Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রশাসনিক অনুমোদন পেলো গ্রিন রেলওয়ে পরিবহন প্রকল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশে গ্রিন রেল পরিবহন ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের লক্ষ্যে সরকার ৯৩ কোটি ৫১ লাখ টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ‘গ্রিন রেলওয়ে পরিবহন প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা’ শীর্ষক এই প্রকল্পের প্রশাসনিক অনুমোদন মিলেছে।

রোববার (১৫ জুন) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা ৩ শাখার উপসচিবের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে প্রকল্পটির প্রশাসনিক অনুমোদনের কথা জানানো হয়। চিঠিটি বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রকল্প অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তাকে (প্রকল্প) পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, ‘গ্রিন রেলওয়ে পরিবহন প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রশাসনিক অনুমোদন জ্ঞাপন করছি। প্রকল্পটি গত ২০ এপ্রিল একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। প্রকল্পটির অনুমোদিত বাস্তবায়ন মেয়াদ ১ এপ্রিল ২০২৫ থেকে ২০২৭ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ রেলওয়ে এই ‘গ্রিন রেলওয়ে পরিবহন প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ৯৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ২৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা জোগান দেবে এবং বাকি ৬৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা বিশ্বব্যাংকের আইডিএ থেকে ঋণ হিসেবে নেওয়া হবে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডরের অধীনে কমলাপুরের ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ও ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন, ফৌজদারহাট থেকে চট্টগ্রাম গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) এবং এরপর সিজিপিওয়াই থেকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার বে টার্মিনাল ও চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা পর্যন্ত প্রকল্পটির অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

বিশ্বব্যাংক থেকে পাওয়া অর্থ বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে স্টেশন ভবন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণ ও পুনর্র্নিমাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা, বিদ্যমান কার্যকরী ও রক্ষণাবেক্ষণ সুবিধা স্থানান্তরের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা, কমলাপুর স্টেশনে মাল্টিমডাল পরিবহন হাব তৈরির জন্য স্টেশন বিল্ডিং ইয়ার্ড পুর্ননির্মাণসহ প্রকল্পের জন্য ব্যয় করা হবে।

এছাড়াও প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে, ফৌজদারহাট থেকে চট্টগ্রামের গুডস পোর্ট ইয়ার্ড এবং বে টার্মিনাল পর্যন্ত রেল সংযোগ স্থাপন এবং মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে উন্নত রেল সংযোগ স্থাপন।

প্রকল্পের অংশ হিসেবে কমলাপুর এবং ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে ‘মাল্টিমডাল ট্রান্সপোর্ট হাব’ নির্মাণের সুবিধার্থে বিদ্যমান পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ সুবিধাগুলো স্থানান্তরসহ স্টেশন বিল্ডিং ইয়ার্ডগুলো পুনর্র্নিমাণের জন্য একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হবে।

এছাড়া ফৌজদারহাট থেকে চট্টগ্রামের গুডস পোর্ট ইয়ার্ড এবং বে টার্মিনাল পর্যন্ত রেল সংযোগ উন্নয়নের জন্য একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হবে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, গ্রিন রেল পরিবহন ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে চালু হলে, কার্বন নির্গমন কম হবে যা পরিবেশ দূষণ কমাতেও সাহায্য করবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মহিপুরে পাঁচ কিমি কাঁচা সড়কে হাঁটুজল, দুর্ভোগে পথচারী

প্রশাসনিক অনুমোদন পেলো গ্রিন রেলওয়ে পরিবহন প্রকল্প

প্রকাশের সময় : ০৪:২১:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশে গ্রিন রেল পরিবহন ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের লক্ষ্যে সরকার ৯৩ কোটি ৫১ লাখ টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ‘গ্রিন রেলওয়ে পরিবহন প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা’ শীর্ষক এই প্রকল্পের প্রশাসনিক অনুমোদন মিলেছে।

রোববার (১৫ জুন) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা ৩ শাখার উপসচিবের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে প্রকল্পটির প্রশাসনিক অনুমোদনের কথা জানানো হয়। চিঠিটি বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রকল্প অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তাকে (প্রকল্প) পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, ‘গ্রিন রেলওয়ে পরিবহন প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রশাসনিক অনুমোদন জ্ঞাপন করছি। প্রকল্পটি গত ২০ এপ্রিল একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। প্রকল্পটির অনুমোদিত বাস্তবায়ন মেয়াদ ১ এপ্রিল ২০২৫ থেকে ২০২৭ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ রেলওয়ে এই ‘গ্রিন রেলওয়ে পরিবহন প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ৯৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ২৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা জোগান দেবে এবং বাকি ৬৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা বিশ্বব্যাংকের আইডিএ থেকে ঋণ হিসেবে নেওয়া হবে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডরের অধীনে কমলাপুরের ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ও ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন, ফৌজদারহাট থেকে চট্টগ্রাম গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) এবং এরপর সিজিপিওয়াই থেকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার বে টার্মিনাল ও চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা পর্যন্ত প্রকল্পটির অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

বিশ্বব্যাংক থেকে পাওয়া অর্থ বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে স্টেশন ভবন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণ ও পুনর্র্নিমাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা, বিদ্যমান কার্যকরী ও রক্ষণাবেক্ষণ সুবিধা স্থানান্তরের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা, কমলাপুর স্টেশনে মাল্টিমডাল পরিবহন হাব তৈরির জন্য স্টেশন বিল্ডিং ইয়ার্ড পুর্ননির্মাণসহ প্রকল্পের জন্য ব্যয় করা হবে।

এছাড়াও প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে, ফৌজদারহাট থেকে চট্টগ্রামের গুডস পোর্ট ইয়ার্ড এবং বে টার্মিনাল পর্যন্ত রেল সংযোগ স্থাপন এবং মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে উন্নত রেল সংযোগ স্থাপন।

প্রকল্পের অংশ হিসেবে কমলাপুর এবং ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে ‘মাল্টিমডাল ট্রান্সপোর্ট হাব’ নির্মাণের সুবিধার্থে বিদ্যমান পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ সুবিধাগুলো স্থানান্তরসহ স্টেশন বিল্ডিং ইয়ার্ডগুলো পুনর্র্নিমাণের জন্য একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হবে।

এছাড়া ফৌজদারহাট থেকে চট্টগ্রামের গুডস পোর্ট ইয়ার্ড এবং বে টার্মিনাল পর্যন্ত রেল সংযোগ উন্নয়নের জন্য একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হবে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, গ্রিন রেল পরিবহন ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে চালু হলে, কার্বন নির্গমন কম হবে যা পরিবেশ দূষণ কমাতেও সাহায্য করবে।