Dhaka মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রতারণার মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন জ্যাকলিন

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৮:১৮:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪
  • ২০৪ জন দেখেছেন

বিনোদন ডেস্ক : 

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের সঙ্গে কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের প্রেমের গল্প প্রায় সবারই জানা। ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপে অভিযুক্ত সুকেশ। এ মুহূর্তে ভারতের দিল্লি মাণ্ডোলি জেলে বন্দি রয়েছেন তিনি। আর অভিনেত্রী নামে চলছে মামলা। জারি রয়েছে লুকআউট নোটিশও। এর মধ্যেই দিল্লি হাইকোর্টে মামলা সংক্রান্ত ব্যাখ্যা ও প্রমাণাদি দাখিল করেছে তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

আদালতকে ইডি জানিয়েছে, ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলায় অভিযুক্ত বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন। সুকেশের সঙ্গে জেনেশুনে প্রতারণায় সামিল হয়েছেন ও করেছেন।

ইডি আরও জানিয়েছে, ‘জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ কখনোই সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে হওয়া আর্থিক লেনদেনের সত্যতা প্রকাশ করেননি এবং সর্বদা তথ্য গোপন করেছেন। তিনি আজ পর্যন্ত সত্যকে সামনে আসতে দেননি। এটিও একটি সত্য যে জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ সুকেশ চন্দ্রশেখরকে গ্রেপ্তার করার পরে নিজের মোবাইল থেকে সম্পূর্ণ ডেটা মুছে ফেলেছিলেন। যা প্রমাণ নষ্ট করা। তিনি তার সহকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রমাণ নষ্ট করার।’

ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ঘটনার দিন আদালতে গিয়েছিলেন জ্যাকলিন। সুকেশের সঙ্গে তাকে জড়িয়ে জারি হওয়া এফআইআরটি বাতিলের দাবি জানান তিনি। মামলাটি বিচারপতি মনোজ কুমার ওহরির সামনে উঠেছিল। আপাতত অভিনেত্রীর আইনজীবী ইডির হলফনামার জবাব দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছেন।

ইডির হলফনামার জবাব দেওয়ার জন্য জ্যাকলিনকে সময় দিয়েছেন আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি রাখা হয়েছে ১৫ এপ্রিল।

হলফনামায় ইডি জানিয়েছে, অভিনেত্রী সুকেশের থেকে ৫ কোটি ৭১ লক্ষ ১১ হাজার ৯৪২ টাকার শুধু উপহারই নেননি, সঙ্গে দুটি বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, যা তার ভাই ও বোনের, সেখানেও ১ লাখ ৭২ হাজার ৯১৩ আমেরিকান ডলার ও ২৬ হাজার ৭৪০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার স্থানান্তর করার জন্য অনুরোধ করেছিল।

ইডি আরও জানিয়েছে,জ্যাকলিন ইচ্ছাকৃতভাবে তার বক্তব্য রেকর্ড করার সময় নিজে থেকে ভুল তথ্য পেশ করে আসছিলেন। যাতে তদন্তকে বিভ্রান্ত করা যায়। তিনি প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের প্রকৃত নাম জানেন সে কথা অস্বীকার করেছিলেন। যা পরবর্তীতে প্রমাণিত হয় যে তিনি মিথ্যা বলছেন।

একসময় সুকেশ চন্দ্রশেখর ও জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন মাধ্যমে। জানা গেছে, প্রেমিকাকে দামি দামি উপহারও দিয়েছেন। তারপরই ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় নাম জড়ায় সুকেশের। গত দুবছর ধরে জেলবন্দি তিনি। তবে জেলে থেকেই বিভিন্ন সময় জ্যাকুলিনের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

প্রতারণার মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন জ্যাকলিন

প্রকাশের সময় : ০৮:১৮:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক : 

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের সঙ্গে কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের প্রেমের গল্প প্রায় সবারই জানা। ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপে অভিযুক্ত সুকেশ। এ মুহূর্তে ভারতের দিল্লি মাণ্ডোলি জেলে বন্দি রয়েছেন তিনি। আর অভিনেত্রী নামে চলছে মামলা। জারি রয়েছে লুকআউট নোটিশও। এর মধ্যেই দিল্লি হাইকোর্টে মামলা সংক্রান্ত ব্যাখ্যা ও প্রমাণাদি দাখিল করেছে তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

আদালতকে ইডি জানিয়েছে, ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলায় অভিযুক্ত বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন। সুকেশের সঙ্গে জেনেশুনে প্রতারণায় সামিল হয়েছেন ও করেছেন।

ইডি আরও জানিয়েছে, ‘জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ কখনোই সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে হওয়া আর্থিক লেনদেনের সত্যতা প্রকাশ করেননি এবং সর্বদা তথ্য গোপন করেছেন। তিনি আজ পর্যন্ত সত্যকে সামনে আসতে দেননি। এটিও একটি সত্য যে জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ সুকেশ চন্দ্রশেখরকে গ্রেপ্তার করার পরে নিজের মোবাইল থেকে সম্পূর্ণ ডেটা মুছে ফেলেছিলেন। যা প্রমাণ নষ্ট করা। তিনি তার সহকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রমাণ নষ্ট করার।’

ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ঘটনার দিন আদালতে গিয়েছিলেন জ্যাকলিন। সুকেশের সঙ্গে তাকে জড়িয়ে জারি হওয়া এফআইআরটি বাতিলের দাবি জানান তিনি। মামলাটি বিচারপতি মনোজ কুমার ওহরির সামনে উঠেছিল। আপাতত অভিনেত্রীর আইনজীবী ইডির হলফনামার জবাব দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছেন।

ইডির হলফনামার জবাব দেওয়ার জন্য জ্যাকলিনকে সময় দিয়েছেন আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি রাখা হয়েছে ১৫ এপ্রিল।

হলফনামায় ইডি জানিয়েছে, অভিনেত্রী সুকেশের থেকে ৫ কোটি ৭১ লক্ষ ১১ হাজার ৯৪২ টাকার শুধু উপহারই নেননি, সঙ্গে দুটি বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, যা তার ভাই ও বোনের, সেখানেও ১ লাখ ৭২ হাজার ৯১৩ আমেরিকান ডলার ও ২৬ হাজার ৭৪০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার স্থানান্তর করার জন্য অনুরোধ করেছিল।

ইডি আরও জানিয়েছে,জ্যাকলিন ইচ্ছাকৃতভাবে তার বক্তব্য রেকর্ড করার সময় নিজে থেকে ভুল তথ্য পেশ করে আসছিলেন। যাতে তদন্তকে বিভ্রান্ত করা যায়। তিনি প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের প্রকৃত নাম জানেন সে কথা অস্বীকার করেছিলেন। যা পরবর্তীতে প্রমাণিত হয় যে তিনি মিথ্যা বলছেন।

একসময় সুকেশ চন্দ্রশেখর ও জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন মাধ্যমে। জানা গেছে, প্রেমিকাকে দামি দামি উপহারও দিয়েছেন। তারপরই ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় নাম জড়ায় সুকেশের। গত দুবছর ধরে জেলবন্দি তিনি। তবে জেলে থেকেই বিভিন্ন সময় জ্যাকুলিনের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন।