নিজস্ব প্রতিবেদক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের তরুণ ভোটাররা আওয়ামী লীগের প্রধান লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, প্রথম ভোটার হওয়া তরুণ শ্রেণি আমাদের প্রধান টার্গেট।
রোববার (১৯ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির এক সভায় এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের বেশি টার্গেট যারা এবার প্রথমবার ভোট দিবেন। আর নির্বাচনের প্রচার হবে সেই ভাষায়, সাধারণ মানুষ যে ভাষা বুঝবে, সে ভাষা প্রয়োগ করতে হবে। যত অল্প কথা সম্ভব। প্রচার-প্রচারণার জন্য সময় একেবারেই কম। যাদের যে দায়িত্ব দিলে কাজ হবে, তাদের সে কাজ দিতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সারা দেশের মানুষ গণজাগরণের ঢেউ তুলেছে। নির্বাচন নিয়ে জনগণের আগ্রহ প্রবল। মানুষ নির্বাচন নিয়ে কতটা স্বতঃস্ফূর্ত এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের নির্বাচনী প্রচারণার মূল স্লোগান হবে, ‘নাশকতার কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও। ’ আমাদের চোরাগুপ্ত হামলা প্রতিহত করতে হবে। সারা বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন চায়। নির্বাচনের পক্ষে সারা দেশে গণজোয়ার।
তিনি বলেন, এ সময়ে চোরাগোপ্তা হামলা হচ্ছে, টেমস নদীর ওপার থেকে স্কাইপে অবৈধ বক্তব্যও দেওয়া হচ্ছে। এসব নিয়ে হঠাৎ হঠাৎ গুহা থেকে বের হয় একটা প্যাথলজিক্যাল লায়ার। এসেই যা খুশি বলে- ‘সরকার পতন সময়ের ব্যাপার। ’ এ করতে করতে ২৮ তারিখ চলে গেছে। এখন অপেক্ষা করতে হবে আগামী বছরের ২৮ তারিখের জন্য।
হরতার-অবরোধে ট্রেনে ও বাসে আগুন নিয়ে তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশে বিরোধী দলের নির্বাচনের বাইরে যে রাজনীতি সেটা বিরোধী রাজনীতি নয়, সেটা গঠনমূলক সমালোচনা নয়, স্রেফ নাশকতা। নাশকতার এই কালো হাত ভেঙে দিতে হবে। রাতে স্টেশনে থাকা ট্রেনে আগুন দেওয়া হচ্ছে। চোরাগোপ্তা হামলা- এই রাজনীতি প্রতিহত ও প্রতিরোধ করতে হবে।
নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে যে সরকার আছে, সে সরকারই থেকে যাবে। গতবারও এমনটিই হয়েছে। তবে এখানে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী থাকতে পারবেন না, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা থাকতে পারবেন না। এ পদবীগুলোতে যারা আছেন, তারা অটোমেটিক বাদ হয়ে যাবেন।
রওশন এরশাদের নির্বাচন পেছানোর আহ্বানের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, রওশন এরশাদকে বলুন নির্বাচন কমিশনারের কাছে আবেদন করতে, এটা আমাদের এখতিয়ার বহির্ভূত।
সভায় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, এমন একটি সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যখন একটি শ্রেণী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে প্রতিদিন গাড়ি পোড়াচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে ধুম্রজাল তৈরি করার চেষ্টা করছে। তবে সব ছাপিয়ে মানুষের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে এবং একটি নির্বাচনী আমেজ তৈরি হয়েছে।
সন্ধ্যার এ সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির আহ্বায়ক ড. কামাল আবু নাসের চৌধুরী। এ সময় দলের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।