Dhaka সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পূর্ব তিমুরের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতিসহ দুই বিষয়ে সমঝোতা সই

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কূটনৈতিক এবং সরকারি বা অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি এবং দ্বিপক্ষীয় কনসালটেশন মেকানিজম (বিসিএম) প্রতিষ্ঠার বিষয়ে দুই টি চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ ও তিমুর-লেস্তে।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে এই চুক্তি সই হয়।

চুক্তি সই শেষে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

দুই দেশের সরকারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক পরামর্শ চক্র (বিসিএম) প্রতিষ্ঠার জন্যও সমঝোতা সই হয়েছে।

ভিসা অব্যাহতি চুক্তির আওতায় দুই দেশের কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই একে অপরের দেশে প্রবেশ, অবস্থান এবং প্রস্থান করতে পারবেন।

বাংলাদেশের পক্ষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং তিমুর-লেস্তের পররাষ্ট্র ও সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী ড. বেনডিটো দোস সান্তোস ফ্রেইতাস কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তিতে সই করেন।

এছাড়া দ্বিপক্ষীয় কনসালটেশন মেকানিজম (বিসিএম) প্রতিষ্ঠার বিষয় সংক্রান্ত স্মারক সই করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং ড. বেনডিটো দোস সান্তোস ফ্রেইতাস।

চার দিনের সফরে শনিবার রাতে ঢাকায় আসেন প্রেসিডেন্ট হোর্তা। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় হোর্তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

সফররত প্রেসিডেন্ট সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বঙ্গভবনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তিনি ওইদিন সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। তিনি বাংলাদেশের ৫৪তম বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

প্রেসিডেন্ট হোর্তা ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএস) অডিটরিয়ামে ‘দা চ্যালেঞ্জেস অব পিস ইন দ্যা কনটেম্পোরারি ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক থিমের ওপর বক্তৃতা করবেন। পরে তিনি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও তরুণ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করবেন। একই দিন বিকেলে তিনি বাংলাদেশের ছাত্র এবং তরুণদের উদ্দেশ্যে তার দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অভিজ্ঞতা, তার নেতৃত্ব, দীর্ঘ সংগ্রামে জনগণের ভূমিকা ও স্বাধীনতা পরবর্তী তিমুর লেস্তের জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও তার বাস্তবায়ন সম্পর্কে সম্যক বক্তব্য রাখবেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পূর্ব তিমুরের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতিসহ দুই বিষয়ে সমঝোতা সই

প্রকাশের সময় : ০৪:৫৬:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কূটনৈতিক এবং সরকারি বা অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি এবং দ্বিপক্ষীয় কনসালটেশন মেকানিজম (বিসিএম) প্রতিষ্ঠার বিষয়ে দুই টি চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ ও তিমুর-লেস্তে।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে এই চুক্তি সই হয়।

চুক্তি সই শেষে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

দুই দেশের সরকারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক পরামর্শ চক্র (বিসিএম) প্রতিষ্ঠার জন্যও সমঝোতা সই হয়েছে।

ভিসা অব্যাহতি চুক্তির আওতায় দুই দেশের কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই একে অপরের দেশে প্রবেশ, অবস্থান এবং প্রস্থান করতে পারবেন।

বাংলাদেশের পক্ষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং তিমুর-লেস্তের পররাষ্ট্র ও সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী ড. বেনডিটো দোস সান্তোস ফ্রেইতাস কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তিতে সই করেন।

এছাড়া দ্বিপক্ষীয় কনসালটেশন মেকানিজম (বিসিএম) প্রতিষ্ঠার বিষয় সংক্রান্ত স্মারক সই করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং ড. বেনডিটো দোস সান্তোস ফ্রেইতাস।

চার দিনের সফরে শনিবার রাতে ঢাকায় আসেন প্রেসিডেন্ট হোর্তা। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় হোর্তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

সফররত প্রেসিডেন্ট সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বঙ্গভবনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তিনি ওইদিন সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। তিনি বাংলাদেশের ৫৪তম বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

প্রেসিডেন্ট হোর্তা ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএস) অডিটরিয়ামে ‘দা চ্যালেঞ্জেস অব পিস ইন দ্যা কনটেম্পোরারি ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক থিমের ওপর বক্তৃতা করবেন। পরে তিনি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও তরুণ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করবেন। একই দিন বিকেলে তিনি বাংলাদেশের ছাত্র এবং তরুণদের উদ্দেশ্যে তার দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অভিজ্ঞতা, তার নেতৃত্ব, দীর্ঘ সংগ্রামে জনগণের ভূমিকা ও স্বাধীনতা পরবর্তী তিমুর লেস্তের জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও তার বাস্তবায়ন সম্পর্কে সম্যক বক্তব্য রাখবেন।