Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিলো গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন।

শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্যরা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন। পরে যমুনার বাইরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ নিয়ে জানানো হয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ বলেন, সারাদেশে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। যারা গণমাধ্যমের স্বার্থ নিয়ে কাজ করেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ১৪০০ লোকের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি।

তিনি বলেন, সাংবাদিকদের কী সমস্যা সেটা চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছি, সেটা মোকাবিলার উপায় কী হতে পারে, সেটা আমরা এক্সপ্লোর করেছি। গণমাধ্যমের ইন্ডিভিজুয়াল সমস্যা কী সে বিষয়ে জানার চেষ্টা করেছি। সমাধানের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উত্তম বেস্ট পলিসি থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করছি। সেগুলো থেকে বাংলাদেশে কতটা প্রযোজ্য এবং প্রয়োগ করা যাবে, সেটা বিবেচনা নিয়ে আমরা এই সুপারিশমাল তৈরি করেছি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের একটা বড় সমস্যা হলো গণমাধ্যমে কালো টাকা ঢুকে গেছে। গণমাধ্যমে মালিকানা সমস্যাটা একটা বড় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। মালিক হয়েছেন কারা, কী পদ্ধতিতে তারা মালিক হয়েছেন, আমরা জানি না। মালিক কারা তাদের আমরা চিনি কিন্তু তারা কী পদ্ধতিতে মালিক হয়েছেন সেটা আমরা জানি না। প্রকাশ্য, উন্মুক্ত, স্বচ্ছ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে টেলিভিশনের লাইসেন্স, সংবাদপত্র ও অনলাইনে নিবন্ধন দেওয়া হয় নাই।

কামাল আহমেদ বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর কিন্তু মালিক পরিবর্তন হয়নি, মালিকরা নিউজ রুমের পরিবর্তন এনেছে। সম্পাদকীয় নেতৃত্বের পরিবর্তন এনেছেন। রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটছে বলে মনে করছে, তাদের সঙ্গে এক ধরনের লিয়াজোঁ করার দরকার। সে কারণে নেতৃত্বের পরিবর্তন এনেছেন। মালিকদের প্রকাশ্যে ঘোষণা দিতে হয়নি, তিনি যে গণমাধ্যমে বিনিয়োগ করছেন সেটার উৎস কী? আমরা গণমাধ্যম থেকে রাজনীতিবিদদের জবাব দিতে চাচ্ছি, কিন্তু গণমাধ্যমের জবাবদিহিতা কোথায়? একটা পত্রিকা আর একটা পত্রিকার বিরুদ্ধে বলছে তার জবাবদিহিতা কোথায়? এইসব প্রশ্ন আমরা বিবেচনা করে দেখেছি।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৮ নভেম্বর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে ‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন’ গঠনের জন্য সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। কমিশনের প্রতিবেদন দেওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত।

কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, দ্য ফিন্যানসিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের প্রতিনিধি শামসুল হক জাহিদ, অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন ওনার্স (অ্যাটকো) প্রতিনিধি, নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সচিব আখতার হোসেন খান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ, মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক সাংবাদিক জিমি আমির, ডেইলি স্টারের বগুড়া জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা সবুজ, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ডেপুটি এডিটর টিটু দত্ত গুপ্ত এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন।

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিলো গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন

প্রকাশের সময় : ০২:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন।

শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্যরা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন। পরে যমুনার বাইরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ নিয়ে জানানো হয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ বলেন, সারাদেশে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। যারা গণমাধ্যমের স্বার্থ নিয়ে কাজ করেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ১৪০০ লোকের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি।

তিনি বলেন, সাংবাদিকদের কী সমস্যা সেটা চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছি, সেটা মোকাবিলার উপায় কী হতে পারে, সেটা আমরা এক্সপ্লোর করেছি। গণমাধ্যমের ইন্ডিভিজুয়াল সমস্যা কী সে বিষয়ে জানার চেষ্টা করেছি। সমাধানের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উত্তম বেস্ট পলিসি থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করছি। সেগুলো থেকে বাংলাদেশে কতটা প্রযোজ্য এবং প্রয়োগ করা যাবে, সেটা বিবেচনা নিয়ে আমরা এই সুপারিশমাল তৈরি করেছি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের একটা বড় সমস্যা হলো গণমাধ্যমে কালো টাকা ঢুকে গেছে। গণমাধ্যমে মালিকানা সমস্যাটা একটা বড় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। মালিক হয়েছেন কারা, কী পদ্ধতিতে তারা মালিক হয়েছেন, আমরা জানি না। মালিক কারা তাদের আমরা চিনি কিন্তু তারা কী পদ্ধতিতে মালিক হয়েছেন সেটা আমরা জানি না। প্রকাশ্য, উন্মুক্ত, স্বচ্ছ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে টেলিভিশনের লাইসেন্স, সংবাদপত্র ও অনলাইনে নিবন্ধন দেওয়া হয় নাই।

কামাল আহমেদ বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর কিন্তু মালিক পরিবর্তন হয়নি, মালিকরা নিউজ রুমের পরিবর্তন এনেছে। সম্পাদকীয় নেতৃত্বের পরিবর্তন এনেছেন। রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটছে বলে মনে করছে, তাদের সঙ্গে এক ধরনের লিয়াজোঁ করার দরকার। সে কারণে নেতৃত্বের পরিবর্তন এনেছেন। মালিকদের প্রকাশ্যে ঘোষণা দিতে হয়নি, তিনি যে গণমাধ্যমে বিনিয়োগ করছেন সেটার উৎস কী? আমরা গণমাধ্যম থেকে রাজনীতিবিদদের জবাব দিতে চাচ্ছি, কিন্তু গণমাধ্যমের জবাবদিহিতা কোথায়? একটা পত্রিকা আর একটা পত্রিকার বিরুদ্ধে বলছে তার জবাবদিহিতা কোথায়? এইসব প্রশ্ন আমরা বিবেচনা করে দেখেছি।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৮ নভেম্বর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে ‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন’ গঠনের জন্য সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। কমিশনের প্রতিবেদন দেওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত।

কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, দ্য ফিন্যানসিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের প্রতিনিধি শামসুল হক জাহিদ, অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন ওনার্স (অ্যাটকো) প্রতিনিধি, নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সচিব আখতার হোসেন খান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ, মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক সাংবাদিক জিমি আমির, ডেইলি স্টারের বগুড়া জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা সবুজ, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ডেপুটি এডিটর টিটু দত্ত গুপ্ত এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন।