নিজস্ব প্রতিবেদক :
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছে বিএনপি। একইসঙ্গে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে দলটি।
শনিবার (৫ অক্টোবর) সংলাপ শেষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন স্থগিত করে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমতের ভিত্তিতে অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ করার বিষয়ে কথা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের সংস্কার, নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
বিএনপির পক্ষে থেকে আগামী নির্বাচন কবে হবে তার একটি রোডম্যাপ ঘোষণা দিতে প্রধান উপদেষ্টাকে আহ্বান জানানো হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ভোটার আইডি কার্ড স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়ার আইন করা হয়েছিল, তা অধ্যাদেশ জারি করে বাতিলের দাবি জানিয়েছি।
বিতর্কিত কোনো ব্যক্তিকে যেন নির্বাচন সংস্কারে গঠিত কমিটিতে রাখা না হয় তারও দাবি জানিয়েছে বিএনপি। মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সব ইউনিয়ন পরিষদ (চেয়ারম্যান-মেম্বার) বাতিল করতে বলেছি।
২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের ভুয়া, বিতর্কিত ও পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সাবেক তিন নির্বাচন কমিশনের সব কমিশনারদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান ও সালাউদ্দিন আহমেদ।
এর আগে গত ২৯ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেশের সমসাময়িক ইস্যুতে বৈঠক করে বিএনপির প্রতিনিধি দল।