Dhaka রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রতীকের তালিকায় শাপলা না থাকায় দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না : ইসি আনোয়ারুল

সিলেট জেলা প্রতিনিধি : 

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, সাংবিধানিক আইন ও বিধি অনুযায়ী প্রতীকের তালিকায় শাপলা না থাকায় তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে সিলেট পুলিশ লাইনসে নির্বাচনী দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আয়োজিত প্রশিক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রতীক বরাদ্দ বিধিমালা অনুযায়ী যে প্রতীকগুলো থাকে সেখান থেকে একটি প্রতীক দিতে হয়। নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, তাই আইনগতভাবে কাজ করে। আইনের বাইরে নির্বাচন কমিশন কোনো কাজ করে না। আইন ও বিধি অনুযায়ী তারা (এনসিপি) যে প্রতীক চাচ্ছে সেটি দিতে পারছে না নির্বাচন কমিশন।

তিনি বলেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে না হওয়ার মতো কোনো কাজ বা কোনো ঘটনা ঘটেনি। অনেক কিছুই মিডিয়াতে এসেছে। এতে নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে না। আমরা আশা করি, রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সবার সহযোগিতায় সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সব বাহিনী প্রস্তুত এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনো চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকবে না বলে জানিয়ে তিনি বলেন, অতীতের মতো নির্বাচন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পাশাপাশি বিতর্কিত কেউ আগামী নির্বাচনী দায়িত্বে থাকতে পারবেন না।

4

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রসঙ্গে কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। অতীতে যা দেখেছেন বা শুনেছেন সেসব হওয়ার কোনো অবকাশ এবার নেই। আমরা চাই একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি। ভালো নির্বাচন আয়োজনের কোনো বিকল্প নেই।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি নিয়ে তিনি বলেন, আমরা সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, পুলিশ, কোস্টগার্ডসহ সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে ব্যাপক সহযোগিতার আশ্বাস পাচ্ছি। তাই আমরা কোনো চ্যালেঞ্জ অনুভব করছি না।

নির্বাচন প্রচলিত প্রক্রিয়ায় নাকি পিআর পদ্ধতিতে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। এটি নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করবো না। রাজনীতিবিদরাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। নির্বাচন কমিশনের কাজ হলো একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা। আমরা সরকারের ও জনগণের সহযোগিতায় সেটিই করবো।

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই, কারণ দলটির কার্যক্রম বর্তমানে আইনগতভাবে স্থগিত রয়েছে।

এ সময় পুলিশকে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে এককভাবে বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে না, আমাদের কোনো কলঙ্ক নেই। বিগত সময়ের দাগ সব বিভাগেই আছে। আমাদের যে আস্থা আর সমন্বয়য়ের সংকট তা কাটিয়ে উঠতে হবে।

নির্বাচন কমিশন কারও পক্ষপাতিত্ব বরদাশত করবে না বলে জানিয়ে ইসি আনোয়ারুল বলেন, আমাদের একটাই লক্ষ্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। তাই পারস্পরিক সমন্বয় ও সহযোগিতার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে হবে।

এদিন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী, পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ রানা, পিপিএম (সেবা), সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান, এবং সিটিএসবি (ডিসি) আফজল হোসেন প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অননুমোদিত হুটার-হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

প্রতীকের তালিকায় শাপলা না থাকায় দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না : ইসি আনোয়ারুল

প্রকাশের সময় : ১২:১৫:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

সিলেট জেলা প্রতিনিধি : 

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, সাংবিধানিক আইন ও বিধি অনুযায়ী প্রতীকের তালিকায় শাপলা না থাকায় তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে সিলেট পুলিশ লাইনসে নির্বাচনী দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আয়োজিত প্রশিক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রতীক বরাদ্দ বিধিমালা অনুযায়ী যে প্রতীকগুলো থাকে সেখান থেকে একটি প্রতীক দিতে হয়। নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, তাই আইনগতভাবে কাজ করে। আইনের বাইরে নির্বাচন কমিশন কোনো কাজ করে না। আইন ও বিধি অনুযায়ী তারা (এনসিপি) যে প্রতীক চাচ্ছে সেটি দিতে পারছে না নির্বাচন কমিশন।

তিনি বলেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে না হওয়ার মতো কোনো কাজ বা কোনো ঘটনা ঘটেনি। অনেক কিছুই মিডিয়াতে এসেছে। এতে নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে না। আমরা আশা করি, রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সবার সহযোগিতায় সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সব বাহিনী প্রস্তুত এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনো চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকবে না বলে জানিয়ে তিনি বলেন, অতীতের মতো নির্বাচন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পাশাপাশি বিতর্কিত কেউ আগামী নির্বাচনী দায়িত্বে থাকতে পারবেন না।

4

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রসঙ্গে কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। অতীতে যা দেখেছেন বা শুনেছেন সেসব হওয়ার কোনো অবকাশ এবার নেই। আমরা চাই একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি। ভালো নির্বাচন আয়োজনের কোনো বিকল্প নেই।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি নিয়ে তিনি বলেন, আমরা সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, পুলিশ, কোস্টগার্ডসহ সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে ব্যাপক সহযোগিতার আশ্বাস পাচ্ছি। তাই আমরা কোনো চ্যালেঞ্জ অনুভব করছি না।

নির্বাচন প্রচলিত প্রক্রিয়ায় নাকি পিআর পদ্ধতিতে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। এটি নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করবো না। রাজনীতিবিদরাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। নির্বাচন কমিশনের কাজ হলো একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা। আমরা সরকারের ও জনগণের সহযোগিতায় সেটিই করবো।

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই, কারণ দলটির কার্যক্রম বর্তমানে আইনগতভাবে স্থগিত রয়েছে।

এ সময় পুলিশকে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে এককভাবে বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে না, আমাদের কোনো কলঙ্ক নেই। বিগত সময়ের দাগ সব বিভাগেই আছে। আমাদের যে আস্থা আর সমন্বয়য়ের সংকট তা কাটিয়ে উঠতে হবে।

নির্বাচন কমিশন কারও পক্ষপাতিত্ব বরদাশত করবে না বলে জানিয়ে ইসি আনোয়ারুল বলেন, আমাদের একটাই লক্ষ্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। তাই পারস্পরিক সমন্বয় ও সহযোগিতার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে হবে।

এদিন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী, পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ রানা, পিপিএম (সেবা), সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান, এবং সিটিএসবি (ডিসি) আফজল হোসেন প্রমুখ।