নিজস্ব প্রতিবেদক :
শ্রমিকদের বিক্ষোভের কারণে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ শুরু হয়েছে।
রোববার (১৬ জুলাই) দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
এর আগে রাজধানীর এফডিসি এলাকায় রেললাইন অবরোধ করে রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকরা আন্দোলন করায় ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ সকাল দশটা থেকে বন্ধ ছিল। সকাল ১০টার পর থেকে কোনো ট্রেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশ করেনি এবং সেখান থেকে ছেড়েও যায়নি। পৌনে পাঁচ ঘণ্টা পর দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ও বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেন ছেড়ে এসেছে।
শ্রমিকরা জানান, বিজ্ঞাপন দিয়ে সারা দেশে প্রায় সাড়ে সাত হাজার অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়। যারা ইতোমধ্যে ১২ থেকে ১৪ বছর ধরে রেলে চাকরি করছেন। চুক্তি ছিল ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে তাদের স্থায়ীকরণ করা হবে। কিন্তু আজও রেল কর্তৃপক্ষ তাদের স্থায়ী করেনি। বরং তাদের বাদ দিয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দিয়ে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নতুন করে কর্মচারী নিয়োগের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
আন্দোলনকারী শ্রমিকরা বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়েতে কখনোই আউটসোর্সিং পদ্ধতি ছিল না। বর্তমানে আমাদের অস্থায়ী শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করার জন্য এটা চালু করা হয়েছে। তা আমাদের জীবন ধ্বংস করার পদ্ধতি বলে বিবেচিত। আমরা এই আউটসোর্সিং প্রথা বাতিল ও চাকরি ফেরত পাওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারওয়ার জানান, শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে সকাল ১০টার পর কমলাপুর থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেওয়ায় তিনটার দিকে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
ডিএমপির তেজগাঁও জোনের এডিসি হাফিজ আল ফারুক বলেন, শ্রমিকদের সাথে কয়েক দফা আলোচনা করা হয়েছে। এখন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শ্রমিকরা আলোচনা করতে চান। এজন্য তাদের নিয়ে রেলভবনে যাওয়া হচ্ছে। শ্রমিকরা রেললাইন থেকে সরে যাওয়ায় রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
দুপুর দুইটায় শ্রমিকদের বিক্ষোভে আটকা পড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী তিতাস এক্সপ্রেস ট্রেনটি পেছন থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। ট্রেনে গন্তব্যে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এতে যাত্রীরা কেউ চাইলে টিকিট ফেরত দিয়ে টাকা ফেরত নেওয়ার ঘোষণা দেয় রেল কর্তৃপক্ষ।