Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রতিটি বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে: মেয়র আতিকুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রতিটি বস্তিতে পর্যায়ক্রমে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তিতে সমন্বিত কমিউনিটি অগ্নিনির্বাপক ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থার আওতায় ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ২০২১ সালে যখন সাততলা বস্তিতে আগুন লাগে, তখন আমি বলেছিলাম এখানে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসাতে হবে। যেকোনো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ফায়ার হাইড্রেন্ট বসাতে হবে। আগে আমরা কোনো বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসাতে পারিনি। সাততলা বস্তি দিয়ে শুরু করলাম। পর্যায়ক্রমে অন্য বস্তিতেও বসানো হবে। ফায়ার হাইড্রেন্টে ৬০ হাজার লিটার পানি থাকবে। এই পানি অন্তত ৪০ মিনিটের জন্য ফায়ার সেফটি করতে পারবে। ৪০ মিনিট যদি আমরা টিকে থাকতে পারি, আর রাস্তা যদি খালি থাকে তাহলে কোন ক্ষতি হবে না। সাততলা বস্তি ফায়ার সেফটির জন্য একটি মডেল। পর্যায়ক্রমে অন্য বস্তি গুলোতেও ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, জনবসতিপূর্ণ জায়গায় ফায়ার হাইড্রেন্ট লাগবে, ফায়ারড্রিল লাগবে। আগুন লাগলে কারা ফায়ার হাইড্রেন্ট ব্যবহার করবে সেই ভলান্টিয়ার লাগবে। আমরা সাততলা বস্তিতে ১৭ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এই ১৭ জন স্বেচ্ছাসেবক এটি ব্যবহার করবে। তারা অন্যদের শিখিয়ে দেবে।

মেয়র বলেন, এখানে একটি চৌবাচ্চা, হোস পাইব ও ১৭ জন ফায়ার ফায়ারড্রিল কর্মী থাকবে। এখানে আগুন লাগলে সাথে সাথে ঘণ্টা বেজে উঠবে। ফায়ার এলার্ম বাজবে। এই বস্তির মধ্যে ফায়ার এক্সিট দেখানো হয়েছে। আগুন লাগলে কী করবে ও প্রতিটি ঘরে ঘরে যদি ট্রেনিং দিয়ে দেওয়া হয় ইমারজেন্সি সময় কে কোন দিক থেকে বের হবে তা দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি একটি মডেল। এটা যদি বাস্তবায়ন করতে পারি পর্যায়ক্রমে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে। এখানে ৬০ হাজার লিটার পানি ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৪০ হাজার লিটার পানি থাকবে রিজার্ভ ও ২০ লিটার পানি থাকবে গৃহস্থালি কাজের জন্য।

তিনি আরও বলেন, ডিএনসিসির আওতাধীন মার্কেটগুলোতেও ফায়ার হাইড্রেন্টসহ সব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। মহাখালী কাঁচাবাজারকে মডেল হিসেবে নির্মাণ করা হবে। এর আলোকে অন্য সব মার্কেটে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে।

আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি মেহেরবানি করে বলব, আগুন যখন লাগবে তখন সেলফি তোলার দরকার নেই। আপনাদের কাজ হচ্ছে রাস্তা খালি করে ফায়ার সার্ভিস ও উদ্ধার কর্মীদের কাজ করতে দেওয়া।

তিনি বলেন, সম্প্রতি গুলশানে আগুন যখন লাগল… সবাই দেখি সেলফি তুলছেন, রাস্তা তখন বন্ধ। রোড ব্লক করে দিয়ে বলছেন দেখি না কি হয়। দেখি না কি হয় ভাববার সময় তখন নয়। আগুনে যারা আটকা পড়েছেন তাদের উদ্ধারে আশপাশের ছোট রোড খালি করে দিতে হবে। রাস্তা খালি না থাকলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কীভাবে আসবে? আগুন নেভানোর যন্ত্রাংশ কীভাবে আসবে? ওখানে ২১ জন মানুষ ছিল তাদের জীবন বিপন্ন হয়ে যাচ্ছিল। আমি নিজে গিয়ে চিল্লাচিল্লি করে রাস্তা খালি করেছি।

ঢাকার খাল ও জলাশয়গুলো দখল হয়ে গেছে উল্লেখ মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, যখন আগুন লাগে তখন পানি তো নেই। পানি নেই পানি নেই… হাহাকার কারবালার প্রান্তর হয়ে গেছে। আমাদের খাল, জলাশয় দখল করে বিল্ডিং করা হয়েছে। তাই পানি নেই। জলাধার ও মাঠ বাড়াতে হবে। গাছ লাগাতে হবে। খালে পানি থাকলে, বেশি গাছ থাকলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। মাঠ থাকলে বাচ্চাদের খেলার সুযোগ হবে।

অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন ইউএনডিপির এলআইইউপিসি প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার মো. মারুফ হোসেন। সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্বাহী পরিচালক ড. দিবালোক সিংহ, ওয়াটার এইড বাংলাদেশ প্রোগ্রাম অ্যান্ড পলিসি অ্যাডভোকেসি পার্থ হেফাজ শাইখ, জাতিসংঘ কর্মসূচি বাংলাদেশ ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি ভ্যান নুয়েন, ডিএনসিসির ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. নাছির ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিল আমেনা বেগম।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

প্রতিটি বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে: মেয়র আতিকুল

প্রকাশের সময় : ০৫:১৯:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রতিটি বস্তিতে পর্যায়ক্রমে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তিতে সমন্বিত কমিউনিটি অগ্নিনির্বাপক ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থার আওতায় ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ২০২১ সালে যখন সাততলা বস্তিতে আগুন লাগে, তখন আমি বলেছিলাম এখানে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসাতে হবে। যেকোনো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ফায়ার হাইড্রেন্ট বসাতে হবে। আগে আমরা কোনো বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসাতে পারিনি। সাততলা বস্তি দিয়ে শুরু করলাম। পর্যায়ক্রমে অন্য বস্তিতেও বসানো হবে। ফায়ার হাইড্রেন্টে ৬০ হাজার লিটার পানি থাকবে। এই পানি অন্তত ৪০ মিনিটের জন্য ফায়ার সেফটি করতে পারবে। ৪০ মিনিট যদি আমরা টিকে থাকতে পারি, আর রাস্তা যদি খালি থাকে তাহলে কোন ক্ষতি হবে না। সাততলা বস্তি ফায়ার সেফটির জন্য একটি মডেল। পর্যায়ক্রমে অন্য বস্তি গুলোতেও ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, জনবসতিপূর্ণ জায়গায় ফায়ার হাইড্রেন্ট লাগবে, ফায়ারড্রিল লাগবে। আগুন লাগলে কারা ফায়ার হাইড্রেন্ট ব্যবহার করবে সেই ভলান্টিয়ার লাগবে। আমরা সাততলা বস্তিতে ১৭ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এই ১৭ জন স্বেচ্ছাসেবক এটি ব্যবহার করবে। তারা অন্যদের শিখিয়ে দেবে।

মেয়র বলেন, এখানে একটি চৌবাচ্চা, হোস পাইব ও ১৭ জন ফায়ার ফায়ারড্রিল কর্মী থাকবে। এখানে আগুন লাগলে সাথে সাথে ঘণ্টা বেজে উঠবে। ফায়ার এলার্ম বাজবে। এই বস্তির মধ্যে ফায়ার এক্সিট দেখানো হয়েছে। আগুন লাগলে কী করবে ও প্রতিটি ঘরে ঘরে যদি ট্রেনিং দিয়ে দেওয়া হয় ইমারজেন্সি সময় কে কোন দিক থেকে বের হবে তা দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি একটি মডেল। এটা যদি বাস্তবায়ন করতে পারি পর্যায়ক্রমে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে। এখানে ৬০ হাজার লিটার পানি ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৪০ হাজার লিটার পানি থাকবে রিজার্ভ ও ২০ লিটার পানি থাকবে গৃহস্থালি কাজের জন্য।

তিনি আরও বলেন, ডিএনসিসির আওতাধীন মার্কেটগুলোতেও ফায়ার হাইড্রেন্টসহ সব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। মহাখালী কাঁচাবাজারকে মডেল হিসেবে নির্মাণ করা হবে। এর আলোকে অন্য সব মার্কেটে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে।

আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি মেহেরবানি করে বলব, আগুন যখন লাগবে তখন সেলফি তোলার দরকার নেই। আপনাদের কাজ হচ্ছে রাস্তা খালি করে ফায়ার সার্ভিস ও উদ্ধার কর্মীদের কাজ করতে দেওয়া।

তিনি বলেন, সম্প্রতি গুলশানে আগুন যখন লাগল… সবাই দেখি সেলফি তুলছেন, রাস্তা তখন বন্ধ। রোড ব্লক করে দিয়ে বলছেন দেখি না কি হয়। দেখি না কি হয় ভাববার সময় তখন নয়। আগুনে যারা আটকা পড়েছেন তাদের উদ্ধারে আশপাশের ছোট রোড খালি করে দিতে হবে। রাস্তা খালি না থাকলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কীভাবে আসবে? আগুন নেভানোর যন্ত্রাংশ কীভাবে আসবে? ওখানে ২১ জন মানুষ ছিল তাদের জীবন বিপন্ন হয়ে যাচ্ছিল। আমি নিজে গিয়ে চিল্লাচিল্লি করে রাস্তা খালি করেছি।

ঢাকার খাল ও জলাশয়গুলো দখল হয়ে গেছে উল্লেখ মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, যখন আগুন লাগে তখন পানি তো নেই। পানি নেই পানি নেই… হাহাকার কারবালার প্রান্তর হয়ে গেছে। আমাদের খাল, জলাশয় দখল করে বিল্ডিং করা হয়েছে। তাই পানি নেই। জলাধার ও মাঠ বাড়াতে হবে। গাছ লাগাতে হবে। খালে পানি থাকলে, বেশি গাছ থাকলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। মাঠ থাকলে বাচ্চাদের খেলার সুযোগ হবে।

অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন ইউএনডিপির এলআইইউপিসি প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার মো. মারুফ হোসেন। সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্বাহী পরিচালক ড. দিবালোক সিংহ, ওয়াটার এইড বাংলাদেশ প্রোগ্রাম অ্যান্ড পলিসি অ্যাডভোকেসি পার্থ হেফাজ শাইখ, জাতিসংঘ কর্মসূচি বাংলাদেশ ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি ভ্যান নুয়েন, ডিএনসিসির ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. নাছির ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিল আমেনা বেগম।