ফেনী জেলা প্রতিনিধি :
প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ফেনীর সোনাগাজী থেকে সপ্তম শ্রেণির এক স্কুল শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে ১৩ দিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগে ইয়াছিন আরাফাত (২০) নামে এক তরুণকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা এলাকা থেকে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়। একই সাথে ওই তরুণকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়েন। স্কুলে যাওয়া আসার পথে ইয়াছিন তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করতেন। পরে ওই কিশোরী বিষয়টি তার মাকে জানায়। এনিয়ে ইয়াছিনের বাবা-মার কাছে প্রতিকার চাইলেও কোনো সুরাহা হয়নি। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ইয়াছিন ওই কিশোরীকে অপহরণের হুমকি দেয়। এই বিষয়টিও ইয়াছিনের বাবা-মাকে জানানো হয়। তারা ইয়াছিনকে বিভিন্ন সময় নিষেধ করেন।
ওই শিক্ষার্থীর পরিবার আরও জানায়, গত ৮ নভেম্বর দুপুরে স্কুল থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে যান ইয়াছিন। পরে চট্টগ্রামে নিয়ে তার এক বন্ধুর বাসায় রেখে চার দিন ধরে ধর্ষণ করেন। ১৩ নভেম্বর বাড়িতে নেওয়া কথা বলে তাকে কক্সবাজার নিয়ে যান। সেখানেও তাকে ধর্ষণ করা হয়। বুধবার সকালে ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে ফেনী আসেন ইয়াছিন। এ সময় স্থানীয়রা ইয়াছিনকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সোনাগাজী মডেল থানার এসআই মো. জাহিদ হাসান বলেন, বুধবার দুপুরে ফেনী জেনারেল হাসাপাতালে ওই ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। পরে বিকেলে ওই ছাত্রীকে ফেনীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমাতুজ্জোহরা মুনার আদালতে হাজির করে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
জবানবন্দিতে তাকে ১৩ দিন আটকে রেখে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে বন্ধুদের সহায়তায় ইয়াছিন ধর্ষণ করেছে বলে সে আদালতে জানায়। এরপর আদালতের নির্দেশনায় মেয়েটিকে তার মায়ের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার সকালে ছাত্রীর মা বাদী হয়ে অপহরণ করে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে ইয়াছিন আরাফাত (২০), তার সহযোগী সোহাগ হোসেন (২৪) ও মনির হোসেনকে (২৩) আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্তরা উপজেলার চর মজলিশপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর এলাকার বাসিন্দা।