ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বামুনকান্দা জংশন এলাকায় পয়েন্টম্যানের ভুল সিগন্যালের কারণে ঢাকা থেকে খুলনাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন ও একটি লাগেজ বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এ ঘটনায় ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-বেনাপোল এবং ঢাকা-রাজবাড়ী রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শনিবার (১০ মে) বেলা ১১টা পর্যন্ত রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। এর আগে শুক্রবার (৯ মে) দিবাগত রাত ৯টা ১০ মিনিটের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিকে শনিবার সকাল থেকেই লাইনচ্যুত কোচ ২টি উদ্ধারে ঈশ্বরদী ও খুলনা থেকে ২টি রিলিফ ট্রেন ক্রেনসহ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভাঙ্গা বামনকান্দা রেল জংশনের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খায়রুজ্জামান সিকদার জানান, ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়ায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। রাতেই সকল যাত্রী বিভিন্ন পরিবহনে চলে গেছেন।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা জংশনের সহকারী রেল স্টেশন মাস্টার সুমন বাড়ৈ জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেসটি ভাঙ্গা রেল জংশন থেকে বের হওয়ার কিছুদূর গিয়ে ইঞ্জিনসহ একটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। সামনের ইঞ্জিন এবং লাগেজ ভ্যান দুইটি এক লাইন থেকে অন্য লাইনের ওপর চলে যায়। পয়েন্ট ম্যান নজরুল ইসলামের ভুলের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। নজরুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ৯টা ১০ মিনিট থেকে এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ৩টি রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। রাজবাড়ী ও খুলনা থেকে উদ্ধারকারী ক্রেনসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কাজ করছেন। তবে দুপুর নাগাদ লাইনটি সচল করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাকশি বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা হাচিনা খাতুন বলেন, রাত থেকে লাইনচ্যুত কোচ ২টি উদ্ধারে রাজবাড়ী ও খুলনা থেকে ২টি ক্রেন এনে লাইন সচল করতে কাজ চলছে। পয়েন্ট ম্যানের ভুলের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাকে (নজরুল ইসলাম) বরখাস্ত করা হয়েছে। সে কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমতি না নিয়েই সিগন্যাল বা পয়েন্ট চেঞ্জ করেছে। ভুল করার বিষয়ে সত্যতা পেয়েছি। এ ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তবে আশা করছি দুপুর নাগাদ লাইনটি চালু করা সম্ভব হবে।
ভাঙ্গা বামনকান্দা রেল জংশনের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খায়রুজ্জামান সিকদার জানান, ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়াতে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। রাতে সকল যাত্রী বিভিন্ন পরিবহনে চলে গিয়েছে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে সিগন্যাল ব্যবস্থার উন্নতি ও কর্মীদের প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেওয়া হবে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।