Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রকল্প বাতিল নয়, সরকার খরচ কমানোর চেষ্টায়

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ১১:৫১:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৯৪ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, তিনি ভারতের নাগরিক নন, বরং বাংলাদেশের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। ভারতের আধার কার্ড থাকা নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতে চাকরির সময় বাধ্যতামূলক নিয়ম মেনে তাঁকে আধার কার্ড নিতে হয়েছিল। এর সঙ্গে নাগরিকত্বের কোনো সম্পর্ক নেই।

বুধবার (১২ নভেম্বর) উত্তরা দিয়াবাড়ীতে ডিএমটিসিএল প্রধান কার্যালয়ে সড়ক, রেল ও অবকাঠামো খাতের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব তথ্য জানান। ফারুক আহমেদ তাঁর নাগরিকত্ব ইস্যু ছাড়াও ঢাকার মেট্রোরেল প্রকল্পের অগ্রগতি, ব্যয় বৃদ্ধি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং বিয়ারিং প্যাড পড়ে যাওয়ার ঘটনার তদন্ত নিয়ে বিস্তারিত জানান।

ফারুক আহমেদ বলেন, আমি জন্মসূত্রে বাংলাদেশি। আমার যদি এখানে কাজের অধিকার না থাকে, তাহলে আগেও তো অনেক বিদেশি বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। বাংলাদেশ বিমানে এমনকি বিদেশি নাগরিকরাও এমডি হিসেবে কাজ করেছেন।’ তিনি জানান, ভারতে কাজের সময় ১৮৪ দিনের বেশি অবস্থান করায় ও ব্যাংক হিসাব খোলার প্রয়োজনীয়তায় আধার কার্ড নিতে হয়েছিল।

তিনি বলেন, ঢাকার চলমান দুটি বড় মেট্রোরেল প্রকল্প– এমআরটি লাইন-১ ও লাইন-৫ (উত্তর) বাতিল করা হয়নি। বরং প্রকল্পের ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কারণ, কিছু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রাক্কলিত ব্যয়ের তুলনায় ২৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি ব্যয় প্রস্তাব করেছে। এমআরটি লাইন-৫-এর একটি প্যাকেজে প্রাক্কলিত ব্যয়ের চেয়ে প্রায় আড়াইশ গুণ বেশি দর পাওয়া গেছে। লাইন-১-এর ক্ষেত্রেও প্রস্তাবিত ব্যয়ের তুলনায় ৩০-৪০ গুণ বেশি দর এসেছে।

ফারুক আহমেদ বলেন, এত বেশি মূল্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন যৌক্তিক নয়। তাই লাইন-৫ ও লাইন-১-এর কয়েকটি প্যাকেজ পুনর্মূল্যায়ন চলছে। ব্যয় কমাতে ঠিকাদারদের সঙ্গে দর কষাকষি করা হচ্ছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ সাজার প্রত্যাশা চিফ প্রসিকিউটরের

প্রকল্প বাতিল নয়, সরকার খরচ কমানোর চেষ্টায়

প্রকাশের সময় : ১১:৫১:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, তিনি ভারতের নাগরিক নন, বরং বাংলাদেশের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। ভারতের আধার কার্ড থাকা নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতে চাকরির সময় বাধ্যতামূলক নিয়ম মেনে তাঁকে আধার কার্ড নিতে হয়েছিল। এর সঙ্গে নাগরিকত্বের কোনো সম্পর্ক নেই।

বুধবার (১২ নভেম্বর) উত্তরা দিয়াবাড়ীতে ডিএমটিসিএল প্রধান কার্যালয়ে সড়ক, রেল ও অবকাঠামো খাতের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব তথ্য জানান। ফারুক আহমেদ তাঁর নাগরিকত্ব ইস্যু ছাড়াও ঢাকার মেট্রোরেল প্রকল্পের অগ্রগতি, ব্যয় বৃদ্ধি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং বিয়ারিং প্যাড পড়ে যাওয়ার ঘটনার তদন্ত নিয়ে বিস্তারিত জানান।

ফারুক আহমেদ বলেন, আমি জন্মসূত্রে বাংলাদেশি। আমার যদি এখানে কাজের অধিকার না থাকে, তাহলে আগেও তো অনেক বিদেশি বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। বাংলাদেশ বিমানে এমনকি বিদেশি নাগরিকরাও এমডি হিসেবে কাজ করেছেন।’ তিনি জানান, ভারতে কাজের সময় ১৮৪ দিনের বেশি অবস্থান করায় ও ব্যাংক হিসাব খোলার প্রয়োজনীয়তায় আধার কার্ড নিতে হয়েছিল।

তিনি বলেন, ঢাকার চলমান দুটি বড় মেট্রোরেল প্রকল্প– এমআরটি লাইন-১ ও লাইন-৫ (উত্তর) বাতিল করা হয়নি। বরং প্রকল্পের ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কারণ, কিছু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রাক্কলিত ব্যয়ের তুলনায় ২৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি ব্যয় প্রস্তাব করেছে। এমআরটি লাইন-৫-এর একটি প্যাকেজে প্রাক্কলিত ব্যয়ের চেয়ে প্রায় আড়াইশ গুণ বেশি দর পাওয়া গেছে। লাইন-১-এর ক্ষেত্রেও প্রস্তাবিত ব্যয়ের তুলনায় ৩০-৪০ গুণ বেশি দর এসেছে।

ফারুক আহমেদ বলেন, এত বেশি মূল্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন যৌক্তিক নয়। তাই লাইন-৫ ও লাইন-১-এর কয়েকটি প্যাকেজ পুনর্মূল্যায়ন চলছে। ব্যয় কমাতে ঠিকাদারদের সঙ্গে দর কষাকষি করা হচ্ছে।