Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কাজ করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, স্বাস্থ্যসেবার মান আরও উন্নত করতে সরকারের প্রচেষ্টা রয়েছে। এ জন্য আমরা সবাই কাজ করছি। দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতেও আমরা কাজ করে যাব।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নতুন ৩০ শয্যাবিশিষ্ট নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন ৩০ শয্যার আইসিইউ উদ্বোধন করা হয়েছে। এ হাসপাতালে সবমিলিয়ে এখন ৫০ শয্যার আইসিইউ রয়েছে। আমি এ (চট্টগ্রাম) মেডিকেল কলেজে পড়েছি। চমেকের ছাত্র হিসেবে এটি উদ্বোধন করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। মুমূর্ষু রোগীদের জীবন বাঁচাতে এই আইসিইউ ইউনিট ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এর আগে মন্ত্রী হাসপাতালের ৩০ শয্যার নতুন আইসিইউ ওয়ার্ড উদ্বোধন করেন। এরপর তিনি হাসপাতালের নির্মাণাধীন ইমেজিং ভবন, বার্ন ইউনিটের জন্য প্রস্তাবিত জমি ও নির্মাণাধীন ক্যানসার, হৃদরোগ ও কিডনি ভবন ঘুরে দেখেন। এরপর হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে চিকিৎসা সেবাকে উন্নত করা। চট্টগ্রামের আশপাশের উপজেলা ও জেলার মানুষকে সেখানে ভালো চিকিৎসা দিতে পারলে মেডিকেল কলেজের ওপর চাপ কমবে। চট্টগ্রামের পাশাপাশি অন্যান্য জেলারও স্বাস্থ্যসেবা যাতে আরও উন্নত হয় এ প্রচেষ্টা সরকারের রয়েছে।

এরপর মন্ত্রী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নির্মাণাধীন ১৫০ শয্যার বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের নির্ধারিত স্থান ঘুরে দেখেন। এসময় তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের অনেক দগ্ধ রোগী ঢাকায় চিকিৎসা নিতে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে মারা যান। এখানে স্বয়ংসম্পূর্ণ আইসিইউ, আধুনিক অস্ত্রোপচার কক্ষসহ সব ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকবে। পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিট হলে চট্টগ্রামে আগুনে পোড়া রোগীরা উন্নত চিকিৎসা পাবে।’

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘এটির (পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিটের) কাজ আমরা গুছিয়ে এনেছি। চীনা দাতা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ হচ্ছে। (রোববার) প্রি-একনেক মিটিংয়ে চট্টগ্রামে বার্ন ইউনিটের বিষয়টি তোলা হবে। প্রি-একনেক মিটিংয়ের পর চট্টগ্রামে বার্ন ইউনিটের কাজ শুরু হবে।’ ডিপিপি পাস হলেই দ্রুত কাজ শুরু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এদিন হাসপাতালের কনফারেন্স কক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, ডিজি অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম, পরিচালক (প্রশাসন) ডা. সামিউল ইসলাম, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ইসমাইল খান, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান, চমেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. মহিউদ্দিন, সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আমতলী-তালতলী আঞ্চলিক সড়ক বেহাল, দুর্ভোগে স্থানীয়রা

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কাজ করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১০:৩৮:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪

চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, স্বাস্থ্যসেবার মান আরও উন্নত করতে সরকারের প্রচেষ্টা রয়েছে। এ জন্য আমরা সবাই কাজ করছি। দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতেও আমরা কাজ করে যাব।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নতুন ৩০ শয্যাবিশিষ্ট নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন ৩০ শয্যার আইসিইউ উদ্বোধন করা হয়েছে। এ হাসপাতালে সবমিলিয়ে এখন ৫০ শয্যার আইসিইউ রয়েছে। আমি এ (চট্টগ্রাম) মেডিকেল কলেজে পড়েছি। চমেকের ছাত্র হিসেবে এটি উদ্বোধন করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। মুমূর্ষু রোগীদের জীবন বাঁচাতে এই আইসিইউ ইউনিট ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এর আগে মন্ত্রী হাসপাতালের ৩০ শয্যার নতুন আইসিইউ ওয়ার্ড উদ্বোধন করেন। এরপর তিনি হাসপাতালের নির্মাণাধীন ইমেজিং ভবন, বার্ন ইউনিটের জন্য প্রস্তাবিত জমি ও নির্মাণাধীন ক্যানসার, হৃদরোগ ও কিডনি ভবন ঘুরে দেখেন। এরপর হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে চিকিৎসা সেবাকে উন্নত করা। চট্টগ্রামের আশপাশের উপজেলা ও জেলার মানুষকে সেখানে ভালো চিকিৎসা দিতে পারলে মেডিকেল কলেজের ওপর চাপ কমবে। চট্টগ্রামের পাশাপাশি অন্যান্য জেলারও স্বাস্থ্যসেবা যাতে আরও উন্নত হয় এ প্রচেষ্টা সরকারের রয়েছে।

এরপর মন্ত্রী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নির্মাণাধীন ১৫০ শয্যার বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের নির্ধারিত স্থান ঘুরে দেখেন। এসময় তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের অনেক দগ্ধ রোগী ঢাকায় চিকিৎসা নিতে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে মারা যান। এখানে স্বয়ংসম্পূর্ণ আইসিইউ, আধুনিক অস্ত্রোপচার কক্ষসহ সব ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকবে। পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিট হলে চট্টগ্রামে আগুনে পোড়া রোগীরা উন্নত চিকিৎসা পাবে।’

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘এটির (পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিটের) কাজ আমরা গুছিয়ে এনেছি। চীনা দাতা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ হচ্ছে। (রোববার) প্রি-একনেক মিটিংয়ে চট্টগ্রামে বার্ন ইউনিটের বিষয়টি তোলা হবে। প্রি-একনেক মিটিংয়ের পর চট্টগ্রামে বার্ন ইউনিটের কাজ শুরু হবে।’ ডিপিপি পাস হলেই দ্রুত কাজ শুরু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এদিন হাসপাতালের কনফারেন্স কক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, ডিজি অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম, পরিচালক (প্রশাসন) ডা. সামিউল ইসলাম, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ইসমাইল খান, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান, চমেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. মহিউদ্দিন, সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী প্রমুখ।