Dhaka মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পিতার লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে জন্ম নিলো কন্যা

সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি  : 

সাতক্ষীরায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে স্বামীর মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সেই অ্যাম্বুলেন্সেই কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেন স্ত্রী। ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ থেকে আশাশুনি যাওয়ার পথে বুধহাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর গ্রামের শামসুর রহমান সরদারের ছোট ছেলে আলতাফ হোসেন (৩৪) ঢাকায় একটি ইটের ভাটায় শ্রমিকের কাজে যান। দুই সপ্তাহ আগে ইটভাটায় কাজে থাকা অবস্থায় শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করেন আলতাফ। প্রথমে বাড়িতে আসেন তিনি। পরে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তার শরীরে ব্লাড ক্যানসার ধরা পড়ে এবং আস্তে আস্তে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বুধবার সকালে তার মরদেহ লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে গ্রামের বাড়ি আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর নেওয়া হচ্ছিল। পথিমধ্যে বুধহাটা এলাকায় পৌঁছালে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা আলতাফ হোসেনের স্ত্রীর প্রসবের বেদনা ওঠে। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই তিনি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। তিনি ও নবজাতক বর্তমানে সুস্থ আছেন।

প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু দাউদ বলেন, ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলতাফের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে আলতাফ হোসেনের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আলতাফ ছিলেন একজন সাধারণ ইটভাটা শ্রমিক। মরদেহ বাড়িতে আনার সময়ে লাশবাহী গাড়ির মধ্য তার স্ত্রী একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। পরিবারসহ স্বজনরা সবাই শোকাহত। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে আলতাফের পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে। তাছাড়া সব সুযোগ-সুবিধার আওতায় নেওয়া হবে তার পরিবারকে।

আবহাওয়া

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তরুণীর পা বিচ্ছিন্ন

পিতার লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে জন্ম নিলো কন্যা

প্রকাশের সময় : ০১:৪৫:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩

সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি  : 

সাতক্ষীরায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে স্বামীর মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সেই অ্যাম্বুলেন্সেই কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেন স্ত্রী। ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ থেকে আশাশুনি যাওয়ার পথে বুধহাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর গ্রামের শামসুর রহমান সরদারের ছোট ছেলে আলতাফ হোসেন (৩৪) ঢাকায় একটি ইটের ভাটায় শ্রমিকের কাজে যান। দুই সপ্তাহ আগে ইটভাটায় কাজে থাকা অবস্থায় শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করেন আলতাফ। প্রথমে বাড়িতে আসেন তিনি। পরে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তার শরীরে ব্লাড ক্যানসার ধরা পড়ে এবং আস্তে আস্তে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বুধবার সকালে তার মরদেহ লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে গ্রামের বাড়ি আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর নেওয়া হচ্ছিল। পথিমধ্যে বুধহাটা এলাকায় পৌঁছালে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা আলতাফ হোসেনের স্ত্রীর প্রসবের বেদনা ওঠে। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই তিনি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। তিনি ও নবজাতক বর্তমানে সুস্থ আছেন।

প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু দাউদ বলেন, ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলতাফের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে আলতাফ হোসেনের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আলতাফ ছিলেন একজন সাধারণ ইটভাটা শ্রমিক। মরদেহ বাড়িতে আনার সময়ে লাশবাহী গাড়ির মধ্য তার স্ত্রী একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। পরিবারসহ স্বজনরা সবাই শোকাহত। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে আলতাফের পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে। তাছাড়া সব সুযোগ-সুবিধার আওতায় নেওয়া হবে তার পরিবারকে।