Dhaka শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রতারণা মামলায় ট্রাম্পের প্রায় সাড়ে ৩৫ কোটি ডলার জরিমানা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রায় সাড়ে ৩৫ কোটি ডলার জরিমানা করেছেন দেশটির একজন বিচারক, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। তবে সুদসহ এই অংক দাঁড়াতে পারে ৪৫ কোটি ডলার। সম্পত্তির মূল্য সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগে নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যকে এই জরিমানা দিতে হবে ট্রাম্পকে।

নিউ ইয়র্ক রাজ্যের কোনো ব্যাংক থেকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য ঋণ নেয়ার বিষয়ে ট্রাম্পের ওপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছেন বিচারক আর্থার এনগোরন। পাশাপাশি ট্রাম্প তার কোম্পানির পরিচালকও থাকতে পারবেন না বলে আদেশ দেয়া হয়েছে।

এদিকে ট্রাম্প জানিয়েছেন তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।

এই রায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে ফ্লোরিডায় নিজের এস্টেট থেকে দেয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘নিউইয়র্কের একজন কুটিল বিচারক মাত্র রায় দিয়েছেন যে একটি নিখুঁত প্রতিষ্ঠান গঠন করার দায়ে আমার ৩৫ কোটি ডলার জরিমানা দিতে হবে। আমার মতে, দেশের জন্য এটি অত্যন্ত দুঃখজনক একটি দিন।

শুক্রবার দেওয়া রায়ে বিশাল অঙ্কের জরিমানার আদেশের পেছনের কারণ হিসেবে মি ট্রাম্পের আগের দুর্নীতির অভিযোগগুলোর উল্লেখ করেন বিচারক এনগোরন। রায়ে তিনি লেখেন অভিযুক্তদের ‘জালিয়াতি চালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে’ যদি তাদের ওপর ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ শাস্তি আরোপিত না হয়।

বিচারক নির্দিষ্ট করে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের ২০২২ সালের কর ফাঁকির মামলাটির উল্লেখ করেন। ঐ মামলায় উঠে আসে যে প্রতিষ্ঠানটি তাদের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে কয়েক দশক ধরে নিয়মের বাইরে গিয়ে সুবিধা দিয়ে আসছিল।

পরে বিচারক এনগোরন মন্তব্য করেন, ‘এখানে যে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে তা বিবেককে নাড়া দেয়।’

জালিয়াতির মাধ্যমে যে পরিমাণ অর্থের কারচুপি করেছেন ট্রাম্প, সেই অর্থের ওপর সুদ দেওয়ার সিদ্ধান্তও জানানো হয়েছে।

তবে জরিমানা হলেও ট্রাম্পের প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল হয়নি। সেরকম পরিস্থিতিকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক অঙ্গনে ‘কর্পোরেট মৃত্যুদণ্ড’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার করতে করতে এখন কুসংস্কারের পথে এগোচ্ছে : গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

প্রতারণা মামলায় ট্রাম্পের প্রায় সাড়ে ৩৫ কোটি ডলার জরিমানা

প্রকাশের সময় : ০৪:৫৬:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রায় সাড়ে ৩৫ কোটি ডলার জরিমানা করেছেন দেশটির একজন বিচারক, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। তবে সুদসহ এই অংক দাঁড়াতে পারে ৪৫ কোটি ডলার। সম্পত্তির মূল্য সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগে নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যকে এই জরিমানা দিতে হবে ট্রাম্পকে।

নিউ ইয়র্ক রাজ্যের কোনো ব্যাংক থেকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য ঋণ নেয়ার বিষয়ে ট্রাম্পের ওপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছেন বিচারক আর্থার এনগোরন। পাশাপাশি ট্রাম্প তার কোম্পানির পরিচালকও থাকতে পারবেন না বলে আদেশ দেয়া হয়েছে।

এদিকে ট্রাম্প জানিয়েছেন তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।

এই রায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে ফ্লোরিডায় নিজের এস্টেট থেকে দেয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘নিউইয়র্কের একজন কুটিল বিচারক মাত্র রায় দিয়েছেন যে একটি নিখুঁত প্রতিষ্ঠান গঠন করার দায়ে আমার ৩৫ কোটি ডলার জরিমানা দিতে হবে। আমার মতে, দেশের জন্য এটি অত্যন্ত দুঃখজনক একটি দিন।

শুক্রবার দেওয়া রায়ে বিশাল অঙ্কের জরিমানার আদেশের পেছনের কারণ হিসেবে মি ট্রাম্পের আগের দুর্নীতির অভিযোগগুলোর উল্লেখ করেন বিচারক এনগোরন। রায়ে তিনি লেখেন অভিযুক্তদের ‘জালিয়াতি চালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে’ যদি তাদের ওপর ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ শাস্তি আরোপিত না হয়।

বিচারক নির্দিষ্ট করে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের ২০২২ সালের কর ফাঁকির মামলাটির উল্লেখ করেন। ঐ মামলায় উঠে আসে যে প্রতিষ্ঠানটি তাদের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে কয়েক দশক ধরে নিয়মের বাইরে গিয়ে সুবিধা দিয়ে আসছিল।

পরে বিচারক এনগোরন মন্তব্য করেন, ‘এখানে যে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে তা বিবেককে নাড়া দেয়।’

জালিয়াতির মাধ্যমে যে পরিমাণ অর্থের কারচুপি করেছেন ট্রাম্প, সেই অর্থের ওপর সুদ দেওয়ার সিদ্ধান্তও জানানো হয়েছে।

তবে জরিমানা হলেও ট্রাম্পের প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল হয়নি। সেরকম পরিস্থিতিকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক অঙ্গনে ‘কর্পোরেট মৃত্যুদণ্ড’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।