নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে ছাড়াই কাজ করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে অনুরোধ করে এবং সে জন্য সংস্থাটিকে সরকারের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক ইস্যুতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর।
উপ-প্রেস সচিব বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একজন আঞ্চলিক পরিচালক নিয়োগ করে। আগে তার সাথে লিয়াঁজো মেইনটেইন করে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হয়। বাংলাদেশ সরকার চাইছে যে যাতে তার সাথে লিয়াজোঁ না করে সরাসরি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে কথা বলা যায় কি না।
অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল পতিত স্বৈরাচারী সরকারের পরিবারের সদস্য এবং তিনি এখন বাংলাদেশের সহায়তায় কতটুকু আসবেন সেটাই প্রশ্নবোধক বলে মনে করেন তারা।
এক প্রশ্নের জবাবে ওই সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, এটি একটি নৈতিকতার ইস্যু। তিনি বলেন, ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম এবং কিছু অপরাধে তিনি অভিযুক্ত হয়েছেন। তার অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। বিএফআইইউ তদন্ত করছে। তার মাধ্যমে কাজ করার প্রশ্নই উঠে না।
শফিকুল আলম বলেন, তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে সরাসরি কাজ করতে চান এবং সংস্থাটিকে বলেছেন যে, এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেটা যেন সরকারকে দ্রুত জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের বর্তমান পরিচালক এবং এ অঞ্চলের আঞ্চলিক অফিস ভারতের নয়া দিল্লিতে।