Dhaka বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পিরোজপুরে ২ মাথা নিয়ে শিশুর জন্ম

পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি : 

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার ৯ নম্বর সুটিয়াকাঠি ইউনিয়নের জাহান আরা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক বিরল ঘটনা ঘটেছে। একই দেহে দুটি মাথা বিশিষ্ট এক নবজাতক ছেলে শিশুর জন্ম দেন মা চৈতি মণ্ডল।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাত ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশুটির প্রসব করান চিকিৎসক ডা. নরেশ চন্দ্র বড়াল।

রোগীর নাম চৈতি মণ্ডল (২০)। তাঁর স্বামীর নাম লিমন (৩০)। স্বামীর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় এবং বাবার বাড়ি নেছারাবাদ উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়নের রোঙ্গাকাঠি গ্রামে। সন্তান জন্মের সময় লিমন পটুয়াখালীতে অবস্থান করছিলেন।

চিকিৎসক ডা. নরেশ চন্দ্র বড়াল জানান, গর্ভাবস্থায় রোগী প্রথমে পটুয়াখালীতে চিকিৎসা নেন। পরে প্রসববেদনা শুরু হলে তাকে বাবার বাড়ির কাছাকাছি জাহান আরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আল্ট্রাসনোগ্রামে দুটি শিশুর অস্তিত্ব দেখা গেলেও অস্ত্রোপচারের সময় বোঝা যায় এটি দুটি মাথা ও এক দেহবিশিষ্ট শিশু যা চিকিৎসা বিজ্ঞানে ‘কনজয়েনড টুইন’ নামে পরিচিত।

তিনি বলেন, অস্ত্রোপচার সম্পূর্ণ সফলভাবে সম্পন্ন হয়। মা ও নবজাতক দুজনেই তখন সুস্থ ছিলেন। তবে এমন শিশুর ক্ষেত্রে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হওয়ায় দ্রুত বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

চিকিৎসকরা জানান, এ ধরনের শিশুর জন্ম অত্যন্ত বিরল এবং তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই সীমিত।

ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং বিরল শিশুটিকে একনজর দেখতে হাসপাতালে ভিড় জমে। বর্তমানে মা চৈতি মণ্ডল সুস্থ আছেন এবং চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। স্থানীয়রা দরিদ্র পরিবারটির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পিরোজপুরে ২ মাথা নিয়ে শিশুর জন্ম

প্রকাশের সময় : ০৯:৩০:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি : 

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার ৯ নম্বর সুটিয়াকাঠি ইউনিয়নের জাহান আরা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক বিরল ঘটনা ঘটেছে। একই দেহে দুটি মাথা বিশিষ্ট এক নবজাতক ছেলে শিশুর জন্ম দেন মা চৈতি মণ্ডল।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাত ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশুটির প্রসব করান চিকিৎসক ডা. নরেশ চন্দ্র বড়াল।

রোগীর নাম চৈতি মণ্ডল (২০)। তাঁর স্বামীর নাম লিমন (৩০)। স্বামীর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় এবং বাবার বাড়ি নেছারাবাদ উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়নের রোঙ্গাকাঠি গ্রামে। সন্তান জন্মের সময় লিমন পটুয়াখালীতে অবস্থান করছিলেন।

চিকিৎসক ডা. নরেশ চন্দ্র বড়াল জানান, গর্ভাবস্থায় রোগী প্রথমে পটুয়াখালীতে চিকিৎসা নেন। পরে প্রসববেদনা শুরু হলে তাকে বাবার বাড়ির কাছাকাছি জাহান আরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আল্ট্রাসনোগ্রামে দুটি শিশুর অস্তিত্ব দেখা গেলেও অস্ত্রোপচারের সময় বোঝা যায় এটি দুটি মাথা ও এক দেহবিশিষ্ট শিশু যা চিকিৎসা বিজ্ঞানে ‘কনজয়েনড টুইন’ নামে পরিচিত।

তিনি বলেন, অস্ত্রোপচার সম্পূর্ণ সফলভাবে সম্পন্ন হয়। মা ও নবজাতক দুজনেই তখন সুস্থ ছিলেন। তবে এমন শিশুর ক্ষেত্রে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হওয়ায় দ্রুত বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

চিকিৎসকরা জানান, এ ধরনের শিশুর জন্ম অত্যন্ত বিরল এবং তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই সীমিত।

ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং বিরল শিশুটিকে একনজর দেখতে হাসপাতালে ভিড় জমে। বর্তমানে মা চৈতি মণ্ডল সুস্থ আছেন এবং চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। স্থানীয়রা দরিদ্র পরিবারটির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন।