যশোর জেলা প্রতিনিধি :
যশোর-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনামুল হক বাবুলের বিরুদ্ধে ঋণখেলাপির অভিযোগ এনে করা আপিল মঞ্জুর করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের অডিটোরিয়ামে (বেজমেন্ট-২) আপিল শুনানির পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা এই রায় দিয়েছেন।
বাবুলের বিরুদ্ধে এই আপিল করেন অভয়নগর ও বাঘারপাড়া উপজেলা এবং সদরের বসুন্দিয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী সুকৃতি কুমার মন্ডল। এর মাধ্যমে প্রার্থিতার বৈধতা হারালেন এনামুল।
আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আপিলকারী সুকৃতি কুমার মন্ডল বলেন, নৌকার মনোনয়ন পাওয়া বাবুল একজন ঋণ খেলাপি। তিনি হলফনামায় এ তথ্য গোপন করেছেন। জনতা ব্যাংকে তার ২১ কোটি ৭২ লাখ টাকা ঋণ আছে। ২০১৮ সালে এ নিয়ে একটি মামলাও হয়েছে। আগামী ৪ জানুয়ারি তার মামলায় হাজিরার তারিখ নির্ধারিত। আমি জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে এসব বিষয় জানিয়েছিলাম। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্ট বন্ধ থাকায় ঋণ খেলাপির তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল না। ফলে তারা বাবুলের প্রার্থিতা বহাল রেখেছিল। আজ রায়ে ওনার প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমি নিজে বিএনএম’র প্রার্থী। সেই সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে। আশা করছি শেষ পর্যন্ত আমি ভোটের মাঠে থাকবো।
এদিকে প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন এনামুল হক বাবুল। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। তবে এটুকু বলতে পারি আমি হাইকোর্টে আপিল করবো।’
এর আগে এনামুলের মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিরুদ্ধে আপিল করেন ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য রনজিত কুমার রায়। এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন রনজিত। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ঋণখেলাপি হওয়ার অভিযোগ করেছেন।