Dhaka বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রীকে পানি ছুড়ে মারা নিয়ে কসোভোর পার্লামেন্টে মারামারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

কসোভোর উত্তরাঞ্চলে সার্ব জনগোষ্ঠীর সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনে সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে বক্তব্য দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী আলবিন কুর্তি। ওই সময় বিরোধী দলের একজন আইনপ্রণেতা বোতল থেকে পানি ছুড়ে মারেন প্রধানমন্ত্রীর দিকে। সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে মারিমারির হয়।

প্রধানমন্ত্রী কুর্তি বুধবার ঘোষণা করেন, কসোভোর উত্তরাঞ্চলে সার্ব অধ্যুষিত এলাকায় চারটি পৌর ভবনের বাইরে পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তাদের সংখ্যা কমানো হবে। প্রতিটি পৌর এলাকায় নতুন করে মেয়র নির্বাচন হবে। প্রধানমন্ত্রীর ওই ঘোষণার পর পৌরসভা ভবনগুলো থেকে পুলিশের বিশেষ শাখার সদস্য কমানো হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিল বিরোধীরা।

ক্ষোভের মধ্যেই বৃহস্পতিবার ডেমোক্রেটিক পার্টি অব কসোভোর আইনপ্রণেতা মেরগিম লুশতাকো পানি ছোড়েন বক্তব্যরত প্রধানমন্ত্রী কুর্তির দিকে। এ নিয়ে শুরু হয়ে সরকারি দল ও বিরোধীদের মধ্যে মারামারি।

ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রী আলবিন কুর্তি পার্লামেন্টের বক্তৃতা মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিচ্ছিলেন। এ সময় বিরোধী আইনপ্রণেতা স্বাভাবিক ভঙ্গিতে এগিয়ে গিয়ে তাঁর ও উপপ্রধানমন্ত্রীর ওপর পানি ছুড়ে মারেন। এতে দু’পক্ষের ৫০ জনের মতো আইনপ্রণেতা মারামারিতে জড়ান। নারী আইনপ্রণেতাসহ কয়েকজন দু’পক্ষকে সংযত করার চেষ্টা করেন। প্রধানমন্ত্রী কুর্তিকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু তখনও দু’পক্ষের আইনজীবীরা কিলঘুসির মাধ্যমে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, কসোভোর উত্তরাঞ্চলে কুর্তির নীতির সমালোচনা করেছে বিরোধী দলগুলো। এ নীতির কারণে গুরুত্বপূর্ণ পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে কসোভোর সম্পর্কে ভাটা পড়েছে।

চলতি বছরের মে মাসে উত্তরাঞ্চলে অনুষ্ঠিত নির্বাচন বড় পরিসরে বর্জন করে সার্বরা। সে নির্বাচনে জয়ী আলবেনীয় মেয়ররা পুলিশের সহায়তায় দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ওই মাসে উত্তরাঞ্চলে সহিংসতার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী কুর্তিকে চাপ দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

স্থানীয় সার্বদের সঙ্গে কসোভো পুলিশ ও ন্যাটোর নেতৃত্বাধীন শান্তিরক্ষীদের সংঘর্ষে অনেকে আহত হন। এ ঘটনায় ১৯৯৮-৯৯ সালের মতো সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওই সংঘাতে প্রাণহানি হয়েছিল ১০ হাজারের বেশি মানুষের।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আপস করলে খালেদা জিয়া অনেক আগেই ক্ষমতায় বসতে পারতেন : সেলিমা রহমান

প্রধানমন্ত্রীকে পানি ছুড়ে মারা নিয়ে কসোভোর পার্লামেন্টে মারামারি

প্রকাশের সময় : ১১:৫৫:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

কসোভোর উত্তরাঞ্চলে সার্ব জনগোষ্ঠীর সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনে সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে বক্তব্য দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী আলবিন কুর্তি। ওই সময় বিরোধী দলের একজন আইনপ্রণেতা বোতল থেকে পানি ছুড়ে মারেন প্রধানমন্ত্রীর দিকে। সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে মারিমারির হয়।

প্রধানমন্ত্রী কুর্তি বুধবার ঘোষণা করেন, কসোভোর উত্তরাঞ্চলে সার্ব অধ্যুষিত এলাকায় চারটি পৌর ভবনের বাইরে পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তাদের সংখ্যা কমানো হবে। প্রতিটি পৌর এলাকায় নতুন করে মেয়র নির্বাচন হবে। প্রধানমন্ত্রীর ওই ঘোষণার পর পৌরসভা ভবনগুলো থেকে পুলিশের বিশেষ শাখার সদস্য কমানো হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিল বিরোধীরা।

ক্ষোভের মধ্যেই বৃহস্পতিবার ডেমোক্রেটিক পার্টি অব কসোভোর আইনপ্রণেতা মেরগিম লুশতাকো পানি ছোড়েন বক্তব্যরত প্রধানমন্ত্রী কুর্তির দিকে। এ নিয়ে শুরু হয়ে সরকারি দল ও বিরোধীদের মধ্যে মারামারি।

ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রী আলবিন কুর্তি পার্লামেন্টের বক্তৃতা মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিচ্ছিলেন। এ সময় বিরোধী আইনপ্রণেতা স্বাভাবিক ভঙ্গিতে এগিয়ে গিয়ে তাঁর ও উপপ্রধানমন্ত্রীর ওপর পানি ছুড়ে মারেন। এতে দু’পক্ষের ৫০ জনের মতো আইনপ্রণেতা মারামারিতে জড়ান। নারী আইনপ্রণেতাসহ কয়েকজন দু’পক্ষকে সংযত করার চেষ্টা করেন। প্রধানমন্ত্রী কুর্তিকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু তখনও দু’পক্ষের আইনজীবীরা কিলঘুসির মাধ্যমে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, কসোভোর উত্তরাঞ্চলে কুর্তির নীতির সমালোচনা করেছে বিরোধী দলগুলো। এ নীতির কারণে গুরুত্বপূর্ণ পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে কসোভোর সম্পর্কে ভাটা পড়েছে।

চলতি বছরের মে মাসে উত্তরাঞ্চলে অনুষ্ঠিত নির্বাচন বড় পরিসরে বর্জন করে সার্বরা। সে নির্বাচনে জয়ী আলবেনীয় মেয়ররা পুলিশের সহায়তায় দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ওই মাসে উত্তরাঞ্চলে সহিংসতার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী কুর্তিকে চাপ দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

স্থানীয় সার্বদের সঙ্গে কসোভো পুলিশ ও ন্যাটোর নেতৃত্বাধীন শান্তিরক্ষীদের সংঘর্ষে অনেকে আহত হন। এ ঘটনায় ১৯৯৮-৯৯ সালের মতো সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওই সংঘাতে প্রাণহানি হয়েছিল ১০ হাজারের বেশি মানুষের।