Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে বিশেষ ট্রেনে মানুষের ঢল

ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি : 

আওয়ামী লীগের ময়মনসিংহ বিভাগীয় জনসভায় যোগ দিতে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে বিশেষ ট্রেনে ময়মনসিংহে এসেছেন নেতাকর্মীরা। ট্রেনের ভেতরের আসন পরিপূর্ণ হওয়ায় নেতাকর্মীরা উঠেছেন ছাদেও। ইঞ্জিনের সামনেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়াতে দেখা গেছে তাদের। এ যেন ঈদে ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরার প্রতিচ্ছবি।

শনিবার (১১ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে ময়মনসিংহ রেলওয়ে জংশন স্টেশনে দেখা মেলে এমন চিত্র। সকাল থেকে বিশেষ ৮টি ট্রেনে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় মানুষ আসেন। স্টেশন থেকে মিছিল নিয়ে যান সমাবেশস্থলে।

ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মে গিয়ে দেখা যায়, ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষকে ট্রেনের ছাদে, ইঞ্জিনে, ভেতরে বাইরে আসতে দেখা গেছে। গফরগাঁও থেকে আসা আওয়ামী লীগ কর্মীরা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে। গফরগাঁও উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ ট্রেন, বাসসহ বিভিন্ন যানে করে ময়মনসিংহে ছুটে আসছেন শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একনজর দেখার জন্য।

pm

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষ্যে জামালপুর-ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা এই তিন জেলা থেকে বিশেষ আটটি বিশেষ ট্রেন বিভাগীয় শহর ময়মনসিংহ উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসতে শুরু করে শনিবার সকাল থেকে। ময়মনসিংহ জেলায় যাতায়াতের জন্য গফরগাঁও-ময়মনসিংহ, নান্দাইল-ময়মনসিংহ, দেওয়ানগঞ্জ বাজার-জামালপুর-ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা-ময়মনসিংহ, জামালপুরের সরিষাবাড়ির অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান স্টেশন-ময়মনসিংহ, গৌরীপুর-ময়মনসিংহ, ঈশ্বরগঞ্জ-ময়মনসিংহ, জারিয়া-ঝাঞ্ঝাইল-ময়মনসিংহ রুটে ৮টি বিশেষ ট্রেন এসেছে জেলা ও উপজেলা থেকে।

জনসভাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ সভাস্থলে আসতে শুরু করেছেন। দুপুর গড়াতেই মানুষের পদচারণায় জনসভাস্থল ভরে উঠতে শুরু করেছে। পুরো ময়মনসিংহ শহরে এখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে মানুষের ঢল নেমেছে।

গফরগাঁও থেকে আসা রাইসুল রবিন বলেন, সকাল থেকে আমরা স্টেশনে বসেছিলাম ট্রেনের অপেক্ষায়। অবশেষে আমরা আসতে পেরেছি। আমাদের মধ্যে অনেক উদ্দীপনা কাজ করছে। কারণ নেত্রীকে আজকে আমরা দেখতে পারবো। প্রায় ৫০ হাজার লোক আমরা গফরগাঁও থেকে এসেছি।

নেত্রকোনা থেকে আসা ব্যারিস্টার মুহাম্মদ রানা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের জন্য অনেক উন্নয়ন করেছেন। আমরা তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে এসেছি। আশাকরি, তিনি আমাদের জন্য আরও উন্নয়ন নিয়ে আসবেন।

গফরগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় এমপি ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল জানান, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় গফরগাঁও থেকে ৫০ হাজার লোকের সমাগম হইয়ার কথা থাকলেও মানুষের মাঝে এমন সাড়া পড়েছে প্রধানমন্ত্রীকে একনজর দেখার জন্য গফরগাঁও উপজেলা থেকে কমপক্ষে এক লাখ লোক জনসভায় আসছেন।

শুধু গফরগাঁও নয়, ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলাসহ ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা জনসভায় যোগদানের জন্য আসতে শুরু করেছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকাল ৩টার পর জনসভাস্থলে উপস্থিত হবেন। তাকে একনজর দেখার জন্য দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ সকাল থেকেই মাঠে অপেক্ষা করছেন।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে বিশেষ ট্রেনে মানুষের ঢল

প্রকাশের সময় : ০৩:০৩:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩

ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি : 

আওয়ামী লীগের ময়মনসিংহ বিভাগীয় জনসভায় যোগ দিতে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে বিশেষ ট্রেনে ময়মনসিংহে এসেছেন নেতাকর্মীরা। ট্রেনের ভেতরের আসন পরিপূর্ণ হওয়ায় নেতাকর্মীরা উঠেছেন ছাদেও। ইঞ্জিনের সামনেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়াতে দেখা গেছে তাদের। এ যেন ঈদে ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরার প্রতিচ্ছবি।

শনিবার (১১ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে ময়মনসিংহ রেলওয়ে জংশন স্টেশনে দেখা মেলে এমন চিত্র। সকাল থেকে বিশেষ ৮টি ট্রেনে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় মানুষ আসেন। স্টেশন থেকে মিছিল নিয়ে যান সমাবেশস্থলে।

ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মে গিয়ে দেখা যায়, ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষকে ট্রেনের ছাদে, ইঞ্জিনে, ভেতরে বাইরে আসতে দেখা গেছে। গফরগাঁও থেকে আসা আওয়ামী লীগ কর্মীরা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে। গফরগাঁও উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ ট্রেন, বাসসহ বিভিন্ন যানে করে ময়মনসিংহে ছুটে আসছেন শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একনজর দেখার জন্য।

pm

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষ্যে জামালপুর-ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা এই তিন জেলা থেকে বিশেষ আটটি বিশেষ ট্রেন বিভাগীয় শহর ময়মনসিংহ উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসতে শুরু করে শনিবার সকাল থেকে। ময়মনসিংহ জেলায় যাতায়াতের জন্য গফরগাঁও-ময়মনসিংহ, নান্দাইল-ময়মনসিংহ, দেওয়ানগঞ্জ বাজার-জামালপুর-ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা-ময়মনসিংহ, জামালপুরের সরিষাবাড়ির অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান স্টেশন-ময়মনসিংহ, গৌরীপুর-ময়মনসিংহ, ঈশ্বরগঞ্জ-ময়মনসিংহ, জারিয়া-ঝাঞ্ঝাইল-ময়মনসিংহ রুটে ৮টি বিশেষ ট্রেন এসেছে জেলা ও উপজেলা থেকে।

জনসভাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ সভাস্থলে আসতে শুরু করেছেন। দুপুর গড়াতেই মানুষের পদচারণায় জনসভাস্থল ভরে উঠতে শুরু করেছে। পুরো ময়মনসিংহ শহরে এখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে মানুষের ঢল নেমেছে।

গফরগাঁও থেকে আসা রাইসুল রবিন বলেন, সকাল থেকে আমরা স্টেশনে বসেছিলাম ট্রেনের অপেক্ষায়। অবশেষে আমরা আসতে পেরেছি। আমাদের মধ্যে অনেক উদ্দীপনা কাজ করছে। কারণ নেত্রীকে আজকে আমরা দেখতে পারবো। প্রায় ৫০ হাজার লোক আমরা গফরগাঁও থেকে এসেছি।

নেত্রকোনা থেকে আসা ব্যারিস্টার মুহাম্মদ রানা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের জন্য অনেক উন্নয়ন করেছেন। আমরা তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে এসেছি। আশাকরি, তিনি আমাদের জন্য আরও উন্নয়ন নিয়ে আসবেন।

গফরগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় এমপি ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল জানান, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় গফরগাঁও থেকে ৫০ হাজার লোকের সমাগম হইয়ার কথা থাকলেও মানুষের মাঝে এমন সাড়া পড়েছে প্রধানমন্ত্রীকে একনজর দেখার জন্য গফরগাঁও উপজেলা থেকে কমপক্ষে এক লাখ লোক জনসভায় আসছেন।

শুধু গফরগাঁও নয়, ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলাসহ ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা জনসভায় যোগদানের জন্য আসতে শুরু করেছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকাল ৩টার পর জনসভাস্থলে উপস্থিত হবেন। তাকে একনজর দেখার জন্য দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ সকাল থেকেই মাঠে অপেক্ষা করছেন।