Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পিরোজপুরে ইউপি সদস্য ও তার ভাবিকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী আহত

পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি : 

পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নে পারিবারিক বিরোধের জেরে ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম হাওলাদার (৫০) এবং তার ভাবী মৌকলি বেগমকে (৪৮) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই ইউপি সদস্যের স্ত্রীকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চরবলেশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শহিদুল ইসলাম চন্ডিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চরবলেশ্বর ২ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক নেতা এবং মুকুল বেগম শহিদুলের ভাই মোর্তুজা হাওলাদারের স্ত্রী।

ইন্দুরকানি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারুফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির সামনে পুকুর পাড়ে গিয়ে মোবাইলে কথা বলছিলেন ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম। এ সময় তিনি পুকুর ঘাটে মাছের খাবারও দেন। এসময় চার-পাঁচজনের একটি দুর্বৃত্তের দল ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে। তখন তার সঙ্গে থাকা ছোট মেয়ে তাকে বাঁচাতে গেলে ধাক্কা দিয়ে তাকে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়।

তাদের চিৎকারে শহিদুলের স্ত্রী এগিয়ে এলে তাদের দুজনকেই কুপিয়ে বাড়ির উঠানে ফেলে রাখে। এসময় তার ভাবি বাইরে এলে তাকেও উঠানে ফেলে উপর্যুপরি কোপাতে থাকে হামলাকারীরা। পরে আশপাশের লোকজন এসে তিনজনকেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে।

জানা যায়, শহিদুল ও তার ভাবি মুকুল বেগম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। শহিদুলের স্ত্রী রেহেনা বেগমকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। শনিবার সকাল পর্যন্ত তার জ্ঞান ফেরেনি বলে জানা যায়।

এ ঘটনার খবর পেয়ে পিরোজপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ইন্দুরকানি থানার ওসি মো. মারুফ হোসেনসহ গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

রাতেই দুইজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের শ্যালক মিজান মাঝী বলেন, রাতে হঠাৎ চার-পাঁচজন লোক এসে এ ঘটনা ঘটায়। আমার দুলাভাই সরকার পরিবর্তনের পর তিনটি রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাবাসের পর কয়েক মাস আগে কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বাড়িতে ছিলেন। কিন্তু কেন এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটলো তা বুঝে উঠতে পারছি না।

ইন্দুরকানী থানার ওসি মারুফ হোসেন বলেন, শুক্রবার রাতে নিজ বাড়ির উঠানে ইউপি সদস্য ও তার ভাবিকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ইউপি সদস্যের স্ত্রী গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

পিরোজপুরে ইউপি সদস্য ও তার ভাবিকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী আহত

প্রকাশের সময় : ১১:৫৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি : 

পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নে পারিবারিক বিরোধের জেরে ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম হাওলাদার (৫০) এবং তার ভাবী মৌকলি বেগমকে (৪৮) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই ইউপি সদস্যের স্ত্রীকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চরবলেশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শহিদুল ইসলাম চন্ডিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চরবলেশ্বর ২ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক নেতা এবং মুকুল বেগম শহিদুলের ভাই মোর্তুজা হাওলাদারের স্ত্রী।

ইন্দুরকানি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারুফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির সামনে পুকুর পাড়ে গিয়ে মোবাইলে কথা বলছিলেন ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম। এ সময় তিনি পুকুর ঘাটে মাছের খাবারও দেন। এসময় চার-পাঁচজনের একটি দুর্বৃত্তের দল ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে। তখন তার সঙ্গে থাকা ছোট মেয়ে তাকে বাঁচাতে গেলে ধাক্কা দিয়ে তাকে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়।

তাদের চিৎকারে শহিদুলের স্ত্রী এগিয়ে এলে তাদের দুজনকেই কুপিয়ে বাড়ির উঠানে ফেলে রাখে। এসময় তার ভাবি বাইরে এলে তাকেও উঠানে ফেলে উপর্যুপরি কোপাতে থাকে হামলাকারীরা। পরে আশপাশের লোকজন এসে তিনজনকেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে।

জানা যায়, শহিদুল ও তার ভাবি মুকুল বেগম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। শহিদুলের স্ত্রী রেহেনা বেগমকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। শনিবার সকাল পর্যন্ত তার জ্ঞান ফেরেনি বলে জানা যায়।

এ ঘটনার খবর পেয়ে পিরোজপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ইন্দুরকানি থানার ওসি মো. মারুফ হোসেনসহ গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

রাতেই দুইজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের শ্যালক মিজান মাঝী বলেন, রাতে হঠাৎ চার-পাঁচজন লোক এসে এ ঘটনা ঘটায়। আমার দুলাভাই সরকার পরিবর্তনের পর তিনটি রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাবাসের পর কয়েক মাস আগে কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বাড়িতে ছিলেন। কিন্তু কেন এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটলো তা বুঝে উঠতে পারছি না।

ইন্দুরকানী থানার ওসি মারুফ হোসেন বলেন, শুক্রবার রাতে নিজ বাড়ির উঠানে ইউপি সদস্য ও তার ভাবিকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ইউপি সদস্যের স্ত্রী গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।