Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পিরোজপুরে ৮ কিলোমিটার রাস্তা যেন ‘মৃত্যুর ফাঁদ’

পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি : 

সংস্কারের অভাবে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে পিরোজপুর-শ্রীরামকাঠী আট কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক। খানাখন্দে ভরা সড়কটিকে এলাকাবাসী ডাকেন ‘মৃত্যুর ফাঁদ’ নামে। শুষ্ক মৌসুমে গর্ত আর ধুলো ও বর্ষা মৌসুমে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এতে চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী।

সরেজমিন দেখা গেছে, খানাখন্দে ভরা সড়কে হেলে-দুলে চলছে যানবাহন। বৃষ্টিতে কোনো কোনো অংশে কাঁদায় ঢেকে গেছে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার হয়নি পিরোজপুর-শ্রীরামকাঠী সড়ক। আট কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটিতে বর্তমানে বড় বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সম্ভব হলে বিকল্প সড়ক ঘুরে যাতায়াত করছেন এলাকাবাসী। আর যারা বাধ্য হয়ে সড়কটি ব্যবহার করছেন, তাদের ভোগান্তি চরমে।

এলাকাবাসী জানান, বর্ষা মৌসুমে কাঁদা ও জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি আরও বাড়ে। এমনকি, ছোটবড় দুর্ঘটনার পাশাপাশি বিকল হয় গাড়ির যন্ত্রাংশও।

স্থানীয় বাসিন্দা মিরাজ জানান, ১০-১২ বছর ধরে রাস্তাটিতে কাজ হয়। এ নিয়ে অনেক রিপোর্ট হয়েছে কিন্তু স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কোনো মাথা ব্যাথা নেই। চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অসুস্থ হয়ে যায় অনেকে। সরকারের কাছে অনুরোধ এই রাস্তা সংস্কার করা হোক।

স্থানীয় বাসিন্দা হাসান বলেন, রাস্তাটি শ্রীরামকাঠী-পিরোজপুর-বটতলা পর্যন্ত সম্পূর্ণ চলাচলের অনুপযোগী। বৃষ্টির সময়ে পানি জমে যাওয়ার কারণে দুর্ঘটনা বেশি ঘটে।

মোটরসাইকেল যাত্রী জানান, পিরোজপুর থেকে শ্রীরামকাঠী যাচ্ছি। এতো বেশি ভাঙা রাস্তা আমরা একটি অটোকে সাইড দিতে গিয়ে খাদে পড়ে যেতে চাইছিলাম।

অটোচালক হরি দাস বলেন, রাস্তার চলাচলে উপযোগী নাই। যাত্রীসহ অটো উল্টায় যায় অনেক সময়।

স্থানীয় ভ্যানচালক বাবুল হালদার বলেন, রাস্তা দিয়ে চলাচল কষ্ট, গাড়ি নিয়ে চলাচল করা কষ্ট। বৃষ্টির পানিতে রাস্তার সব জায়গা ভরে যায়। এ অঞ্চলের জনগণের খুব অসুবিধা হচ্ছে।

স্থানীয়, পথচারী, ভ্যানচালক, অটোচালক, মোটরসাইকেল চালক সবার দাবি, বর্ষা শুরুর আগে রাস্তাটি যেন দ্রুত সংস্কার করা হয়।

পিরোজপুর সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী লায়লা মিথুন ঢাকা মেইলকে বলেন, বক্তব্য অনেক দিছি, অনেক জায়গায় অনেক পত্রিকায়। বক্তব্য তো সেইম, নতুন কিছু নাই। এই মুহূর্তে এলজিইডিতে দুর্যোগ যাচ্ছে, এই কারণে হচ্ছে না। যতদিন কোনো ফয়সালা হচ্ছে না ততদিনে কিছু করার নাই। সরকার থেকে একটি ফয়সালা আসার পর নতুন করে কাজ করা হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

গুলিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের হেলপার নিহত

পিরোজপুরে ৮ কিলোমিটার রাস্তা যেন ‘মৃত্যুর ফাঁদ’

প্রকাশের সময় : ১০:০৪:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি : 

সংস্কারের অভাবে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে পিরোজপুর-শ্রীরামকাঠী আট কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক। খানাখন্দে ভরা সড়কটিকে এলাকাবাসী ডাকেন ‘মৃত্যুর ফাঁদ’ নামে। শুষ্ক মৌসুমে গর্ত আর ধুলো ও বর্ষা মৌসুমে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এতে চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী।

সরেজমিন দেখা গেছে, খানাখন্দে ভরা সড়কে হেলে-দুলে চলছে যানবাহন। বৃষ্টিতে কোনো কোনো অংশে কাঁদায় ঢেকে গেছে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার হয়নি পিরোজপুর-শ্রীরামকাঠী সড়ক। আট কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটিতে বর্তমানে বড় বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সম্ভব হলে বিকল্প সড়ক ঘুরে যাতায়াত করছেন এলাকাবাসী। আর যারা বাধ্য হয়ে সড়কটি ব্যবহার করছেন, তাদের ভোগান্তি চরমে।

এলাকাবাসী জানান, বর্ষা মৌসুমে কাঁদা ও জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি আরও বাড়ে। এমনকি, ছোটবড় দুর্ঘটনার পাশাপাশি বিকল হয় গাড়ির যন্ত্রাংশও।

স্থানীয় বাসিন্দা মিরাজ জানান, ১০-১২ বছর ধরে রাস্তাটিতে কাজ হয়। এ নিয়ে অনেক রিপোর্ট হয়েছে কিন্তু স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কোনো মাথা ব্যাথা নেই। চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অসুস্থ হয়ে যায় অনেকে। সরকারের কাছে অনুরোধ এই রাস্তা সংস্কার করা হোক।

স্থানীয় বাসিন্দা হাসান বলেন, রাস্তাটি শ্রীরামকাঠী-পিরোজপুর-বটতলা পর্যন্ত সম্পূর্ণ চলাচলের অনুপযোগী। বৃষ্টির সময়ে পানি জমে যাওয়ার কারণে দুর্ঘটনা বেশি ঘটে।

মোটরসাইকেল যাত্রী জানান, পিরোজপুর থেকে শ্রীরামকাঠী যাচ্ছি। এতো বেশি ভাঙা রাস্তা আমরা একটি অটোকে সাইড দিতে গিয়ে খাদে পড়ে যেতে চাইছিলাম।

অটোচালক হরি দাস বলেন, রাস্তার চলাচলে উপযোগী নাই। যাত্রীসহ অটো উল্টায় যায় অনেক সময়।

স্থানীয় ভ্যানচালক বাবুল হালদার বলেন, রাস্তা দিয়ে চলাচল কষ্ট, গাড়ি নিয়ে চলাচল করা কষ্ট। বৃষ্টির পানিতে রাস্তার সব জায়গা ভরে যায়। এ অঞ্চলের জনগণের খুব অসুবিধা হচ্ছে।

স্থানীয়, পথচারী, ভ্যানচালক, অটোচালক, মোটরসাইকেল চালক সবার দাবি, বর্ষা শুরুর আগে রাস্তাটি যেন দ্রুত সংস্কার করা হয়।

পিরোজপুর সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী লায়লা মিথুন ঢাকা মেইলকে বলেন, বক্তব্য অনেক দিছি, অনেক জায়গায় অনেক পত্রিকায়। বক্তব্য তো সেইম, নতুন কিছু নাই। এই মুহূর্তে এলজিইডিতে দুর্যোগ যাচ্ছে, এই কারণে হচ্ছে না। যতদিন কোনো ফয়সালা হচ্ছে না ততদিনে কিছু করার নাই। সরকার থেকে একটি ফয়সালা আসার পর নতুন করে কাজ করা হবে।