ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি :
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুর অংশের কানাইপুর তেতুলতলায় আজ মঙ্গলবার সকালে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও চারজন।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুরে অ্যাবলুম ক্যাফেটেরিয়ার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পরিচয় পাওয়া নিহত ১৩ ব্যক্তি হলেন- ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সত্তরকান্দা এলাকার মৃত আব্দুল ওহাব মোল্যার স্ত্রী মোসা. মর্জিনা বেগম (৭০), একই গ্রামের তারা মোল্যার ছেলে মো. মিলন মোল্যা (৫৫), তার দুই ছেলে মো. রুহান (০৮) মো. আবু জিসান (০৩), মিলন মোল্যার স্ত্রী সুমি বেগম (৩০), আলফাডাঙ্গা উপজেলার চর সহস্রাইল এলাকার মৃত রশিদ খানের ছেলে তবিবুর খান (৫৫), একই উপজেলার কুসুমদী এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে নজরুল ইসলাম (৩৫), বেজীডাঙ্গা গ্রামের নান্নু মোল্লার স্ত্রী জাহানারা বেগম (৪০), মিল্টন শেখের মেয়ে নুরানী (০২), হিতাডাঙ্গা এলাকার আলেক সরদারের স্ত্রী শুকুরন নেছা (৭০), সৈয়দ নিয়াদ আলীর মেয়ে কহিনুর বেগম (৬০) ও ইব্রাহিমের স্ত্রী সূর্য বেগম (৪০)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, এদিন সকালে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে উত্তরা ইউনিক পরিবহনের একটি বাস মাগুরা যাচ্ছিলো। পথে ফরিদপুরের কানাইপুরের দিপনগর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীতদিক থেকে আসা একটি পিকআপভ্যানকে চাপা দেয় বাসটি। এতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় পিকআপভ্যানটি। ঘটনাস্থলে ১১ জন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও তিনজন মারা যান।
স্থানীয় বাসিন্দা মরিয়ম বেগম বলেন, সকালে প্রচণ্ড শব্দ পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি রাস্তায় বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে হয়েছে। ঘটনাস্থলেই ১১ জন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও তিনজন মারা যান।
তিনি আরও বলেন, এখানকার রাস্তা উঁচুনিচু। ঈদের আগের থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১৫-২০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা থেকে মাগুরার উদ্দেশে যাচ্ছিল। এ সময় দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, এই ঘটনায় জেলা প্রশাসন ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা এবং আহতদের তিন লাখ টাকা দেওয়া হবে।