নিজস্ব প্রতিবেদক :
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পুরিন্দা-টেকপাড়া থেকে পাঁচগাও বাজার পর্যন্ত সড়কটি তিন বছর ধরে খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়ে বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির দিনে গর্তে পানি জমে চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। ব্যস্ততম এ আঞ্চলিক সড়কটিতে খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হলেও কর্তৃপক্ষ মেরামত করার কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। ফলে এ সড়কে যানবাহন চলাচলসহ জনদুর্ভোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা জরুরি ভিত্তিতে উক্ত ভাঙ্গা সড়কের দ্রুত সংস্কার করার জোর দাবি জানান।
জানা গেছে, সাতগ্রাম ইউনিয়নের পুরিন্দা-টেকপাড়া থেকে পাঁচগাও বাজার পর্যন্ত রোডের সম্পূর্ণ অংশ খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে ভাঙা অংশে বৃষ্টির পানি জমে পথচারীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কের এ বেহাল অবস্থার কারণে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। ভাঙা অংশ দিয়ে অটোরিক্সা, ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত রিক্সা ও প্রাইভেটকারসহ ছোট ছোট যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তাটি অনেক খারাপ থাকায় যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অনেক যানবাহনকে খানাখন্দে জমে থাকা পানি অতিক্রম করেই চলাচল করতে হচ্ছে।
খবর নিয়ে জানা যায়, এ বেহাল রাস্তা দিয়ে চলাচল করে সাতগ্রাম,পুরিন্দা, টেকপাড়া, নওয়াগাঁও,পাঁচবাইরা,পাঁচগাঁও, রংপুর, নুরালাপুর, কামরাঙ্গিরচরসহ ১৫-১৬টি এলাকার লোকজন অটোরিক্সা, ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত রিক্সা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে চলাচল করছে। এখানে রয়েছে বাজারসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অথচ আড়াই থেকে তিন বছর ধরে রাস্তার সম্পূর্ণ অংশ যানবাহনসহ পথচারীদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। টেকপাড়া এলাকার দোকানি বরকতুল্লা বলেন, সড়কটি ভাঙাচোরা থাকায় পথচারী ও যানবাহন চলাচলে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। পথচারী আব্বাস উদ্দীন বলেন, সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে আছে দেখার কেউ। আমরা যে এই এলাকার মানুষ সেটা কারো কাছে মনেই হয় না।
অটোরিক্সা চালক শুক্কুর আলী বলেন, বর্ষাকালে সড়কটি দিয়ে চলাচল করা অনেক কষ্টকর হয়ে পড়ে। রাস্তাটি মেরামত বা সংস্কার করার মতো কেউ নেই।
আরেক পথচারী বেলাল বলেন, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে ৫-৬ বার আসা-যাওয়া করার সময় দুর্ভোগে পড়তে হয়। এ ধরনের অবস্থা আর কতদিন থাকবে। ব্যাটারি চালিত রিক্সাচালক রহিম বলেন, আড়াইহাজারের সবদিকের উন্নয়ন হলেও আমাদের কোনো উন্নয়ন নাই।
সাতগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অদুদ মাহমুদ বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির জন্যই রাস্তার এ অবস্থা হয়েছে। আমি তাদের সঙ্গে অনেক যোগাযোগ করেছি, তাতে কোনো লাভ হয়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুর রহমানকে তার অফিসে ও ফোন দিয়ে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, রাস্তাটি অনেক খারাপ বিধায় লোকজন এ রাস্তা দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এ রাস্তা সংস্কারের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া যায়। তার সবটুকু চেষ্টা করা হবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।