Dhaka শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পোশাক খাতের অস্থিরতার ক্ষেত্রে বিএনপির ইন্ধন রয়েছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, পোশাক খাতের অস্থিরতার ক্ষেত্রে বিএনপির ইন্ধন রয়েছে। তৈরি পোশাক শিল্প খাতের সংকট নিরসনে ভাঙচুর কোনো সমাধান নয়। আর বিএনপির এ ধরনের কর্মকাণ্ড চলতে থাকলে তা বন্ধ করতে সরকার আরও কঠোর হতে বাধ্য হবে। যেকোনো উপায়ে এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করা হবে।

রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

পোশাকশ্রমিকদের জন্য সরকার একটি নির্দিষ্ট মজুরি ঘোষণা করেছে, তারপরও তারা আবার রাস্তায় নেমেছেন। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি ৫৬ শতাংশ মজুরি বাড়িয়েছেন। শ্রম মন্ত্রণালয়, বিজিএমইএসহ অন্যান্য সংগঠন একত্রে বসে আলোচনা করে বেতন বাড়িয়েছে। আট হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করেছে। তবে আমরা শুনতে পাচ্ছি, অনেক শ্রমিকের মনে সংশয় রয়েছে গ্রেড নিয়ে। এসব নিশ্চয় আমাদের গার্মেন্টসের মালিকপক্ষ অবশ্যই সমাধান করবে। তবে সমাধানের ক্ষেত্রটি আগুন-ভাঙচুর বা রাস্তা অবরোধ নয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা (বিএনপি) নিরীহ শ্রমিকদের উসকে দিচ্ছে। তারা সর্বক্ষেত্রে ফেল করে এই জায়গাটাকে বেছে নিয়েছে। যাতে এখানে সফলতা পাওয়া যায় তার ব্যবস্থা করছে। আমি মনে করি, মজুরি আট হাজার থেকে ১২ হাজার ৫০০ টাকা করার পরও যদি তাদের দাবি থাকতো, তাহলে মালিকপক্ষের সঙ্গে বসে সমাধান করার সুযোগ থাকে। কিন্তু সেটি না করে তারা রাস্তায় নেমে নিজেদের ও দেশের ক্ষতি করছে, এ বিষয়টি তাদের চিন্তা করা উচিত।

তিনি বলেন, আমরা ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি, এগুলোর বেশিরভাগ বিএনপির কর্মী। আমরা দেখেছি, কুষ্টিয়ার একজন নেতা কোণাবাড়ীতে এসে এদের উৎসাহ দিচ্ছিল, ঐক্যবদ্ধ করছিল। এরা এই নিরীহ শ্রমিকদের উসকে দিচ্ছেন, তাদের জড়ো করছেন। সর্বক্ষেত্রে ফেল করে এই জায়গা সফলতা পাওয়া যায় কি না তারই একটা ব্যবস্থা হয়তো তারা করতে চাচ্ছেন।

রাস্তা অবরোধ ও ভাঙচুর করা সমাধান নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের অনেকেরই মনে সংশয় আছে, অনেকের দ্বিধা আছে, এ রকম আমরা শুনতে পাচ্ছি যে, সেকেন্ড গ্রেড, থার্ড গ্রেড, ফোর্থ গ্রেড; এগুলোর কী হবে। নিশ্চয়ই গার্মেন্টস মালিকপক্ষ, তারা এগুলো সব কিছুর সমাধান করবেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশি প্রভুদের ধরে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে বিএনপি। নির্বাচনে জিততে পারবে না, সেটা জেনেই তারা সহিংসতায় নেমেছে। তবে নির্বাচন ছাড়া সরকার পাল্টানোর কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনে তাদের আসতেই হবে।

তিনি বলেন, যারা সহিংসতা করছে, বাসে আগুন দিচ্ছে তাদের ধরে ধরে আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের আর কোনো পথ নেই। প্রতিহিংসা কারণে বিএনপি চলন্ত বাসে অগ্নি সংযোগ করছে। আর এই সব ভুল তথ্য জেনেই জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার মন্তব্য করছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের সেরা হাসপাতাল থেকে তিনি চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন এবং বিদেশ থেকেও বিশেষজ্ঞরা এসে তাকে চিকিৎসা দিচ্ছেন। কাজেই চিকিৎসার ঘাটতি হচ্ছে বলে আমার মনে হচ্ছে না।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা কারাগারে, এ অবস্থা থাকলে তারা নির্বাচনে আসবেন কি না, প্রশ্নে তিনি বলেন, নির্বাচনে আসবেন কি-আসবেন না, এটা তাদের এখতিয়ার। আমাদের কথা হচ্ছে, ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ ঘিরে লঙ্কাকাণ্ডের আগে আমরা বিএনপির কোনো নেতাকর্মীদের ধরিনি। সেখানে যখন নৃশংসতা ও বর্বরতা চলছে, তখন তারা মঞ্চে বসে ছিলেন। তারা তো দুঃখ প্রকাশ করতে পারতেন জাতির উদ্দেশ্যে যে আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে উচ্ছৃঙ্খল কিছু কর্মী এসব করেছে। এটা আমাদের কাম্য ছিল না। কিন্তু দুঃখ প্রকাশের পরিবর্তে তারা অব্যাহত হরতালের ডাক দিয়েছেন। একজন বাসের হেল্পার শুয়ে ছিলেন, বাস পাহারা দিচ্ছিলেন, তাকেসহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বাসটি। এতে কী প্রমাণ হয়? বিএনপির বড় বড় নেতারা কী দায় এড়াতে পারবেন? তারা বলতে পারতেন—তোমরা বাসে আগুন দিও না, তোমরা এই মানুষ হত্যা করো না। বিএনপি নেতাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে, তারা এসব থেকে বিরত থাকবে বলেই আশা করছি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বৈরী আবহাওয়ার কারণে আগৈলঝাড়ায় ছাতার কারিগরদের ব্যাপক কদর

পোশাক খাতের অস্থিরতার ক্ষেত্রে বিএনপির ইন্ধন রয়েছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৬:০৭:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, পোশাক খাতের অস্থিরতার ক্ষেত্রে বিএনপির ইন্ধন রয়েছে। তৈরি পোশাক শিল্প খাতের সংকট নিরসনে ভাঙচুর কোনো সমাধান নয়। আর বিএনপির এ ধরনের কর্মকাণ্ড চলতে থাকলে তা বন্ধ করতে সরকার আরও কঠোর হতে বাধ্য হবে। যেকোনো উপায়ে এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করা হবে।

রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

পোশাকশ্রমিকদের জন্য সরকার একটি নির্দিষ্ট মজুরি ঘোষণা করেছে, তারপরও তারা আবার রাস্তায় নেমেছেন। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি ৫৬ শতাংশ মজুরি বাড়িয়েছেন। শ্রম মন্ত্রণালয়, বিজিএমইএসহ অন্যান্য সংগঠন একত্রে বসে আলোচনা করে বেতন বাড়িয়েছে। আট হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করেছে। তবে আমরা শুনতে পাচ্ছি, অনেক শ্রমিকের মনে সংশয় রয়েছে গ্রেড নিয়ে। এসব নিশ্চয় আমাদের গার্মেন্টসের মালিকপক্ষ অবশ্যই সমাধান করবে। তবে সমাধানের ক্ষেত্রটি আগুন-ভাঙচুর বা রাস্তা অবরোধ নয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা (বিএনপি) নিরীহ শ্রমিকদের উসকে দিচ্ছে। তারা সর্বক্ষেত্রে ফেল করে এই জায়গাটাকে বেছে নিয়েছে। যাতে এখানে সফলতা পাওয়া যায় তার ব্যবস্থা করছে। আমি মনে করি, মজুরি আট হাজার থেকে ১২ হাজার ৫০০ টাকা করার পরও যদি তাদের দাবি থাকতো, তাহলে মালিকপক্ষের সঙ্গে বসে সমাধান করার সুযোগ থাকে। কিন্তু সেটি না করে তারা রাস্তায় নেমে নিজেদের ও দেশের ক্ষতি করছে, এ বিষয়টি তাদের চিন্তা করা উচিত।

তিনি বলেন, আমরা ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি, এগুলোর বেশিরভাগ বিএনপির কর্মী। আমরা দেখেছি, কুষ্টিয়ার একজন নেতা কোণাবাড়ীতে এসে এদের উৎসাহ দিচ্ছিল, ঐক্যবদ্ধ করছিল। এরা এই নিরীহ শ্রমিকদের উসকে দিচ্ছেন, তাদের জড়ো করছেন। সর্বক্ষেত্রে ফেল করে এই জায়গা সফলতা পাওয়া যায় কি না তারই একটা ব্যবস্থা হয়তো তারা করতে চাচ্ছেন।

রাস্তা অবরোধ ও ভাঙচুর করা সমাধান নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের অনেকেরই মনে সংশয় আছে, অনেকের দ্বিধা আছে, এ রকম আমরা শুনতে পাচ্ছি যে, সেকেন্ড গ্রেড, থার্ড গ্রেড, ফোর্থ গ্রেড; এগুলোর কী হবে। নিশ্চয়ই গার্মেন্টস মালিকপক্ষ, তারা এগুলো সব কিছুর সমাধান করবেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশি প্রভুদের ধরে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে বিএনপি। নির্বাচনে জিততে পারবে না, সেটা জেনেই তারা সহিংসতায় নেমেছে। তবে নির্বাচন ছাড়া সরকার পাল্টানোর কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনে তাদের আসতেই হবে।

তিনি বলেন, যারা সহিংসতা করছে, বাসে আগুন দিচ্ছে তাদের ধরে ধরে আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের আর কোনো পথ নেই। প্রতিহিংসা কারণে বিএনপি চলন্ত বাসে অগ্নি সংযোগ করছে। আর এই সব ভুল তথ্য জেনেই জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার মন্তব্য করছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের সেরা হাসপাতাল থেকে তিনি চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন এবং বিদেশ থেকেও বিশেষজ্ঞরা এসে তাকে চিকিৎসা দিচ্ছেন। কাজেই চিকিৎসার ঘাটতি হচ্ছে বলে আমার মনে হচ্ছে না।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা কারাগারে, এ অবস্থা থাকলে তারা নির্বাচনে আসবেন কি না, প্রশ্নে তিনি বলেন, নির্বাচনে আসবেন কি-আসবেন না, এটা তাদের এখতিয়ার। আমাদের কথা হচ্ছে, ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ ঘিরে লঙ্কাকাণ্ডের আগে আমরা বিএনপির কোনো নেতাকর্মীদের ধরিনি। সেখানে যখন নৃশংসতা ও বর্বরতা চলছে, তখন তারা মঞ্চে বসে ছিলেন। তারা তো দুঃখ প্রকাশ করতে পারতেন জাতির উদ্দেশ্যে যে আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে উচ্ছৃঙ্খল কিছু কর্মী এসব করেছে। এটা আমাদের কাম্য ছিল না। কিন্তু দুঃখ প্রকাশের পরিবর্তে তারা অব্যাহত হরতালের ডাক দিয়েছেন। একজন বাসের হেল্পার শুয়ে ছিলেন, বাস পাহারা দিচ্ছিলেন, তাকেসহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বাসটি। এতে কী প্রমাণ হয়? বিএনপির বড় বড় নেতারা কী দায় এড়াতে পারবেন? তারা বলতে পারতেন—তোমরা বাসে আগুন দিও না, তোমরা এই মানুষ হত্যা করো না। বিএনপি নেতাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে, তারা এসব থেকে বিরত থাকবে বলেই আশা করছি।