Dhaka সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রিজনভ্যানে দাঁড়িয়ে থাকা নিয়ে ইনুর সঙ্গে পুলিশ সদস্যের বাগবিতণ্ডা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দুর্নীতির মামলায় আদালতে হাজিরা শেষে সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে কারাগারে নেওয়ার জন্য তোলা হয় প্রিজনভ্যানে। সেখানে ইনু যখন দাঁড়িয়ে থাকেন, তা নিয়ে আপত্তি জানান দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য। তখন বাগবিতণ্ডা জড়িয়ে ইনু এই বিষয়ে আদেশ দেখাতে বলেন তাকে।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সামনের রাস্তায় প্রিজন ভ্যানে এ ঘটনা ঘটে।

তবে শুনানিতে ইনুকে এজলাসে তোলা হয়নি। এদিন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ আগামী ২ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নতুন দিন ঠিক করে দেন।

দুদকের প্রসিকিউশনের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

পরে ইনুকে কারাগারে নেওয়ার জন্য ১২টা ১৪ মিনিটের দিকে প্রিজনভ্যানে তোলা হয়। ওঠার পর তিনি প্রিজনভ্যানের ভেতর দাঁড়িয়ে ছিলেন। তার দাঁড়িয়ে থাকাতে আপত্তি জানিয়ে এক পুলিশ বলেন, ‘দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না।’

তারপরও ওই পুলিশ তাকে বসতে বলেন। তখন ইনু উত্তেজিত কণ্ঠে বলেন, ‘কি বলছেন আপনি, আমি দাঁড়িয়ে থাকতে পারব না। আপনি অর্ডার দেখান, আমি দাঁড়িয়ে থাকতে পারব না। আপনি সিনক্রিয়েট করছেন কেন? আপনি অর্ডার নিয়ে আসেন।’

এরপর প্রিজনভ্যানের পেছনে পুলিশ সদস্যরা যেখানে বসে থাকেন সেখানে চলে যান ওই পুলিশ সদস্য। প্রিজনভ্যানটি আদালত প্রাঙ্গণে যতক্ষণ ছিল, ততক্ষণই ইনুকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। প্রিজন ভ্যানের গ্রিল দিয়ে কাউকে খুঁজতে দেখা যায় তাকে। কিছুক্ষণ পর এসে ওই পুলিশ আবার ইনুর পাশে গিয়ে দাঁড়ান।এরপর তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

‎গত বছরের ২৬ আগস্ট হাসানুল হক ইনুকে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়। দুদক গত ১৬ মার্চ ইনুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। ২৭ জুলাই তাকে দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

‎‎মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ৪ কোটি ৮৪ লাখ ২৫ হাজার ৫০৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন। তার চারটি ব্যাংক হিসাবে ১১ কোটি ৮৮ লাখ ১৬ হাজার ১৯ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে।

আরেক মামলায় হাসানুল হক ইনুর স্ত্রী আফরোজা হকের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। হাসানুল হক ইনুর উপার্জিত অর্থ দিয়ে তার স্ত্রী সম্পদশালী হয়েছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ডেঙ্গুতে আরো ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৮৩

প্রিজনভ্যানে দাঁড়িয়ে থাকা নিয়ে ইনুর সঙ্গে পুলিশ সদস্যের বাগবিতণ্ডা

প্রকাশের সময় : ০৪:০২:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দুর্নীতির মামলায় আদালতে হাজিরা শেষে সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে কারাগারে নেওয়ার জন্য তোলা হয় প্রিজনভ্যানে। সেখানে ইনু যখন দাঁড়িয়ে থাকেন, তা নিয়ে আপত্তি জানান দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য। তখন বাগবিতণ্ডা জড়িয়ে ইনু এই বিষয়ে আদেশ দেখাতে বলেন তাকে।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সামনের রাস্তায় প্রিজন ভ্যানে এ ঘটনা ঘটে।

তবে শুনানিতে ইনুকে এজলাসে তোলা হয়নি। এদিন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ আগামী ২ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নতুন দিন ঠিক করে দেন।

দুদকের প্রসিকিউশনের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

পরে ইনুকে কারাগারে নেওয়ার জন্য ১২টা ১৪ মিনিটের দিকে প্রিজনভ্যানে তোলা হয়। ওঠার পর তিনি প্রিজনভ্যানের ভেতর দাঁড়িয়ে ছিলেন। তার দাঁড়িয়ে থাকাতে আপত্তি জানিয়ে এক পুলিশ বলেন, ‘দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না।’

তারপরও ওই পুলিশ তাকে বসতে বলেন। তখন ইনু উত্তেজিত কণ্ঠে বলেন, ‘কি বলছেন আপনি, আমি দাঁড়িয়ে থাকতে পারব না। আপনি অর্ডার দেখান, আমি দাঁড়িয়ে থাকতে পারব না। আপনি সিনক্রিয়েট করছেন কেন? আপনি অর্ডার নিয়ে আসেন।’

এরপর প্রিজনভ্যানের পেছনে পুলিশ সদস্যরা যেখানে বসে থাকেন সেখানে চলে যান ওই পুলিশ সদস্য। প্রিজনভ্যানটি আদালত প্রাঙ্গণে যতক্ষণ ছিল, ততক্ষণই ইনুকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। প্রিজন ভ্যানের গ্রিল দিয়ে কাউকে খুঁজতে দেখা যায় তাকে। কিছুক্ষণ পর এসে ওই পুলিশ আবার ইনুর পাশে গিয়ে দাঁড়ান।এরপর তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

‎গত বছরের ২৬ আগস্ট হাসানুল হক ইনুকে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়। দুদক গত ১৬ মার্চ ইনুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। ২৭ জুলাই তাকে দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

‎‎মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ৪ কোটি ৮৪ লাখ ২৫ হাজার ৫০৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন। তার চারটি ব্যাংক হিসাবে ১১ কোটি ৮৮ লাখ ১৬ হাজার ১৯ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে।

আরেক মামলায় হাসানুল হক ইনুর স্ত্রী আফরোজা হকের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। হাসানুল হক ইনুর উপার্জিত অর্থ দিয়ে তার স্ত্রী সম্পদশালী হয়েছেন।