সিলেট জেলা প্রতিনিধি : 

সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার এলাকায় পিকেটিংয়ের সময় পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের গাছের সঙ্গে তার মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত জিল্লুর রহমান (৪২) সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও মদন গৌরি গ্রামের এলাইছ মিয়ার ছেলে।

সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী জানান, অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে সকালে মোটরসাইকেল নিয়ে দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারে যান গোলাপগঞ্জ যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য দিলু আহমদ জিলু। এ সময় পুলিশের একটি গাড়ি তাকে ধাওয়া দিয়ে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দিলু আহমদ জিলুসহ দুইজন গুরুতর আহত হন। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে নেওয়া হয়। পরে দুপুর ২টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যুর খবর আসে।

এ বিষয়ে সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ বলেন, জিলুকে গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। এরপর তার মৃত্যুর খবর এসেছে। জিলুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

বিএনপি সূত্রে জানা যায়, ১০টি মোটরসাইকেলের বহরের মধ্যে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থল লালাবাজারে অবস্থান করছিলেন জিলু। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। একপর্যায়ে পুলিশের গাড়িচাপায় মোটরসাইকেলসহ পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন জিলু ও দক্ষিণ সিলাম ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহউদ্দিন। পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হলে জিলুর মৃত্যু হয়।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ি জানিয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে জিলুসহ দুইজন হাসপাতালের আইসিইউতে ছিলেন। এর মধ্যে জিলু মারা গেছে।

তবে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ ঢাকা পোস্টকে জানান, আজ সকালে পিকেটিং করার সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় একটি মোটরসাইকেল গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুইজন আহত হয়েছিল। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। দুপুরের দিকে জিলু মারা যায়।