Dhaka বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রী শুধু রুটিন কাজ করবেন নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেবে না : আইনমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:২২:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩
  • ১৮৭ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বুধবার (১৬ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) তফসিল ঘোষণা করেছে। এখন প্রধানমন্ত্রী শুধু রুটিন কাজ করবেন। কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত নেবেন না, আইন হবে না।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, নির্বাচনকে প্রভাবিত করে এমন কোনো কাজ সরকার করবে না। শুধু রুটিন কাজ করা হবে। প্রতিদিনের কার্যক্রম করবেন সরকারি কর্মকর্তারা। নতুন করে কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা হবে না এবং নীতিগত পর্যায়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না সরকার। আইন হবে না, কারণ সংসদ বসবে না। নতুন করে কোনো উন্নয়ন কাজের উদ্বোধনও করা হবে না।

তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী কাজ-কর্ম নির্বাচন কমিশন দায়িত্বশীলভাবে করবে। নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনের কাজে, যে সব সরকারি বিভাগ, সংস্থা বা অফিস তাদের প্রয়োজন হবে এবং নির্বাচন প্রভাবিত হবে না সেইসব কাজ করবে যে সরকার আছে সেই সরকার। যে সরকার আছে, সেই সরকার গতানুগতিক রুটিন কাজগুলো করে যাবে। আর গণতন্ত্রে মূল বক্তব্য যখন নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এখন থেকে রুটিন কাজ করে যাবে।

পলিসি বলতে আইন হবে না, বদলি হবে না, এমন কিছু-সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, আইন তো হবেই না, কারণ সংসদ বসবে না। কিন্তু এমন কথা আমি বলতে পারি না, এটা একটা স্বাধীন দেশ, যদি প্রয়োজন হয় যে অধ্যাদেশ দিয়ে আইন জারি করতে হবে, কোনো বিশেষ কারণে বিশেষ ব্যবস্থায় অত্যন্ত জরুরি কারণে, সেখানে আইন হবে না এ কথা আমি বলতে পারি না।

তিনি বলেন, গতানুগতিক অফিস চলার ব্যাপারে, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বেতন পাওয়ার ব্যাপারে, প্রতিদিনকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে, এসব বিষয়ে অবশ্যই এ সরকার কাজ করবে। উন্নয়ন কাজ যেগুলো আছে, সেগুলো চলমান থাকবে।

তবে নতুন করে কোনো উন্নয়ন কাজ শুরু হবে না, ল এবং নতুন করে কোনো প্রকল্প নেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, একটি দলের পক্ষে যা কিছু নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে, এ রকম কাজ আমরা করব না।

মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু টেকনোক্র্যাট কোটার মন্ত্রীরাও কী থাকবেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেই সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগ মোটেও আমার অধীনে না। ম্যাজিস্ট্রেটরাও না। বিচার বিভাগ স্বাধীন এবং অধস্তন আদালতগুলো সংবিধান অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের আওতায়। সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতায় তারা বলবে, আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলবে না। আমি বহুবার বলেছি, আইন মন্ত্রণালয় হচ্ছে, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের একটি সেতুবন্ধন।

পুলিশকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাকি নির্বাচন কমিশন চালাবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যাপারটি হচ্ছে যদি পুলিশের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য থাকে, তাহলে তারা সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাবে এবং নির্বাচন কমিশন যেটা বলেছে, সেটা যৌক্তিক হলে নির্বাচন কমিশন সেটা করবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নির্বাচিত সরকার না হলে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না : আমীর খসরু

প্রধানমন্ত্রী শুধু রুটিন কাজ করবেন নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেবে না : আইনমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৩:২২:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বুধবার (১৬ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) তফসিল ঘোষণা করেছে। এখন প্রধানমন্ত্রী শুধু রুটিন কাজ করবেন। কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত নেবেন না, আইন হবে না।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, নির্বাচনকে প্রভাবিত করে এমন কোনো কাজ সরকার করবে না। শুধু রুটিন কাজ করা হবে। প্রতিদিনের কার্যক্রম করবেন সরকারি কর্মকর্তারা। নতুন করে কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা হবে না এবং নীতিগত পর্যায়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না সরকার। আইন হবে না, কারণ সংসদ বসবে না। নতুন করে কোনো উন্নয়ন কাজের উদ্বোধনও করা হবে না।

তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী কাজ-কর্ম নির্বাচন কমিশন দায়িত্বশীলভাবে করবে। নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনের কাজে, যে সব সরকারি বিভাগ, সংস্থা বা অফিস তাদের প্রয়োজন হবে এবং নির্বাচন প্রভাবিত হবে না সেইসব কাজ করবে যে সরকার আছে সেই সরকার। যে সরকার আছে, সেই সরকার গতানুগতিক রুটিন কাজগুলো করে যাবে। আর গণতন্ত্রে মূল বক্তব্য যখন নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এখন থেকে রুটিন কাজ করে যাবে।

পলিসি বলতে আইন হবে না, বদলি হবে না, এমন কিছু-সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, আইন তো হবেই না, কারণ সংসদ বসবে না। কিন্তু এমন কথা আমি বলতে পারি না, এটা একটা স্বাধীন দেশ, যদি প্রয়োজন হয় যে অধ্যাদেশ দিয়ে আইন জারি করতে হবে, কোনো বিশেষ কারণে বিশেষ ব্যবস্থায় অত্যন্ত জরুরি কারণে, সেখানে আইন হবে না এ কথা আমি বলতে পারি না।

তিনি বলেন, গতানুগতিক অফিস চলার ব্যাপারে, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বেতন পাওয়ার ব্যাপারে, প্রতিদিনকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে, এসব বিষয়ে অবশ্যই এ সরকার কাজ করবে। উন্নয়ন কাজ যেগুলো আছে, সেগুলো চলমান থাকবে।

তবে নতুন করে কোনো উন্নয়ন কাজ শুরু হবে না, ল এবং নতুন করে কোনো প্রকল্প নেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, একটি দলের পক্ষে যা কিছু নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে, এ রকম কাজ আমরা করব না।

মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু টেকনোক্র্যাট কোটার মন্ত্রীরাও কী থাকবেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেই সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগ মোটেও আমার অধীনে না। ম্যাজিস্ট্রেটরাও না। বিচার বিভাগ স্বাধীন এবং অধস্তন আদালতগুলো সংবিধান অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের আওতায়। সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতায় তারা বলবে, আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলবে না। আমি বহুবার বলেছি, আইন মন্ত্রণালয় হচ্ছে, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের একটি সেতুবন্ধন।

পুলিশকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাকি নির্বাচন কমিশন চালাবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যাপারটি হচ্ছে যদি পুলিশের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য থাকে, তাহলে তারা সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাবে এবং নির্বাচন কমিশন যেটা বলেছে, সেটা যৌক্তিক হলে নির্বাচন কমিশন সেটা করবে।