নাটোর জেলা প্রতিনিধি :
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ছুটির পরিমাণ কমিয়ে পাঠদানের সময় বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেল ৩টার দিকে নাটোর জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে শিক্ষক ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষায় বিকশিত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণভাবে গড়ে তুলতে নৈতিক শিক্ষার বিকল্প নেই। শিক্ষার্থীরা নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে না পারলে তারাই সমাজে অভিশাপ হয়ে দেখা দেবে।
তিনি বলেন, শিশুরা কতটুকু পড়াশোনা করছে এবং তারা স্কুল থেকে কতটা সুবিধা পাচ্ছে তা নিশ্চিত করতে হবে। শুধু নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া যায় না, বরং সামগ্রিক আচরণগত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সন্তানরা আক্ষরিক অর্থে বেশি শিক্ষিত হচ্ছে, কিন্তু তারা যদি ভাবার্থ অনুধাবন না করতে পারে, তবে প্রকৃত শিক্ষা অর্জিত হচ্ছে না। অনেক সময় দেখা যায়, একজন শিক্ষার্থী লিখতে পারলেও সঠিকভাবে উচ্চারণ করতে পারে না।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ বিকাশ নিশ্চিতে কো-কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিস বাড়ানোর বিকল্প নেই। কাজেই খুদে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিক শিক্ষার বিকাশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে শিক্ষার কর্মঘণ্টা বাড়িয়ে কিভাবে শিক্ষার্থীদের অধিক শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়ে ভাবছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হলেন শিক্ষক নেতৃত্বের প্রতীক। একটি প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের মান ও পরিবেশ তার ওপর নির্ভর করে। ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিক শিক্ষার বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ঘটাতে হবে। সব ধরনের শিক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে, তাহলেই আমাদের সন্তানেরা পূর্ণ বিকশিত হবে।
উপদেষ্টা আরো উল্লেখ করেন, একজন শিক্ষার্থীকে সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে একজন শিক্ষকের ভূমিকা অপরিসীম। একজন প্রধান শিক্ষক পুরো প্রতিষ্ঠানকে পরিচালনা করেন এবং তিনিই একটি স্কুলকে আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে পারেন।
জেলা প্রশাসক আসমা শাহীনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান এবং অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) মোহাম্মদ কামরুল হাসান এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. গোলাম নবী।