Dhaka শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে সৈকত

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৩৭:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
  • ২০৭ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা পেলেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আইসিসি।

বার্ষিক পর্যালোচনা ও বাছাই প্রক্রিয়ার পর সৈকতকে এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করেছে তারা। সেই বাছাই প্রক্রিয়ার প্যানেলে ছিলেন আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার ওয়াসিম খান, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মঞ্জরেকার, অবসরে যাওয়া নিউজিল্যান্ডের আম্পায়ার টনি হিল ও কার্যনির্বাহী বিশেষজ্ঞ পরামর্শক মাইক রাইলি।

বাংলাদেশি আম্পায়ারদের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ পারফরম্যান্স করে চলেছেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। প্রথম কোনো বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। সেখানে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ম্যাচসহ মোট পাঁচটি ম্যাচে ফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের উদ্বোধনী ম্যাচসহ তিনটি ম্যাচে চতুর্থ আম্পায়ারের দায়িত্ব ছাড়াও তিনটি ম্যাচে টেলিভিশন আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন তিনি।

সে সব ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্সে বিশ্ব ক্রিকেটের নজর কেড়েছেন তিনি। যার কারণে সুযোগ পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আম্পায়ারিং করার। সেখানেও সুনাম কুরিয়েছেন তিনি। যার সুবাধে আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার হিসেবে জায়গা পেলেন শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত।

২০০৬ সাল থেকেই আন্তর্জাতিক প্যানেলে আছেন সৈকত। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে মিরপুরে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা শুরু করেন এই আম্পায়ার।

সৈকত এক বিবৃতিতে বলেন, আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা পাওয়া অনেক সম্মানের। নিজের দেশ থেকে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে প্যানেলে জায়গা পাওয়া সত্যিই অনেক বিশেষ কিছু। বছরের পর বছর ধরে আমার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আগামী অ্যাসাইনমেন্টগুলোর জন্য যে চ্যালেঞ্জ আছে, তার জন্য প্রস্তুত। আইসিসি ও বিসিবিকে ধন্যবাদ আমাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য। যেসব সহকর্মীরা আমার পাশে থেকতে আমার পরিবার ও বন্ধুদের ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।

২০০৬ থেকে আন্তর্জাতিক প্যানেলে আছেন সৈকত। ২০১০ সালে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিং ক্যারিয়ারে অভিষেক হয় তার। ছেলেদের ১০ টেস্ট, ৬৩ ওয়ানডে, ৪৪ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মাঠের আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেন সৈকত। মেয়েদের ১৩ ওয়ানডে ও ২৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও মাঠের আম্পায়ার ছিলেন তিনি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ব্রিজে উঠতে বাঁশের সাঁকোই ভরসা, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল স্থানীয়রা ও শিক্ষার্থীরা

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে সৈকত

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৭:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা পেলেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আইসিসি।

বার্ষিক পর্যালোচনা ও বাছাই প্রক্রিয়ার পর সৈকতকে এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করেছে তারা। সেই বাছাই প্রক্রিয়ার প্যানেলে ছিলেন আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার ওয়াসিম খান, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মঞ্জরেকার, অবসরে যাওয়া নিউজিল্যান্ডের আম্পায়ার টনি হিল ও কার্যনির্বাহী বিশেষজ্ঞ পরামর্শক মাইক রাইলি।

বাংলাদেশি আম্পায়ারদের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ পারফরম্যান্স করে চলেছেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। প্রথম কোনো বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। সেখানে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ম্যাচসহ মোট পাঁচটি ম্যাচে ফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের উদ্বোধনী ম্যাচসহ তিনটি ম্যাচে চতুর্থ আম্পায়ারের দায়িত্ব ছাড়াও তিনটি ম্যাচে টেলিভিশন আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন তিনি।

সে সব ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্সে বিশ্ব ক্রিকেটের নজর কেড়েছেন তিনি। যার কারণে সুযোগ পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আম্পায়ারিং করার। সেখানেও সুনাম কুরিয়েছেন তিনি। যার সুবাধে আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার হিসেবে জায়গা পেলেন শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত।

২০০৬ সাল থেকেই আন্তর্জাতিক প্যানেলে আছেন সৈকত। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে মিরপুরে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা শুরু করেন এই আম্পায়ার।

সৈকত এক বিবৃতিতে বলেন, আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা পাওয়া অনেক সম্মানের। নিজের দেশ থেকে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে প্যানেলে জায়গা পাওয়া সত্যিই অনেক বিশেষ কিছু। বছরের পর বছর ধরে আমার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আগামী অ্যাসাইনমেন্টগুলোর জন্য যে চ্যালেঞ্জ আছে, তার জন্য প্রস্তুত। আইসিসি ও বিসিবিকে ধন্যবাদ আমাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য। যেসব সহকর্মীরা আমার পাশে থেকতে আমার পরিবার ও বন্ধুদের ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।

২০০৬ থেকে আন্তর্জাতিক প্যানেলে আছেন সৈকত। ২০১০ সালে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিং ক্যারিয়ারে অভিষেক হয় তার। ছেলেদের ১০ টেস্ট, ৬৩ ওয়ানডে, ৪৪ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মাঠের আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেন সৈকত। মেয়েদের ১৩ ওয়ানডে ও ২৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও মাঠের আম্পায়ার ছিলেন তিনি।