হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
নির্বাচনী পোস্টারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ব্যবহারের অভিযোগে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও হবিগঞ্জ সদর আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ সবুজ পাল রোববার (৩১ ডিসেম্বর) তাকে নোটিশ দেন।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) মধ্যে নিজে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিতভাবে অভিযোগের ব্যাখ্যা দাখিলের জন্য ব্যারিস্টার সুমনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, আব্দুল হাই প্রিন্স নামে এক ব্যক্তি নিজেকে নৌকা প্রতীকের কর্মী ও সমর্থক দাবি করে অভিযোগ দিয়েছেন। এতে নমুনা পোস্টার সংযুক্ত রয়েছে। নমুনা পোস্টার পর্যালোচনা করে প্রতীয়মান হয় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর বিধি ৭ মোতাবেক প্রার্থীর ব্যানার ও পোস্টারে নিজের ছবি, প্রতীক ও দলীয় প্রার্থী হলে একই সাথে দল প্রধানের ছবির বাইরে আর কারও ছবি ব্যবহার করা যাবে না। আপনি পোস্টারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ব্যবহার করে উল্লিখিত বিধি লঙ্ঘন করেছেন। এমতাবস্থায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে ২ জানুয়ারির মধ্যে নিজে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির নিকট লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হলো।
এ ব্যাপারে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, তিনি শোকজ পেয়েছেন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জবাব দাখিল করবেন।
তিনি বলেন, তিনি কোনো পোস্টার, হ্যান্ড বিল বা ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার করেননি। একটি নির্দিষ্ট ছাপাখানা থেকে তার পোস্টার লিফলেট ছাপানো হচ্ছে। তবে দেশ-বিদেশের অনেকেই আমার পক্ষে পোস্টার লিফলেট ছাপিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। অতি উৎসাহী কোনো ভক্ত এই ছবি ব্যবহার করতে পারেন। আবার আমার প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী নিজেও কয়েকটি হ্যান্ড বিল ছাপিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে পারেন। তবে আমি মনে করি জাতির পিতার ছবি ব্যবহারে আইনে কোনো বাধা বা দোষের কিছু নেই।
প্রসঙ্গত, হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে ফরম তুললেও মনোনয়ন পাননি ব্যারিস্টার সুমন। এই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।