নিজস্ব প্রতিবেদক :
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী যেকোনো কার্যক্রম অবশ্যই নির্বাচনী পরিপন্থি হিসেবে গণ্য হবে। সেক্ষেত্রে প্রচলিত আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম এসব কথা বলেন।
বিএনপি মানবন্ধনের কর্মসূচি দিয়েছে, বিষয়টিতে ইসি কিছু করণীয় আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম দেখভাল করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা সেখান থেকেই গণমাধ্যমকে জানতে হবে।
আগামী ২৯ ডিসেম্বর হেফাজতে ইসলাম সমাবেশের ডাক দিয়েছে, তারা অরাজনৈতিক সংগঠন এ বিষয়ে ইসির করণীয় জানতে চাইলে মো. জাহাংগীর আলম বলেন, বিষয়টি আমার পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি। বিষয়টি আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবো। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। কমিশন যদি মনে আরো কোনো সাজেশন দেওয়ার প্রয়োজন আছে, তাহলে কমিশন সেটা করবে।
তিনি বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন পড়েছে ৫৬১টি। ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুনানি করে কমিশন সিদ্ধান্ত দেবেন। শেষদিনে আবেদন জমা পড়েছে ১২৩টি পড়েছে। তবে কোন দলের কতটি আবেদন পড়েছে তা পরে জানা যাবে।
আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে নির্বাচী আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য নির্বাচন কমিশন তবল করেছে, বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ঝালকাঠি-২ আসনের একজন প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বিধায় রিটার্নিং অফিসার রিপোর্ট করেছেন, সেই ভিত্তিতে তাকে আগামী ১৫ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় কমিশন তাকে সশরীরে হাজির হয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য বলেছেন।