নিজস্ব প্রতিবেদক :
শরীরের কোমর থেকে নিচ পর্যন্ত বেধড়ক পিটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
শনিবার (২৯ জুলাই) পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে ব্যক্তিগত কার্যালয়ে পৌঁছে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, সংঘর্ষের সময় আমার মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়ে পড়েছি। পরে কোমর থেকে নিচ পর্যন্ত বেধড়ক পিটিয়েছে। সেখান থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে রাজারবাগের পুলিশ হাসপাতালে আমাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়েও নেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে অফিসে দিয়ে গেল।
তিনি বলেন, ডিবি কার্যালয়ে আমাকে খাওয়ানো হয়। সেই সময় ছবি তুলে রাখা হয়। সরকার এটাকে কৌশল হিসেবে যে কোনো সময়ে ছেড়ে দেবে। ওই সময়ের ছবি তোলা, খাওয়ার ঘটনা নিয়ে একটা রাজনীতি করার চেষ্টা হবে।
শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ইনজুরি হওয়ার পর সুস্থ হতে সময় লাগবে। এখন স্যালাইন দিতে হবে।
এর আগে দুপুরে রাজধানীর ধোলাইখাল এলাকা থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়, রাজারবাগের পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়েও নেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে অফিসে দিয়ে গেল।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টায় তাকে ডিবি কার্যালয় থেকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি জানান ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন।
তিনি জানান, বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিছুক্ষণ আগে তিনি ডিবি কার্যালয় থেকে বের হয়ে গেছেন।
এর আগে দুপুরে রাজধানীর ধোলাইখালে সংঘর্ষের সময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে লাঠিপেটা করে পুলিশ। একপর্যায়ে তিনি মাটিতে পড়ে গেলে সেখানেও তাকে পেটানো হয়। সেখান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে আটক করে চিকিৎসার জন্য রাজারবাগ পুলিশলাইন্স হাসপাতালে নেয় পুলিশ। সেখান থেকে তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ঢাকার প্রবেশমুখে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আজ বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান ও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদসহ অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের কয়েকজন গুলিবিদ্ধ।