Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দুই ঘণ্টা ছিলাম, সিন্ডিকেটের বিষয়ে কথা হয়নি : বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলনের পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দুই ঘণ্টা ছিলাম, আমেরিকান চেম্বার্সের প্রতিনিধিরাও ছিল। কিন্তু সিন্ডিকেট ভাঙার বিষয়ে কোনও কথা হয়নি, উনিও জিজ্ঞেস করেননি।

বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুর ১২টায় রাজধানীর একটি হোটেলে সফররত ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ বিজনেস কাউন্সিলের সঙ্গে সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বাজারে সিন্ডিকেট আছে কিন্তু আমরা হাত দিতে পারি না বাণিজ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যের পরে বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন টিপু মুনশি। তিনি বলেন, গতকাল সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী কি বলেছেন, কী মিন করেছেন (বোঝাতে চেয়েছেন), সেটা তিনি ভালো জানেন। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারবো না।

তিনি আরো বলেন, বাজারে সিন্ডিকেট আছে, সিন্ডিকেট ভাঙা হবে এ ধরনের কথা আমি কখনো বলিনি। আমি বলেছি, মাঝে মধ্যে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়, সেক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কী? ভোক্তা অধিকারসহ নানা সংস্থা কাজ করছে। কিন্তু জনবল কম। এটা নিয়ে নানা সময়ে কথা বলেছি।

বাজারে সিন্ডিকেট বলে কিছু নেই দাবি করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গ্রাম থেকে শুরু করে লক্ষ লক্ষ মানুষ ডিম উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। এটাকে সিন্ডিকেট বলব কীভাবে? এই যে বিশাল জায়গা থেকে দাম বাড়াচ্ছে তারা।

টিপু মুনশি বলেন, ইংল্যান্ডে তিনটার বেশি টমেটো কেনা যায় না। দোকানগুলোতে তেলের যে অবস্থা এটা গ্লোবাল ক্রাইসিস। যার প্রভাব আমাদের ওপরও পড়েছে। এই মুহুর্তে দেখেন পেঁয়াজের ওপর ভারত ট্যাক্স দিয়ে দিয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি গ্লোবাল এই সিচুয়েশনের মধ্যে কীভাবে এই ধরনের সমস্যা সমাধান করা যায়।

আপনি বলেছিলেন, যখন ক্রাইসিস শুরু হয় তখন ব্যবসায়ীরা সুবিধা নিলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে আরও বেশি ক্রাইসিস তৈরি হতে পারে, সে কারণে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। একই সঙ্গে জাতীয় সংসদেও আপনি এটি বলেছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি যে কথাটা বলেছিলাম, জেল-জুলুম এ ধরনের ব্যবস্থা নিলে পরে…। আমি সেটেল করছি আলোচনার মাধ্যমে, যেন এটা লজিক্যাল হয়। হঠাৎ করে জেল-জুলুম দিলে পরে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। আমি এটাই বলেছিলাম। তবে আলোচনা করে আমরা ব্যবস্থা নিতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ার পর আমি বলেছিলাম প্রয়োজনে সরবরাহ ঠিক রাখতে ডিম আমদানি করা হবে। সে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি সবসময়।’

কোনোভাবেই তো বাজার নিয়ন্ত্রণে আসছে না, আজকে একটা বাড়লে কালকে আরেকটার দাম বাড়ছে। সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। শ্রীলংকার মূল্যস্ফীতি অনেকটা এগিয়েছে, আমরা সে তুলনায় পিছিয়ে আছি- এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘শ্রীলংকা আর আমাদের অবস্থাটা ভিন্ন। শ্রীলংকার বড় যে আয় সেটা হলো পর্যটন খাত। সেটা তারা রিভাইভ করেছে বলে তারা উন্নতি করছে। পাশাপাশি ছোট দেশ, সেজন্য তারা উতরে গেছে। আমাদের তো বিশাল বড় একটা দেশ। আমাদের চেষ্টা চলছে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমাদের একটু কৃচ্ছ্র সাধন করতে হবে। আমাদের প্রতিনিয়ত চেষ্টা চলছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দুই ঘণ্টা ছিলাম, সিন্ডিকেটের বিষয়ে কথা হয়নি : বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০১:২০:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলনের পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দুই ঘণ্টা ছিলাম, আমেরিকান চেম্বার্সের প্রতিনিধিরাও ছিল। কিন্তু সিন্ডিকেট ভাঙার বিষয়ে কোনও কথা হয়নি, উনিও জিজ্ঞেস করেননি।

বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুর ১২টায় রাজধানীর একটি হোটেলে সফররত ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ বিজনেস কাউন্সিলের সঙ্গে সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বাজারে সিন্ডিকেট আছে কিন্তু আমরা হাত দিতে পারি না বাণিজ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যের পরে বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন টিপু মুনশি। তিনি বলেন, গতকাল সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী কি বলেছেন, কী মিন করেছেন (বোঝাতে চেয়েছেন), সেটা তিনি ভালো জানেন। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারবো না।

তিনি আরো বলেন, বাজারে সিন্ডিকেট আছে, সিন্ডিকেট ভাঙা হবে এ ধরনের কথা আমি কখনো বলিনি। আমি বলেছি, মাঝে মধ্যে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়, সেক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কী? ভোক্তা অধিকারসহ নানা সংস্থা কাজ করছে। কিন্তু জনবল কম। এটা নিয়ে নানা সময়ে কথা বলেছি।

বাজারে সিন্ডিকেট বলে কিছু নেই দাবি করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গ্রাম থেকে শুরু করে লক্ষ লক্ষ মানুষ ডিম উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। এটাকে সিন্ডিকেট বলব কীভাবে? এই যে বিশাল জায়গা থেকে দাম বাড়াচ্ছে তারা।

টিপু মুনশি বলেন, ইংল্যান্ডে তিনটার বেশি টমেটো কেনা যায় না। দোকানগুলোতে তেলের যে অবস্থা এটা গ্লোবাল ক্রাইসিস। যার প্রভাব আমাদের ওপরও পড়েছে। এই মুহুর্তে দেখেন পেঁয়াজের ওপর ভারত ট্যাক্স দিয়ে দিয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি গ্লোবাল এই সিচুয়েশনের মধ্যে কীভাবে এই ধরনের সমস্যা সমাধান করা যায়।

আপনি বলেছিলেন, যখন ক্রাইসিস শুরু হয় তখন ব্যবসায়ীরা সুবিধা নিলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে আরও বেশি ক্রাইসিস তৈরি হতে পারে, সে কারণে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। একই সঙ্গে জাতীয় সংসদেও আপনি এটি বলেছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি যে কথাটা বলেছিলাম, জেল-জুলুম এ ধরনের ব্যবস্থা নিলে পরে…। আমি সেটেল করছি আলোচনার মাধ্যমে, যেন এটা লজিক্যাল হয়। হঠাৎ করে জেল-জুলুম দিলে পরে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। আমি এটাই বলেছিলাম। তবে আলোচনা করে আমরা ব্যবস্থা নিতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ার পর আমি বলেছিলাম প্রয়োজনে সরবরাহ ঠিক রাখতে ডিম আমদানি করা হবে। সে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি সবসময়।’

কোনোভাবেই তো বাজার নিয়ন্ত্রণে আসছে না, আজকে একটা বাড়লে কালকে আরেকটার দাম বাড়ছে। সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। শ্রীলংকার মূল্যস্ফীতি অনেকটা এগিয়েছে, আমরা সে তুলনায় পিছিয়ে আছি- এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘শ্রীলংকা আর আমাদের অবস্থাটা ভিন্ন। শ্রীলংকার বড় যে আয় সেটা হলো পর্যটন খাত। সেটা তারা রিভাইভ করেছে বলে তারা উন্নতি করছে। পাশাপাশি ছোট দেশ, সেজন্য তারা উতরে গেছে। আমাদের তো বিশাল বড় একটা দেশ। আমাদের চেষ্টা চলছে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমাদের একটু কৃচ্ছ্র সাধন করতে হবে। আমাদের প্রতিনিয়ত চেষ্টা চলছে।