Dhaka বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুড়েছে পাঁচ হাজার দোকান, ক্ষতি ২ হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর গুলিস্থানের বঙ্গবাজারে আগুনে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার দোকান পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে আনুমানিক দুই হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে তিনি বলেন, সব পুড়ে শেষ না করা পর্যন্ত এই আগুন নেভার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। আমাদের জানা মতে, শুধু বঙ্গবাজার কাঠের মার্কেটেই আড়াই হাজারের মতো দোকান রয়েছে। এখানে ছোট ছোট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দোকান করেন। সামনে ঈদ। সবাই ঈদকেন্দ্রিক বেচাকেনার পণ্য তুলেছেন দোকানে। এমন সময় এই অগ্নিকাণ্ড বড় ধরনের ক্ষতি ডেকে এনেছে।

তিনি বলেন, এই ব্যবসায়ীদের পুঁজি বলতে দোকানের মালামালই। মালামাল পুড়ে গেলে তাদের আসলে পুুুুঁজি বলতে সব শেষ। এখন তাদের জন্য আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, রমজানের ঈদকেন্দ্রিক ব্যবসায় ক্ষতি পুষিয়ে দিতে প্রাথমিকভাবে সাতশ কোটি টাকা থোক বরাদ্দের দাবি জানাচ্ছি।

এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, আমরা এখন কী করব, আমাদের ব্যবসায়ীরা এখন কোথায় যাবে, কীভাবে ঈদ করবে। মাত্র ব্যবসা জমতে শুরু করেছিল। আর তখনই এই ঘটনা ঘটল।

হেলাল উদ্দিন বলেন, ফায়ার সার্ভিসকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। তাদের কষ্ট দেখেছি। আমরা চাইলে এই বাহিনীটিকে আরও এগিয়ে নিতে পারি। ভূমিকম্প থেকে মানুষ দৌড়ে বাঁচতে পারে, কিন্তু আগুনের হাত থেকে বাঁচা সম্ভব না। আমাদের অনুরোধ ফায়ার ফাইটারদের আরও এগিয়ে নিতে হবে।

ঢাকা মার্কেটের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান জানান, পুরো মার্কেটে সাত হাজার দোকান ছিল। ছয়টি ভাগে এসব দোকান গড়ে উঠেছিল। আগুনে বঙ্গমার্কেট পুরোটাই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না। আগুন নেভানোর পর সবার সাথে কথা বলে বিষয়টি জানা সম্ভব হবে।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডে মোট ছয়টি মার্কেটের পাঁচ থেকে ছয় হাজার দোকান পুড়ে গেছে বলে দাবি করেছেন বঙ্গবাজার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও এনেক্সকো টাওয়ারের পরিচালক জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমাদের কোনো অবস্থা নেই। সব পুড়ে গেছে। ১০ হাজার মানুষ কর্মরত ছিলেন। ঈদের আগে সব দোকানে মালামাল তোলা হয়েছিল। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা বলা যাবে না।

ব্যবসায়ীরা বলেন, বঙ্গবাজারই দেশের সব থেকে বড় পাইকারি কাপড়ের মার্কেট। ঈদকে কেন্দ্র করে রোজা শুরুর পর থেকেই ধীরে ধীরে জমে ওঠে এ মার্কেটের ব্যবসা। এ বছরও জমতে শুরু করেছিল বঙ্গবাজারের কেনাবেচা। কিন্তু হঠাৎ লাগা আগুন সব কেড়ে নিয়েছে ব্যবসায়ীদের।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ভোর ছয়টার দিকে বঙ্গবাজারের ওই মার্কেটে ভয়াবহ আগুন লাগে। একে একে ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরোপুরি এখনো নেভেনি।

আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দেয় সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, আনসার, বিজিবি, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস), ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর (এফএসসিডি), ভলেন্টিয়ার, র‌্যাব, স্চ্ছোসেবক, দোকান মালিক-কর্মচারী ও স্থানীয়রা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পুড়েছে পাঁচ হাজার দোকান, ক্ষতি ২ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশের সময় : ০৩:০৪:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর গুলিস্থানের বঙ্গবাজারে আগুনে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার দোকান পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে আনুমানিক দুই হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে তিনি বলেন, সব পুড়ে শেষ না করা পর্যন্ত এই আগুন নেভার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। আমাদের জানা মতে, শুধু বঙ্গবাজার কাঠের মার্কেটেই আড়াই হাজারের মতো দোকান রয়েছে। এখানে ছোট ছোট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দোকান করেন। সামনে ঈদ। সবাই ঈদকেন্দ্রিক বেচাকেনার পণ্য তুলেছেন দোকানে। এমন সময় এই অগ্নিকাণ্ড বড় ধরনের ক্ষতি ডেকে এনেছে।

তিনি বলেন, এই ব্যবসায়ীদের পুঁজি বলতে দোকানের মালামালই। মালামাল পুড়ে গেলে তাদের আসলে পুুুুঁজি বলতে সব শেষ। এখন তাদের জন্য আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, রমজানের ঈদকেন্দ্রিক ব্যবসায় ক্ষতি পুষিয়ে দিতে প্রাথমিকভাবে সাতশ কোটি টাকা থোক বরাদ্দের দাবি জানাচ্ছি।

এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, আমরা এখন কী করব, আমাদের ব্যবসায়ীরা এখন কোথায় যাবে, কীভাবে ঈদ করবে। মাত্র ব্যবসা জমতে শুরু করেছিল। আর তখনই এই ঘটনা ঘটল।

হেলাল উদ্দিন বলেন, ফায়ার সার্ভিসকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। তাদের কষ্ট দেখেছি। আমরা চাইলে এই বাহিনীটিকে আরও এগিয়ে নিতে পারি। ভূমিকম্প থেকে মানুষ দৌড়ে বাঁচতে পারে, কিন্তু আগুনের হাত থেকে বাঁচা সম্ভব না। আমাদের অনুরোধ ফায়ার ফাইটারদের আরও এগিয়ে নিতে হবে।

ঢাকা মার্কেটের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান জানান, পুরো মার্কেটে সাত হাজার দোকান ছিল। ছয়টি ভাগে এসব দোকান গড়ে উঠেছিল। আগুনে বঙ্গমার্কেট পুরোটাই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না। আগুন নেভানোর পর সবার সাথে কথা বলে বিষয়টি জানা সম্ভব হবে।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডে মোট ছয়টি মার্কেটের পাঁচ থেকে ছয় হাজার দোকান পুড়ে গেছে বলে দাবি করেছেন বঙ্গবাজার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও এনেক্সকো টাওয়ারের পরিচালক জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমাদের কোনো অবস্থা নেই। সব পুড়ে গেছে। ১০ হাজার মানুষ কর্মরত ছিলেন। ঈদের আগে সব দোকানে মালামাল তোলা হয়েছিল। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা বলা যাবে না।

ব্যবসায়ীরা বলেন, বঙ্গবাজারই দেশের সব থেকে বড় পাইকারি কাপড়ের মার্কেট। ঈদকে কেন্দ্র করে রোজা শুরুর পর থেকেই ধীরে ধীরে জমে ওঠে এ মার্কেটের ব্যবসা। এ বছরও জমতে শুরু করেছিল বঙ্গবাজারের কেনাবেচা। কিন্তু হঠাৎ লাগা আগুন সব কেড়ে নিয়েছে ব্যবসায়ীদের।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ভোর ছয়টার দিকে বঙ্গবাজারের ওই মার্কেটে ভয়াবহ আগুন লাগে। একে একে ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরোপুরি এখনো নেভেনি।

আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দেয় সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, আনসার, বিজিবি, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস), ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর (এফএসসিডি), ভলেন্টিয়ার, র‌্যাব, স্চ্ছোসেবক, দোকান মালিক-কর্মচারী ও স্থানীয়রা।