Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পিএসজিকে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপা জিতলো চেলসি

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১১:৫২:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
  • ২০৭ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

কাগজে-কলমে হট ফেভারিটের তকমা ছিল দারুণ ছন্দে থাকা পিএসজির গায়ে। কিন্তু মাঠের ভেতরের লড়াইয়ে সব হিসাব-নিকাশ পুরোপুরি উল্টে গেল। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপাধারীদের টেনে মাটিতে নামাল চেলসি। কোল পালমারের অসাধারণ নৈপুণ্যে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হলো ব্লুজরা।

বাংলাদেশ সময় রোববার দিবাগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ফাইনালে পিএসজিকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে চেলসি। ৮২ হাজারের বেশি দর্শকের সামনে সবগুলো গোলই আসে ম্যাচের প্রথমার্ধে। বড় মঞ্চে জ্বলে উঠে জোড়া লক্ষ্যভেদ করেন ইংলিশ উইঙ্গার পালমার। পরে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড জোয়াও পেদ্রোর গোলও আসে তার অ্যাসিস্ট থেকে।

এবারই প্রথম ৩২টি ক্লাব নিয়ে নতুন ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হলো ক্লাব বিশ্বকাপ। সেখানে বাজিমাত করা ইংলিশ ক্লাব চেলসিকে শুরুতে ফেভারিটদের তালিকায় রেখেছিলেন কম লোকই। প্রতিযোগিতায় এটি তাদের দ্বিতীয় শিরোপা। এর আগে ২০২১ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের দলটি।

ফরাসি ক্লাব পিএসজি ফাইনালে পৌঁছেছিল দাপট দেখিয়ে। আগের চার ম্যাচে ১২ গোল করার বিপরীতে নিজেদের জাল অক্ষত রেখেছিল তারা। এর মধ্যে কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে ২-০ গোলে হারানোর পর সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল পার্ক দে প্রিন্সেসের দলটি। কিন্তু মূল লড়াইয়ে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়ল তারা।

চেলসির এবারের সাফল্যে বড় অবদান আছে গোলরক্ষক রবের্ত সানচেসেরও। গোলের জন্য পিএসজি ৮টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখতে পারে ৬টি, সবকটিই সেভ করেন সানচেস। যার ৪টি ছিল দুর্দান্ত। ৩৩ শতাংশের একটু বেশি সময় বল দখলে রেখে চেলসির ১০ শটের ৫টি লক্ষ্যে ছিল।
এর পেছনে মূল ভূমিকা চেলসির স্প্যানিশ গোলরক্ষক রবার্ত সানচেজের। নিজেকে মেলে ধরে ছয়টি শটের সবকটিই রুখে দেন তিনি। কয়েকটি আবার ছিল বিশ্বমানের সেভ।

সেমি-ফাইনালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেসিকে ২-০ গোলে হারিয়ে আসা চেলসি আক্রমণাত্মক শুরু করে পিএসজির বিপক্ষে। অষ্টম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে পালমারের বাঁ পায়ের শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।

ষোড়শ মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় পিএসজি। ফাবিয়ান রুইসের চমৎকার পাস বক্সে ভালো পজিশনে পান দিজিরে দুয়ে, কিন্তু নিজে শট না নিয়ে আশরাফ হাকিমিকে পাস দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। বল ক্লিয়ার করেন চেলসির ডিফেন্ডার মার্ক কুকুরেইয়া।

দুই মিনিট পর বক্সের বাইরে থেকে দুয়ের জোরাল নিচু শট ঝাঁপিয়ে এক হাতে ঠেকান সানচেস। ২২তম মিনিটে এগিয়ে যায় চেলসি। গোলরক্ষকের লম্বা করে বাড়ানো বল ধরে বক্সে ঢুকে মালো গিস্তোর শট রক্ষণে প্রতিহত হওয়ার পর এই ডিফেন্ডার খুঁজে নেন পালমারকে। বাঁ পায়ের নিচু শটে বল জালে পাঠান ২৩ বছর বয়সী ইংলিশ উইঙ্গার।

আট মিনিট পর দুর্দান্ত গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পালমার। নিজেদের অর্ধ থেকে ডিফেন্ডার লিভাই কলউইলের উঁচু করে বাড়ানো বল ধরে প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি, জায়গা বানিয়ে বাঁ পায়ের আরেকটি নিচু শটে দুই খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে খুঁজে নেন জাল।

পিএসজিকে কোণঠাসা করে ৪৩তম মিনিটে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় চেলসি। এই গোলেও জড়িয়ে আছে পালমারের নাম। তিনি পাস দেন বক্সে, অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে বক্সে ঢুকে প্রথম স্পর্শে গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে বল জালে পাঠান জোয়াও পেদ্রো।

চেলসির হয়ে তিন ম্যাচে পেদ্রোর গোল হলো তিনটি। নতুন ঠিকানায় প্রথমবার শুরুর একাদশে নেমেই ছেলেবেলার ক্লাব ফ্লুমিনেসির বিপক্ষে চোখধাঁধানো দুটি গোল করেছিলেন তিনি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আরেকটি দারুণ সেভ করেন সানচেস। জোয়াও নেভেসের হেড ঝাঁপিয়ে ঠেকান তিনি।

দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে অবিশ্বাস্য সেভ করে জাল অক্ষত রাখেন সানচেস। কাছ থেকে উসমান দেম্বেলের প্রচেষ্টা দারুণ ক্ষিপ্রতায় ঝাঁপিয়ে এক হাতে ব্যর্থ করে দেন ২৭ বছর বয়সী স্প্যানিশ গোলরক্ষক।

৬০তম মিনিটে আরেকবার সানচেসের দৃঢ়তায় বেঁচে যায় চেলসি। ৩০ গজ দূর থেকে ভিতিনিয়ার জোরাল শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন তিনি। ৬৭তম মিনিটে জোয়াও পেদ্রোর বদলি নামার পর প্রথম স্পর্শেই চমৎকার এক গোল পেতে যাচ্ছিলেন লিয়াম ডেলাপ। বক্সের বাইরে থেকে এই ইংলিশ স্ট্রাইকারের জোরাল শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান জানলুইজি দোন্নারুম্মা। ৮০তম মিনিটে ডেলাপের আরেকটি প্রচেষ্টা আটকান ইতালিয়ান গোলরক্ষক।

নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতে ১০ জনের দলে পরিণত হয় পিএসজি। পেছন থেকে কুকুরেইয়ার চুল টেনে ধরায় ভিএআরের সাহায্যে পিএসজি মিডফিল্ডার জোয়াও নেভেসকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।

বাকি সময়ে আর কেউ কিছু করতে পারেনি। শেষ বাঁশি বাজার পর হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই দলের কয়েক জন। জোয়াও পেদ্রোর মুখে আঘাত করেন পিএসজি কোচ এনরিকে। একটু পর অবশ্য বাঁধভাঙা উদযাপনে মেতে ওঠে গোটা চেলসি শিবির।

ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর পাশে বসে শিরোপা লড়াই উপভোগ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। পরে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে খেলোয়াড়, ম্যাচ অফিসিয়ালদের মেডেল ও চ্যাম্পিয়ন অধিনায়কের হাতে ট্রফি তুলে দেন তারা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান লায়ন বাশার গ্রেফতার

পিএসজিকে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপা জিতলো চেলসি

প্রকাশের সময় : ১১:৫২:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

কাগজে-কলমে হট ফেভারিটের তকমা ছিল দারুণ ছন্দে থাকা পিএসজির গায়ে। কিন্তু মাঠের ভেতরের লড়াইয়ে সব হিসাব-নিকাশ পুরোপুরি উল্টে গেল। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপাধারীদের টেনে মাটিতে নামাল চেলসি। কোল পালমারের অসাধারণ নৈপুণ্যে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হলো ব্লুজরা।

বাংলাদেশ সময় রোববার দিবাগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ফাইনালে পিএসজিকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে চেলসি। ৮২ হাজারের বেশি দর্শকের সামনে সবগুলো গোলই আসে ম্যাচের প্রথমার্ধে। বড় মঞ্চে জ্বলে উঠে জোড়া লক্ষ্যভেদ করেন ইংলিশ উইঙ্গার পালমার। পরে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড জোয়াও পেদ্রোর গোলও আসে তার অ্যাসিস্ট থেকে।

এবারই প্রথম ৩২টি ক্লাব নিয়ে নতুন ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হলো ক্লাব বিশ্বকাপ। সেখানে বাজিমাত করা ইংলিশ ক্লাব চেলসিকে শুরুতে ফেভারিটদের তালিকায় রেখেছিলেন কম লোকই। প্রতিযোগিতায় এটি তাদের দ্বিতীয় শিরোপা। এর আগে ২০২১ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের দলটি।

ফরাসি ক্লাব পিএসজি ফাইনালে পৌঁছেছিল দাপট দেখিয়ে। আগের চার ম্যাচে ১২ গোল করার বিপরীতে নিজেদের জাল অক্ষত রেখেছিল তারা। এর মধ্যে কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে ২-০ গোলে হারানোর পর সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল পার্ক দে প্রিন্সেসের দলটি। কিন্তু মূল লড়াইয়ে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়ল তারা।

চেলসির এবারের সাফল্যে বড় অবদান আছে গোলরক্ষক রবের্ত সানচেসেরও। গোলের জন্য পিএসজি ৮টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখতে পারে ৬টি, সবকটিই সেভ করেন সানচেস। যার ৪টি ছিল দুর্দান্ত। ৩৩ শতাংশের একটু বেশি সময় বল দখলে রেখে চেলসির ১০ শটের ৫টি লক্ষ্যে ছিল।
এর পেছনে মূল ভূমিকা চেলসির স্প্যানিশ গোলরক্ষক রবার্ত সানচেজের। নিজেকে মেলে ধরে ছয়টি শটের সবকটিই রুখে দেন তিনি। কয়েকটি আবার ছিল বিশ্বমানের সেভ।

সেমি-ফাইনালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেসিকে ২-০ গোলে হারিয়ে আসা চেলসি আক্রমণাত্মক শুরু করে পিএসজির বিপক্ষে। অষ্টম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে পালমারের বাঁ পায়ের শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।

ষোড়শ মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় পিএসজি। ফাবিয়ান রুইসের চমৎকার পাস বক্সে ভালো পজিশনে পান দিজিরে দুয়ে, কিন্তু নিজে শট না নিয়ে আশরাফ হাকিমিকে পাস দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। বল ক্লিয়ার করেন চেলসির ডিফেন্ডার মার্ক কুকুরেইয়া।

দুই মিনিট পর বক্সের বাইরে থেকে দুয়ের জোরাল নিচু শট ঝাঁপিয়ে এক হাতে ঠেকান সানচেস। ২২তম মিনিটে এগিয়ে যায় চেলসি। গোলরক্ষকের লম্বা করে বাড়ানো বল ধরে বক্সে ঢুকে মালো গিস্তোর শট রক্ষণে প্রতিহত হওয়ার পর এই ডিফেন্ডার খুঁজে নেন পালমারকে। বাঁ পায়ের নিচু শটে বল জালে পাঠান ২৩ বছর বয়সী ইংলিশ উইঙ্গার।

আট মিনিট পর দুর্দান্ত গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পালমার। নিজেদের অর্ধ থেকে ডিফেন্ডার লিভাই কলউইলের উঁচু করে বাড়ানো বল ধরে প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি, জায়গা বানিয়ে বাঁ পায়ের আরেকটি নিচু শটে দুই খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে খুঁজে নেন জাল।

পিএসজিকে কোণঠাসা করে ৪৩তম মিনিটে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় চেলসি। এই গোলেও জড়িয়ে আছে পালমারের নাম। তিনি পাস দেন বক্সে, অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে বক্সে ঢুকে প্রথম স্পর্শে গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে বল জালে পাঠান জোয়াও পেদ্রো।

চেলসির হয়ে তিন ম্যাচে পেদ্রোর গোল হলো তিনটি। নতুন ঠিকানায় প্রথমবার শুরুর একাদশে নেমেই ছেলেবেলার ক্লাব ফ্লুমিনেসির বিপক্ষে চোখধাঁধানো দুটি গোল করেছিলেন তিনি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আরেকটি দারুণ সেভ করেন সানচেস। জোয়াও নেভেসের হেড ঝাঁপিয়ে ঠেকান তিনি।

দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে অবিশ্বাস্য সেভ করে জাল অক্ষত রাখেন সানচেস। কাছ থেকে উসমান দেম্বেলের প্রচেষ্টা দারুণ ক্ষিপ্রতায় ঝাঁপিয়ে এক হাতে ব্যর্থ করে দেন ২৭ বছর বয়সী স্প্যানিশ গোলরক্ষক।

৬০তম মিনিটে আরেকবার সানচেসের দৃঢ়তায় বেঁচে যায় চেলসি। ৩০ গজ দূর থেকে ভিতিনিয়ার জোরাল শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন তিনি। ৬৭তম মিনিটে জোয়াও পেদ্রোর বদলি নামার পর প্রথম স্পর্শেই চমৎকার এক গোল পেতে যাচ্ছিলেন লিয়াম ডেলাপ। বক্সের বাইরে থেকে এই ইংলিশ স্ট্রাইকারের জোরাল শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান জানলুইজি দোন্নারুম্মা। ৮০তম মিনিটে ডেলাপের আরেকটি প্রচেষ্টা আটকান ইতালিয়ান গোলরক্ষক।

নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতে ১০ জনের দলে পরিণত হয় পিএসজি। পেছন থেকে কুকুরেইয়ার চুল টেনে ধরায় ভিএআরের সাহায্যে পিএসজি মিডফিল্ডার জোয়াও নেভেসকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।

বাকি সময়ে আর কেউ কিছু করতে পারেনি। শেষ বাঁশি বাজার পর হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই দলের কয়েক জন। জোয়াও পেদ্রোর মুখে আঘাত করেন পিএসজি কোচ এনরিকে। একটু পর অবশ্য বাঁধভাঙা উদযাপনে মেতে ওঠে গোটা চেলসি শিবির।

ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর পাশে বসে শিরোপা লড়াই উপভোগ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। পরে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে খেলোয়াড়, ম্যাচ অফিসিয়ালদের মেডেল ও চ্যাম্পিয়ন অধিনায়কের হাতে ট্রফি তুলে দেন তারা।