Dhaka শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রত্যেকটি গুমের ঘটনা পত্রিকায় তুলে ধরতে হবে : তাজুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে সংঘটিত প্রত্যেকটি গুম ও জুলাই আন্দোলনের শহীদদের ঘটনা পত্রিকায় যথাযথভাবে তুলে ধরা অত্যন্ত জরুরি।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে দৈনিক নয়া দিগন্ত এর ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের পত্রিকাগুলো শেখ হাসিনার শাসনের ভয়াবহ পরিস্থিতি পুরোপুরি তুলে আনতে পারেনি। এখনো সেসব তুলে আনার সময় আছে। প্রত্যেকটি গুমের ঘটনা তুলে আনতে হবে। জুলাই আন্দোলনের প্রত্যেকটি শহীদের ঘটনা তুলে আনতে হবে। নতুন প্রজন্মের ভাষা, আকুতি তুলে আনতে হবে।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, জেন-জি প্রজন্ম ফার্মের মুরগি না, তারা আবাবিল পাখির মত। তিনি বলেন, এই জেন-জি প্রজন্ম স্বৈরাচারের পতনই শুধু ঘটায়নি, দিল্লি পর্যন্ত তাড়িয়ে নিয়ে গেছে।

তাজুল ইসলাম বলেন, ন্যারেটিভ তৈরিতে সংবাদপত্রের বিশাল ভূমিকা। শেখ হাসিনার ন্যারেটিভ দেশকে খাদের তলায় নিয়ে যায়। কিন্তু জেন-জি প্রজন্ম সেই অতীতের মিথ ভেঙে দিয়েছে। এক শ বছরে এমন ঘটনা বিরল। এর আগে সাংবাদিকতা ছিল তোষামোদির শিল্প। প্রশ্নে জর্জরিত করার বদলে তৈলমর্দন করা হতো। হাসিনাকে জিজ্ঞেস করা হতো, কেন আপনি নোবেল প্রাইজ পাচ্ছেন না? যে কথা আমরা ইনিয়ে-বিনিয়ে বলতে চাই, তা জেন-জি প্রজন্ম স্রেফ একটা সংলাপের মধ্য দিয়ে বলে গেছে।

জেন-জি প্রজন্মের প্রশংসা করে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, জুলাই বিপ্লবে জেন-জি’র নেটওয়ার্কিং ছিল কল্পনার বাইরে। জেন-জি প্রজন্মকে আমরা বলতাম ফার্মের মুরগি, অথচ তারা আবাবিল পাখির মতো। যারা স্বৈরাচারের পতনই শুধু ঘটায়নি, দিল্লি পর্যন্ত তাড়িয়ে নিয়ে গেছে।

তাজুল ইসলাম বলেন, নতুন প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা বুঝতে হবে নয়া দিগন্তকে। অভিযোজনের মাধ্যমে টিকে থাকতে না পারলে এই পত্রিকার অবস্থা ইত্তেফাকের মত হবে। আমাদের পত্রপত্রিকা বিগত সরকারের ভয়ের সংস্কৃতি তুলে আনতে পারেনি। এখন গণমাধ্যমের দায়িত্ব সেগুলোকে তুলে আনা, যাতে গুমের মত ঘটনা আর না ঘটে। শহীদদের কথা তুলে আনতে হবে। নয়তো আগামীর বাংলাদেশে বাস করার অধিকার আমাদের থাকবে না।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মেহেরপুরেরের দুই সীমান্তে ৬০ জনকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ

প্রত্যেকটি গুমের ঘটনা পত্রিকায় তুলে ধরতে হবে : তাজুল ইসলাম

প্রকাশের সময় : ০২:৫৭:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে সংঘটিত প্রত্যেকটি গুম ও জুলাই আন্দোলনের শহীদদের ঘটনা পত্রিকায় যথাযথভাবে তুলে ধরা অত্যন্ত জরুরি।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে দৈনিক নয়া দিগন্ত এর ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের পত্রিকাগুলো শেখ হাসিনার শাসনের ভয়াবহ পরিস্থিতি পুরোপুরি তুলে আনতে পারেনি। এখনো সেসব তুলে আনার সময় আছে। প্রত্যেকটি গুমের ঘটনা তুলে আনতে হবে। জুলাই আন্দোলনের প্রত্যেকটি শহীদের ঘটনা তুলে আনতে হবে। নতুন প্রজন্মের ভাষা, আকুতি তুলে আনতে হবে।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, জেন-জি প্রজন্ম ফার্মের মুরগি না, তারা আবাবিল পাখির মত। তিনি বলেন, এই জেন-জি প্রজন্ম স্বৈরাচারের পতনই শুধু ঘটায়নি, দিল্লি পর্যন্ত তাড়িয়ে নিয়ে গেছে।

তাজুল ইসলাম বলেন, ন্যারেটিভ তৈরিতে সংবাদপত্রের বিশাল ভূমিকা। শেখ হাসিনার ন্যারেটিভ দেশকে খাদের তলায় নিয়ে যায়। কিন্তু জেন-জি প্রজন্ম সেই অতীতের মিথ ভেঙে দিয়েছে। এক শ বছরে এমন ঘটনা বিরল। এর আগে সাংবাদিকতা ছিল তোষামোদির শিল্প। প্রশ্নে জর্জরিত করার বদলে তৈলমর্দন করা হতো। হাসিনাকে জিজ্ঞেস করা হতো, কেন আপনি নোবেল প্রাইজ পাচ্ছেন না? যে কথা আমরা ইনিয়ে-বিনিয়ে বলতে চাই, তা জেন-জি প্রজন্ম স্রেফ একটা সংলাপের মধ্য দিয়ে বলে গেছে।

জেন-জি প্রজন্মের প্রশংসা করে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, জুলাই বিপ্লবে জেন-জি’র নেটওয়ার্কিং ছিল কল্পনার বাইরে। জেন-জি প্রজন্মকে আমরা বলতাম ফার্মের মুরগি, অথচ তারা আবাবিল পাখির মতো। যারা স্বৈরাচারের পতনই শুধু ঘটায়নি, দিল্লি পর্যন্ত তাড়িয়ে নিয়ে গেছে।

তাজুল ইসলাম বলেন, নতুন প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা বুঝতে হবে নয়া দিগন্তকে। অভিযোজনের মাধ্যমে টিকে থাকতে না পারলে এই পত্রিকার অবস্থা ইত্তেফাকের মত হবে। আমাদের পত্রপত্রিকা বিগত সরকারের ভয়ের সংস্কৃতি তুলে আনতে পারেনি। এখন গণমাধ্যমের দায়িত্ব সেগুলোকে তুলে আনা, যাতে গুমের মত ঘটনা আর না ঘটে। শহীদদের কথা তুলে আনতে হবে। নয়তো আগামীর বাংলাদেশে বাস করার অধিকার আমাদের থাকবে না।