবে, তাদের জেলে ঢুকিয়ে, গ্রেফতার করে স্তব্ধ করতে করতে চায়। কিন্তু এগুলো করে জনগণের আন্দোলন থামাতে পারবে না। এই আন্দোলনে বিজয়ী হতে হবে, আন্দোলন করে এদের পতন ঘটানো ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই।

তিনি আরও বলেন, নেতাকর্মীরা আন্দোলনকে এমন একটি পর্যায় নিয়ে গেছে যে, সরকার এখন প্রমাদ গুনছে, সরকার ভয় পেয়েছে। ভয় পাওয়ার কারণে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে কীভাবে গণতন্ত্রের সৈনিকদের পর্যদুস্ত করা যায়। কিছুদিন আগেও সরকার বলেছে, বিএনপি নেই। এখন যখন বিএনপি মাটি খুঁড়ে বেরোচ্ছে তখন তারা আবার প্রমাদ গুনতে শুরু করেছে। তাই আজকে লক্ষ্য একটাই— আন্দোলন-সগ্রামে বিজয় অর্জন করে ফিরে আসতে হবে।

সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত একটা খবর আমাকে তাড়িত করেছে। একজন ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ল’ পাস করে আইনজীবী হিসেবে জয়েন করেছে। আদালতে সে সিনিয়রের কাছ থেকে পাঁচশ টাকা করে পায়। তাতে তার সংসার চলে না, পরিবারের ভরণপোষণও করতে পারে না। সেজন্য শুক্র ও শনিবার মোটরসাইকেল রাইড করে। সে একটি রুটি ও একটি ডিম খেতে পারে না ঠিকমতো। এই হচ্ছে দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা, এটাই দেশের সত্যিকার চিত্র।

মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের (সরকার) পকেটে টাকা ভরেছে, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে, বাড়ি-ঘর তৈরি করেছে। সেটিকে বজায় রাখার জন্য তারা ক্ষমতাকে অন্যায় ও বেআইনিভাবে জোর করে দখল করে রাখতে চায়।

তরুণ ও যুবকদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কথা একটাই এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। আপনারা উঠে আসুন। প্রতিরোধ গড়ে তুলন। এই ভয়াবহ শক্তি আমাদের জাতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, ভবিষ্যতকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, রাষ্ট্রকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করেছে। সেই ভয়াবহ সরকারকে অবশ্যই প্রতিরোধ করে দমন করতে হবে। আমাদের বিজয় লাভ করতে হবে। আসুন আমরা সেই জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যাই।

রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ বলে জানিয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। ডাক্তার বলেছেন ওনাকে দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করানোর জন্য। কিন্তু এই সরকার অনুমতি দিচ্ছে না। খালেদা জিয়াকে এ সরকার গৃহবন্দি করে রেখেছে।

তারেক রহমানের প্রশংসা করে তিনি বলেন, তারেক কে? তিনি হলেন, স্বাধীনতার ঘোষক, এ দেশের সর্বপ্রথম রাষ্ট্রপতি, দেশের প্রবর্তক, আধুনিক রাষ্ট্রের রূপকার, জিয়াউর রহমান এবং এ দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বড় সন্তান।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, কবিরা লিখছেন, সব দেশের রানী আমার জন্মভূমি। কিন্তু এখন দেশে কেউ থাকতে পারে না। চায় না। কারণ যে দেশে রাজত্ব করে পাপীরা, সে দেশ আর ভালো মানুষ থাকতে পারে না। এমনই এক অবস্থা যাচ্ছে দেশে।

গয়েশ্বর বলেন, প্রতিদিন কোর্টের লোহার শিকলে গিয়ে দাঁড়াতে হচ্ছে, পুলিশ এক দাসত্ব বাহিনী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। বিচারকরা অতিদ্রুত আমাদের সাজা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন, যাতে আমাদের জেলে ঢুকিয়ে আগের মতো নির্বাচন করতে পারেন। এজন্য আমাদের কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, সবাই এখন এমপি আর মন্ত্রী হতে চায়, কিন্তু দেশটা বাঁচাতে চায় কয়জন? স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে এত নেতা ছিল না। কিন্তু আমরা তখনও বিজয়ী হতে পেরেছিলাম। এখন তো নেতা বেশি, কেউ কাজ করে না, ছাত্রদের তো আন্দোলনে দেখি না।

গয়েশ্বর বলেন, যতই চেষ্টা করুক শেখ হাসিনা, তিনি এককভাবে নির্বাচন করতে পারবেন না, এটা আমি বলে গেলাম।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজ প্রমাণিত হয়েছে, কেন সেদিন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাদের টার্গেট হয়েছিলেন। সেটা আজ প্রমাণিত। তখন তারেক রহমান শুধু দেশে নয় আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্রকারীদের চোখের শূল হয়েছিলেন। এজন্য তার ওপর জুলুম নির্যাতন করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার পরই তারেক রহমান, এ কারণেই তার ওপর এত নির্যাতন। এখনও সে ষড়যন্ত্র থেমে যায়নি, চালু আছে।

উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরামের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, নির্বাহী কমিটির সদস্য ফজলুল রহমান খোকন, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, মহিলা দলের বিলকিস ইসলাম, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আরিফা সুলতানা রুমা, স্বেচ্ছাসেবক দলের নাজমুল হাসান, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ফেনীর তিন নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কাজ এক নম্বর হতে হবে : ফারুক-ই-আজম

ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় আওয়ামী লীগ, এবার ওয়াক ওভার পাবে না : ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৯:১১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় এমন অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এবার আর তারা ওয়াকওভার পাবে না। এ দেশের জনগণ আর তা হতে দেবে না।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৬তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে উত্তরবঙ্গ ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা প্রায়ই বলে যে, বিএনপি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করছে। ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত তো তোমরা করছো। এই দেশের মানুষের সমস্ত অধিকারগুলোকে কেড়ে নিয়েছো। আবারও সেই ভোটের দিকে যেতে চাও যেন আগের মতোই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফাঁকা মাঠে ট্রফি নিয়ে চলে যেতে পারো। কিন্তু এদেশের মানুষ এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তেমনটি আর করতে দেওয়া হবে না।

ফখরুল বলেন, কথা বেশি নয়, কথা একটাই- এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে। যতই চেষ্টা করুক শেখ হাসিনা, সে এককভাবে নির্বাচন করতে পারবে না, এটা আমি বলে গেলাম। জয় নিশ্চিত, কারণ আমরা সত্যের পক্ষে আছি। জয় আমাদের হবেই।

তিনি বলেন, এই সরকার একটি লক্ষ্য নিয়েছে। যারা বিরুদ্ধে কথা বলবে, আন্দোলন করবে, তাদের জেলে ঢুকিয়ে গ্রেপ্তার করে সরকার স্তব্ধ করতে করতে চায়। কিন্তু এগুলো করে জনগণের আন্দোলন থামাতে পারবে না। এ আন্দোলনে জয়ী হতে হবে, আন্দোলন করে এদের পতন ঘটানো ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, আসুন আমরা পণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাই, এছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলনকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ হিসেবে অভিহিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা লড়াই করছি ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটানোর জন্য, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য। এই সরকার স্বাধীনতার যে অর্জন সব নষ্ট ও ধ্বংস করে ফেলেছে। তারা এ দেশের আত্মাকে নষ্ট করেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার একটি লক্ষ্য নিয়েছে, যারা এদের বিরুদ্ধে কথা বলবে, আন্দোলন করবে, তাদের জেলে ঢুকিয়ে, গ্রেফতার করে স্তব্ধ করতে করতে চায়। কিন্তু এগুলো করে জনগণের আন্দোলন থামাতে পারবে না। এই আন্দোলনে বিজয়ী হতে হবে, আন্দোলন করে এদের পতন ঘটানো ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই।

তিনি আরও বলেন, নেতাকর্মীরা আন্দোলনকে এমন একটি পর্যায় নিয়ে গেছে যে, সরকার এখন প্রমাদ গুনছে, সরকার ভয় পেয়েছে। ভয় পাওয়ার কারণে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে কীভাবে গণতন্ত্রের সৈনিকদের পর্যদুস্ত করা যায়। কিছুদিন আগেও সরকার বলেছে, বিএনপি নেই। এখন যখন বিএনপি মাটি খুঁড়ে বেরোচ্ছে তখন তারা আবার প্রমাদ গুনতে শুরু করেছে। তাই আজকে লক্ষ্য একটাই— আন্দোলন-সগ্রামে বিজয় অর্জন করে ফিরে আসতে হবে।

সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত একটা খবর আমাকে তাড়িত করেছে। একজন ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ল’ পাস করে আইনজীবী হিসেবে জয়েন করেছে। আদালতে সে সিনিয়রের কাছ থেকে পাঁচশ টাকা করে পায়। তাতে তার সংসার চলে না, পরিবারের ভরণপোষণও করতে পারে না। সেজন্য শুক্র ও শনিবার মোটরসাইকেল রাইড করে। সে একটি রুটি ও একটি ডিম খেতে পারে না ঠিকমতো। এই হচ্ছে দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা, এটাই দেশের সত্যিকার চিত্র।

মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের (সরকার) পকেটে টাকা ভরেছে, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে, বাড়ি-ঘর তৈরি করেছে। সেটিকে বজায় রাখার জন্য তারা ক্ষমতাকে অন্যায় ও বেআইনিভাবে জোর করে দখল করে রাখতে চায়।

তরুণ ও যুবকদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কথা একটাই এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। আপনারা উঠে আসুন। প্রতিরোধ গড়ে তুলন। এই ভয়াবহ শক্তি আমাদের জাতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, ভবিষ্যতকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, রাষ্ট্রকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করেছে। সেই ভয়াবহ সরকারকে অবশ্যই প্রতিরোধ করে দমন করতে হবে। আমাদের বিজয় লাভ করতে হবে। আসুন আমরা সেই জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যাই।

রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ বলে জানিয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। ডাক্তার বলেছেন ওনাকে দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করানোর জন্য। কিন্তু এই সরকার অনুমতি দিচ্ছে না। খালেদা জিয়াকে এ সরকার গৃহবন্দি করে রেখেছে।

তারেক রহমানের প্রশংসা করে তিনি বলেন, তারেক কে? তিনি হলেন, স্বাধীনতার ঘোষক, এ দেশের সর্বপ্রথম রাষ্ট্রপতি, দেশের প্রবর্তক, আধুনিক রাষ্ট্রের রূপকার, জিয়াউর রহমান এবং এ দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বড় সন্তান।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, কবিরা লিখছেন, সব দেশের রানী আমার জন্মভূমি। কিন্তু এখন দেশে কেউ থাকতে পারে না। চায় না। কারণ যে দেশে রাজত্ব করে পাপীরা, সে দেশ আর ভালো মানুষ থাকতে পারে না। এমনই এক অবস্থা যাচ্ছে দেশে।

গয়েশ্বর বলেন, প্রতিদিন কোর্টের লোহার শিকলে গিয়ে দাঁড়াতে হচ্ছে, পুলিশ এক দাসত্ব বাহিনী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। বিচারকরা অতিদ্রুত আমাদের সাজা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন, যাতে আমাদের জেলে ঢুকিয়ে আগের মতো নির্বাচন করতে পারেন। এজন্য আমাদের কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, সবাই এখন এমপি আর মন্ত্রী হতে চায়, কিন্তু দেশটা বাঁচাতে চায় কয়জন? স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে এত নেতা ছিল না। কিন্তু আমরা তখনও বিজয়ী হতে পেরেছিলাম। এখন তো নেতা বেশি, কেউ কাজ করে না, ছাত্রদের তো আন্দোলনে দেখি না।

গয়েশ্বর বলেন, যতই চেষ্টা করুক শেখ হাসিনা, তিনি এককভাবে নির্বাচন করতে পারবেন না, এটা আমি বলে গেলাম।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজ প্রমাণিত হয়েছে, কেন সেদিন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাদের টার্গেট হয়েছিলেন। সেটা আজ প্রমাণিত। তখন তারেক রহমান শুধু দেশে নয় আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্রকারীদের চোখের শূল হয়েছিলেন। এজন্য তার ওপর জুলুম নির্যাতন করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার পরই তারেক রহমান, এ কারণেই তার ওপর এত নির্যাতন। এখনও সে ষড়যন্ত্র থেমে যায়নি, চালু আছে।

উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরামের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, নির্বাহী কমিটির সদস্য ফজলুল রহমান খোকন, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, মহিলা দলের বিলকিস ইসলাম, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আরিফা সুলতানা রুমা, স্বেচ্ছাসেবক দলের নাজমুল হাসান, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।