Dhaka সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুরনো মর্টাল শেল বিস্ফোরণে দক্ষিণ সোমালিয়ায় নিহত ২৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

দক্ষিণ সোমালিয়ায় মর্টার শেল বিস্ফোরণে দুই শিশুসহ অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৫৩ জন। রাজধানী মোগাদিশু থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণে কোরিওলি শহরের কাছে শুক্রবার (৯ জুন) এই বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয় কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এসব নিশ্চিত করেছেন।

কোরিওলির বাসিন্দা ইব্রাহিম হাসান বলেন, ‘নিহতদের বেশিরভাগই ‘ছোট শিশু’। খেলার মাঠের কাছে থাকা বিস্ফোরকটিতে এক শিশুর স্পর্শ লাগলে করলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অনেকের।’

এ ঘটনায় দায় স্বীকার করেনি কেউ। অঞ্চলটি আল শাবাব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর লক্ষ্যবস্তু। ২০০৭ সাল থেকে আন্তর্জাতিকভাবে সমর্থিত সোমালি ফেডারেল সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চালিয়েছে আসছে তারা।

গত প্রায় ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সোমালিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চালিয়ে আসছে আল-কায়েদার অনুসারী এই জঙ্গিগোষ্ঠী। দেশটিতে প্রায়ই সোমালিয়ার উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ও বিদেশি কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে বিভিন্ন হোটেলে হামলা চালায় তারা।

শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ৮টার কিছু আগে মোগাদিসুর জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র লিডো সৈকতের কাছের পার্ল বিচ হোটেলে ৭ জঙ্গি হামলা চালায়। পরে এই হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে আল-শাবাব।

পুলিশ বলছে, প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে জিম্মিদশা চলে হোটেলে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সাথে জঙ্গিদের ব্যাপক গুলি বিনিময়ের পর হোটেলের জিম্মিদশার অবসান ঘটে। অভিযানের সময় গুলিতে ওই ছয় বেসামরিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।

পুলিশের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী পার্ল বিচ হোটেলে অভিযান চালিয়ে নারী, শিশুসহ ৮৪ জনকে উদ্ধার করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা হোটেলে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন বলে জানিয়েছেন। আব্দিরহিম আলী নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, পার্ল বিচ হোটেলের সামনে ভারী বিস্ফোরণের সময় আমি কাছাকাছি এলাকায় ছিলাম। আমি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে পৌঁছানোর পর ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে।

গত নভেম্বরে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর সোমালিয়ায় সহিংসতায় কমপক্ষে ৬১৩ বেসামরিক নিহত ও ৯৪৮ জন আহত হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই হতাহত হয়েছেন আল-শাবাবের পুঁতে রাখা বিস্ফোরক ডিভাইসের বিস্ফোরণের কারণে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পুরনো মর্টাল শেল বিস্ফোরণে দক্ষিণ সোমালিয়ায় নিহত ২৭

প্রকাশের সময় : ০৮:৩০:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ জুন ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

দক্ষিণ সোমালিয়ায় মর্টার শেল বিস্ফোরণে দুই শিশুসহ অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৫৩ জন। রাজধানী মোগাদিশু থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণে কোরিওলি শহরের কাছে শুক্রবার (৯ জুন) এই বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয় কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এসব নিশ্চিত করেছেন।

কোরিওলির বাসিন্দা ইব্রাহিম হাসান বলেন, ‘নিহতদের বেশিরভাগই ‘ছোট শিশু’। খেলার মাঠের কাছে থাকা বিস্ফোরকটিতে এক শিশুর স্পর্শ লাগলে করলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অনেকের।’

এ ঘটনায় দায় স্বীকার করেনি কেউ। অঞ্চলটি আল শাবাব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর লক্ষ্যবস্তু। ২০০৭ সাল থেকে আন্তর্জাতিকভাবে সমর্থিত সোমালি ফেডারেল সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চালিয়েছে আসছে তারা।

গত প্রায় ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সোমালিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চালিয়ে আসছে আল-কায়েদার অনুসারী এই জঙ্গিগোষ্ঠী। দেশটিতে প্রায়ই সোমালিয়ার উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ও বিদেশি কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে বিভিন্ন হোটেলে হামলা চালায় তারা।

শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ৮টার কিছু আগে মোগাদিসুর জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র লিডো সৈকতের কাছের পার্ল বিচ হোটেলে ৭ জঙ্গি হামলা চালায়। পরে এই হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে আল-শাবাব।

পুলিশ বলছে, প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে জিম্মিদশা চলে হোটেলে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সাথে জঙ্গিদের ব্যাপক গুলি বিনিময়ের পর হোটেলের জিম্মিদশার অবসান ঘটে। অভিযানের সময় গুলিতে ওই ছয় বেসামরিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।

পুলিশের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী পার্ল বিচ হোটেলে অভিযান চালিয়ে নারী, শিশুসহ ৮৪ জনকে উদ্ধার করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা হোটেলে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন বলে জানিয়েছেন। আব্দিরহিম আলী নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, পার্ল বিচ হোটেলের সামনে ভারী বিস্ফোরণের সময় আমি কাছাকাছি এলাকায় ছিলাম। আমি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে পৌঁছানোর পর ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে।

গত নভেম্বরে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর সোমালিয়ায় সহিংসতায় কমপক্ষে ৬১৩ বেসামরিক নিহত ও ৯৪৮ জন আহত হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই হতাহত হয়েছেন আল-শাবাবের পুঁতে রাখা বিস্ফোরক ডিভাইসের বিস্ফোরণের কারণে।