আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেনস। এরইমধ্যে রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেছেন তিনি। রিপাবলিকান দলের ভেতরেই কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হবে মাইক পেনসকে। কারণ সাবেক বস ডোনাল্ড ট্রাম্পও প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করার ইচ্ছা প্রকাশ করে রেখেছেন।
রিপাবলিকান দলের ভিতরেই কড়া প্রতিদ্বন্দ্বীতার মুখোমুখি হতে হবে মাইক পেনসকে। তার সাবেক বস ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে লড়াই করতে হবে দলের মধ্যেই। এছাড়াও ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডেস্যানটিস, সেনেটর টিম স্কট, সাউথ ক্যারোলিনার সাবেক গভর্নর নিক্কি হ্যালে রিপাবলিকান দলের ভিতর নিজেদের নাম ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে। নর্থ ডাকোটার গভর্নর ডগ বারগাম এবং নিউ জার্সির সাবেক গভর্নর ক্রিস ক্রিসটিও কিছুদিনের মধ্যেই নিজেদের নাম ঘোষণা করতে পারেন।
স্থানীয় সময় সোমবার (৫ জুন) নিজের কাগজ জমা দিয়েছেন মাইক পেনস। আইওয়া থেকে তিনি প্রচার শুরু করতে পারেন। পেনস প্রথমে একটি ভিডিও বার্তা এবং তারপরে একটি বক্তৃতা দিয়ে প্রচার শুরু করবেন বলে তার ভোট ম্যানেজাররা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
৬৩ বছরের পেনস অর্থডক্স বলে পরিচিত। ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর ক্ষেত্রে তিনি সরব ছিলেন। আবার অ্যাবরশন বা গর্ভপাতের তীব্র বিরোধিতাও করেছিলেন তিনি।
ক্যাপিটল ভবনে হামলার পর থেকে পেনস ক্রমশ ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকে ব্যবধান তৈরি করতে শুরু করেন। প্রকাশ্যে ক্যাপিটল হামলার প্রতিবাদ করেন। শুধু তা-ই নয়, ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। পেনস সেই অভিমতও সম্পূর্ণ খারিজ করে দেন। বস্তুত, তখন থেকেই দুই রিপাবলিকান নেতার দূরত্ব তৈরি হতে শুরু করে।
ট্রাম্প অবশ্য ঘোষণা দিয়েছেন, ফের নির্বাচিত হলে ক্যাপিটলে আক্রমণকারীদের শাস্তি মকুব করে দেবেন তিনি। তবে ট্রাম্পের তদন্তে পেনসকে তলব করা হয়েছে। ট্রাম্প অতি গোপন তথ্য কীভাবে আলোচনা করতেন, সকলের সঙ্গে তা ভাগ করে নিতেন কি না, এই সংক্রান্ত এক তদন্তে পেনসকে তদন্তকারীদের সামনে বিবৃতি দিতে হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, দীর্ঘদিনের এই রাজনীতিকের পক্ষে ২০২৪ সালের লড়াই জেতা কঠিন। ট্রাম্পপন্থিরা তাকে বিশ্বাসঘাতক বলে মনে করেন। অন্যদিকে ট্রাম্পবিরোধীরা তাকে একসময় ট্রাম্পের সঙ্গী হিসেবে চিহ্নিত করেন। ফলে কোনো পক্ষই তাকে ভালো চোখে দেখে না বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। সূত্র : রয়টার্স।