Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রশিক্ষণ বিমানের কার্যক্রম এমন জনাকীর্ণ শহরে হয় কিভাবে, প্রশ্ন গয়েশ্বরের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলে শিক্ষার্থী হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে জনবসতিপূর্ণ শহরে প্রশিক্ষণ বিমান কেন উড্ডয়ন করা হলো তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেছেন, ‘আমার প্রশ্ন হলো যে একটা প্রশিক্ষণ বিমান তাও ফাইটার বিমানের প্রশিক্ষণ এমন একটা জনবসতিপূর্ণ শহরে হয় কি না। আমরা জানি এই ধরনের প্রশিক্ষণ যেখানে জনগণ থাকে না এরকম অনেক জায়গায় থাকে। সেখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কিন্তু এই প্রশিক্ষণ প্রায় এমনি ঢাকা শহরের জনবসতিপূর্ণ এলাকায় হলো কেন?’

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় দলের নেতাকর্মীদের আয়োজিত বিশেষ দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে মানুষের প্রশ্ন রয়েছে বিমান বাহিনীর এই সম্পর্কে তাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকা দরকার এবং এটার জবাব কে দেবে? এটা আপনি কী জবাব দেবেন? আমাদের দেশে বছর বছর যুদ্ধ না হোক সেনাবাহিনীর এক মহড়া হয় সেটাও আমরা জানি অনেক দূরাঞ্চলে হয়ৃ.জনাকীর্ণ এলাকায় হয় না।’

উদাহারণ টেনে তিনি বলেন, ‘আজকে দেখবেন ঢাকা শহরে দিনের বেলায় কোনো প্রশিক্ষণ মোটর যান দেখবেন না। এগুলো এখন রাতের বেলায় হয় তাও প্রধান সড়কে নয়। অর্থাৎ শহরের ভেতরে ছোট ছোট রাস্তায় গাড়ি চালনার প্রশিক্ষণ হয়। এটা সাবধানতা। আর একটা বিমানের প্রশিক্ষণ হবে সেই প্রশিক্ষণটাৃ আরেকটা কথা আছে সেই প্রশিক্ষণটা প্রত্যেকটা যুদ্ধ বিমানই হোক বিমানটা স্টার্ট করার আগে তার পরীক্ষা করাতে হয় এ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বা ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে যে, ওই বিমানটা ওড়ানো যাবে কি না এবং এটা সঠিকভাবে চালানো যাবে কি না তার একটা পূর্ব পরীক্ষার ব্যাপার আছে।’

তিনি আরও বলেন, এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে এই প্রশিক্ষণ যারা দিচ্ছেন বা তদারকি করছেন তারা বিমানটা সচল থাকার মতো যান্ত্রিক অবস্থা ছিলো কি না, সেটা পরীক্ষা করা হচ্ছে কি নাৃ. এই বিষয়গুলি বা এই প্রশ্নগুলো আজকে জনগণের মনে উঠেছে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমি আমার কথা বলছি না, জনগণের অনুভূতি জনগণের প্রশ্নের কথাগুলে বলছি, আমার মনে হয়— সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই শুনতে পাচ্ছেন। আমরা দেখতে চাই, এখানে আপনাদের কোনও ত্রুটি-বিচ্যুতি ছিল কিনা, আকাশের বিমানটি ওড়ানোর আগে বিমানটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে কিনা যথাযথভাবে এবং এই বিমানটা চলার মত সক্ষম ছিল কিনা?

তিনি বলেন, সেজন্যই আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জনগণের পক্ষ থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলো খুঁজে বের করা এবং জানার জন্য আমি দাবি করছি। আমি কাউকে দোষারোপ করছি না। যাতে ভবিষ্যতে এমন আরেকটা দুর্ঘটনা জন্ম না দেন, তার জন্য সতর্ক থাকতে জাতির এটা জানা উচিত। এই প্রশ্নগুলো এখানে আপনারা সবাই আছেন আপনারা কি চান না? আমি কি নিজে নিজে আবিষ্কার করেছি, না, এটা জনগণের কথা, জনগণের জিজ্ঞাসা।

দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, মহানগর দক্ষিন বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন, জাসাসের হেলাল খান, জাকির হোসেন রোকন, ছাত্র দলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মাইলস্টোনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ৩

প্রশিক্ষণ বিমানের কার্যক্রম এমন জনাকীর্ণ শহরে হয় কিভাবে, প্রশ্ন গয়েশ্বরের

প্রকাশের সময় : ০৩:৪২:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলে শিক্ষার্থী হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে জনবসতিপূর্ণ শহরে প্রশিক্ষণ বিমান কেন উড্ডয়ন করা হলো তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেছেন, ‘আমার প্রশ্ন হলো যে একটা প্রশিক্ষণ বিমান তাও ফাইটার বিমানের প্রশিক্ষণ এমন একটা জনবসতিপূর্ণ শহরে হয় কি না। আমরা জানি এই ধরনের প্রশিক্ষণ যেখানে জনগণ থাকে না এরকম অনেক জায়গায় থাকে। সেখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কিন্তু এই প্রশিক্ষণ প্রায় এমনি ঢাকা শহরের জনবসতিপূর্ণ এলাকায় হলো কেন?’

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় দলের নেতাকর্মীদের আয়োজিত বিশেষ দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে মানুষের প্রশ্ন রয়েছে বিমান বাহিনীর এই সম্পর্কে তাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকা দরকার এবং এটার জবাব কে দেবে? এটা আপনি কী জবাব দেবেন? আমাদের দেশে বছর বছর যুদ্ধ না হোক সেনাবাহিনীর এক মহড়া হয় সেটাও আমরা জানি অনেক দূরাঞ্চলে হয়ৃ.জনাকীর্ণ এলাকায় হয় না।’

উদাহারণ টেনে তিনি বলেন, ‘আজকে দেখবেন ঢাকা শহরে দিনের বেলায় কোনো প্রশিক্ষণ মোটর যান দেখবেন না। এগুলো এখন রাতের বেলায় হয় তাও প্রধান সড়কে নয়। অর্থাৎ শহরের ভেতরে ছোট ছোট রাস্তায় গাড়ি চালনার প্রশিক্ষণ হয়। এটা সাবধানতা। আর একটা বিমানের প্রশিক্ষণ হবে সেই প্রশিক্ষণটাৃ আরেকটা কথা আছে সেই প্রশিক্ষণটা প্রত্যেকটা যুদ্ধ বিমানই হোক বিমানটা স্টার্ট করার আগে তার পরীক্ষা করাতে হয় এ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বা ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে যে, ওই বিমানটা ওড়ানো যাবে কি না এবং এটা সঠিকভাবে চালানো যাবে কি না তার একটা পূর্ব পরীক্ষার ব্যাপার আছে।’

তিনি আরও বলেন, এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে এই প্রশিক্ষণ যারা দিচ্ছেন বা তদারকি করছেন তারা বিমানটা সচল থাকার মতো যান্ত্রিক অবস্থা ছিলো কি না, সেটা পরীক্ষা করা হচ্ছে কি নাৃ. এই বিষয়গুলি বা এই প্রশ্নগুলো আজকে জনগণের মনে উঠেছে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমি আমার কথা বলছি না, জনগণের অনুভূতি জনগণের প্রশ্নের কথাগুলে বলছি, আমার মনে হয়— সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই শুনতে পাচ্ছেন। আমরা দেখতে চাই, এখানে আপনাদের কোনও ত্রুটি-বিচ্যুতি ছিল কিনা, আকাশের বিমানটি ওড়ানোর আগে বিমানটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে কিনা যথাযথভাবে এবং এই বিমানটা চলার মত সক্ষম ছিল কিনা?

তিনি বলেন, সেজন্যই আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জনগণের পক্ষ থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলো খুঁজে বের করা এবং জানার জন্য আমি দাবি করছি। আমি কাউকে দোষারোপ করছি না। যাতে ভবিষ্যতে এমন আরেকটা দুর্ঘটনা জন্ম না দেন, তার জন্য সতর্ক থাকতে জাতির এটা জানা উচিত। এই প্রশ্নগুলো এখানে আপনারা সবাই আছেন আপনারা কি চান না? আমি কি নিজে নিজে আবিষ্কার করেছি, না, এটা জনগণের কথা, জনগণের জিজ্ঞাসা।

দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, মহানগর দক্ষিন বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন, জাসাসের হেলাল খান, জাকির হোসেন রোকন, ছাত্র দলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।