Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে ভেঙে পড়লো ৫ কোটি টাকার নির্মাণাধীন ব্রিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়ের মাঝিকান্দা তালমার খালের ওপর প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণাধীন একটি ব্রিজ ভেঙে পড়েছে।

শনিবার (২৫ মার্চ) ব্রিজটি ভেঙে পড়ে।

এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে জানান, ব্রিজটি নির্মাণে চরম অনিয়ম হওয়ার কারণে ভেঙে পড়ছে। ভেঙে পড়া ব্রিজের কাজ তড়িগড়ি করে সংস্কার করছে ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান। ভাঙা ব্রিজ তড়িগড়ি করে সংস্কার করার কারণে ভবিষ্যতে আবার ভেঙে পড়তে পারে, ব্রিজটি ভেঙে নতুন করে সংস্কার করার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. রেজাউল করিম বলেন, ব্রিজের নির্মাণকাজ চলাকালে ঢাকা থেকে প্রজেক্ট ডাইরেক্টর (পিডি) মো. বাদশা মিয়া পরিদর্শনে আসেন। তিনি এসে ব্রিজের  পাটাতন ঢালাইয়ের জন্য যেভাবে মাচা পাতা হয়েছে তাতে আপত্তি জানান। পিডি দোতলা মাচা পেতে মাঝের পাটাতন দ্রুত ঢালাই দেওয়ার নির্দেশ দেন। আমার ঠিকাদারী জীবনে দোতলা মাচা পেতে ব্রিজের পাটাতন ঢালাই কোনো দিন দেইনি, বা কাউকে দিতে দেখিনি। পরে পিডির নির্দেশমতো দোতলা মাচা পেতে ঢালাই দিতে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটে। এখন আমার ব্যক্তিগত খরচে আবার ওই পাটাতন ঢালাইয়ের কাজ শুরু করেছি। এতে আমার অনেক টাকা লস হবে।

এ ব্যপারে নগরকান্দা উপজেলা প্রকৌশলী মোশারফ হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী (ব্রিজের দায়িত্বে থাকা এসও) মিরান হোসেন বলেন, ব্রিজটির উচ্চতা বেশি হওয়ার কারণে ধসে পড়েছে। আমরা এত উঁচু ব্রিজের কাজ আগে কখনও করিনি। ব্রিজ ভেঙে পড়ার আগে ঢাকা থেকে প্রকল্প পরিচালক (পিডি) এসে ব্রিজ পরিদর্শন করেছেন এবং অতি দ্রুত ব্রিজ নির্মাণ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা ১৫ দিনের মধ্যে ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি।

এ বিষয়ে ফরিদপুরের এলজিইডি’র (স্থানীয় সরকার বিভাগ) নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুজ্জামান খাঁন বলেন, স্টেজিং ভালো না করায় এমন ঘটনা ঘটেছে। নিচের গোড়াটা যেভাবে করার দরকার ছিল সেভাবে হয়নি বিধায় এমনটা হয়েছে। এটা একজন ঠিকাদারের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এ ক্ষতির দায়ভার ঠিকাদারকেই নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, কাজের মান খারাপ হওয়ার কোন সুযোগ ও সম্ভাবনা নেই। দু’পাশের ঢালাই আরও কিছু ভেঙে নতুন করে স্টেজিং করতে হবে। এর জন্য নতুন করে কোন বরাদ্দের সুযোগ নেই। ঠিকাদারের নিজস্ব অর্থায়নেই ঠিক করতে হবে।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

ফরিদপুরে ভেঙে পড়লো ৫ কোটি টাকার নির্মাণাধীন ব্রিজ

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৪:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়ের মাঝিকান্দা তালমার খালের ওপর প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণাধীন একটি ব্রিজ ভেঙে পড়েছে।

শনিবার (২৫ মার্চ) ব্রিজটি ভেঙে পড়ে।

এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে জানান, ব্রিজটি নির্মাণে চরম অনিয়ম হওয়ার কারণে ভেঙে পড়ছে। ভেঙে পড়া ব্রিজের কাজ তড়িগড়ি করে সংস্কার করছে ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান। ভাঙা ব্রিজ তড়িগড়ি করে সংস্কার করার কারণে ভবিষ্যতে আবার ভেঙে পড়তে পারে, ব্রিজটি ভেঙে নতুন করে সংস্কার করার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. রেজাউল করিম বলেন, ব্রিজের নির্মাণকাজ চলাকালে ঢাকা থেকে প্রজেক্ট ডাইরেক্টর (পিডি) মো. বাদশা মিয়া পরিদর্শনে আসেন। তিনি এসে ব্রিজের  পাটাতন ঢালাইয়ের জন্য যেভাবে মাচা পাতা হয়েছে তাতে আপত্তি জানান। পিডি দোতলা মাচা পেতে মাঝের পাটাতন দ্রুত ঢালাই দেওয়ার নির্দেশ দেন। আমার ঠিকাদারী জীবনে দোতলা মাচা পেতে ব্রিজের পাটাতন ঢালাই কোনো দিন দেইনি, বা কাউকে দিতে দেখিনি। পরে পিডির নির্দেশমতো দোতলা মাচা পেতে ঢালাই দিতে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটে। এখন আমার ব্যক্তিগত খরচে আবার ওই পাটাতন ঢালাইয়ের কাজ শুরু করেছি। এতে আমার অনেক টাকা লস হবে।

এ ব্যপারে নগরকান্দা উপজেলা প্রকৌশলী মোশারফ হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী (ব্রিজের দায়িত্বে থাকা এসও) মিরান হোসেন বলেন, ব্রিজটির উচ্চতা বেশি হওয়ার কারণে ধসে পড়েছে। আমরা এত উঁচু ব্রিজের কাজ আগে কখনও করিনি। ব্রিজ ভেঙে পড়ার আগে ঢাকা থেকে প্রকল্প পরিচালক (পিডি) এসে ব্রিজ পরিদর্শন করেছেন এবং অতি দ্রুত ব্রিজ নির্মাণ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা ১৫ দিনের মধ্যে ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি।

এ বিষয়ে ফরিদপুরের এলজিইডি’র (স্থানীয় সরকার বিভাগ) নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুজ্জামান খাঁন বলেন, স্টেজিং ভালো না করায় এমন ঘটনা ঘটেছে। নিচের গোড়াটা যেভাবে করার দরকার ছিল সেভাবে হয়নি বিধায় এমনটা হয়েছে। এটা একজন ঠিকাদারের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এ ক্ষতির দায়ভার ঠিকাদারকেই নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, কাজের মান খারাপ হওয়ার কোন সুযোগ ও সম্ভাবনা নেই। দু’পাশের ঢালাই আরও কিছু ভেঙে নতুন করে স্টেজিং করতে হবে। এর জন্য নতুন করে কোন বরাদ্দের সুযোগ নেই। ঠিকাদারের নিজস্ব অর্থায়নেই ঠিক করতে হবে।