Dhaka মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পিআর পদ্ধতি ছাড়া বাংলাদেশে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না : ডা.তাহের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, পিআর পদ্ধতি ছাড়া বাংলাদেশে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। যারা পিআর চায় না, তারা জনপ্রিয়তা নয় বরং চাঁদাবাজির অর্থ ও সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করতে চায়।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর মহাখালীতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত গণমিছিলের এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরা আপনাকে ভালো মানুষ হিসেবে জানি। আপনি বলছেন সংস্কার করবেন। আপনি সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন ঘোষণা করলে জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে।

সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, জনগণ আপনাকে (ড. ইউনূস) বসিয়েছে। আপনি কিন্তু রাজপথে ছিলেন না। টেলিভিশনের খবর দেখেছি আপনি বিদেশে ছিলেন। রাস্তায় আপনার চেহারা দুরবিন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না। আপনার কোনো ভাই-ব্রাদারের সন্তান রাজপথে জীবন দেয়নি। আমাদের রক্তের মাঠে দাঁড়িয়ে, আমাদের লোকদের লাশের ওপর দিয়ে আপনি ক্ষমতায় গেছেন। আমরাই এনেছি, আমরাই আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছি। আমরা আশা করব, আপনার মতো সজ্জন ব্যক্তি জাতির সঙ্গে বেইমানি-বিশ্বাসঘাতকতা করবেন না।

তিনি বলেন, আমরা কোনো ব্যক্তি নয়, আদর্শের কারণে আপনাকে বসিয়েছিলাম। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আপনাকে বসিয়েছিলাম। যদি আবার বিশ্বাসঘাতকতার গন্ধ পাই যে, স্বৈরাচারকে সহযোগিতা করছেন, স্বৈরাচার গড়ারও ষড়যন্ত্র করছেন, তাহলে জনগণ আপনাকেও ছাড় দেবে না।

তাহের বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সংস্কার যদি মানেনই, তাহলে আইনি ভিত্তি দিতে সমস্যা কোথায়? আইনি ভিত্তি দিতে কি কি অসুবিধা বলেন, সেটার জবাব আমি দেব। পিআর যদি না বোঝেন আসেন বিতর্ক করি, সবার সামনে, বায়তুল মোকাররম, প্রেস ক্লাবের সামনে বিতর্ক করি। আর যদি না আসেন তখন বুঝব আপনার মনের কথা ও মুখের কথায় মিল আছে।

কিছু সংখ্যক মানুষ ছাড়া এবং কয়েকটি দল ছাড়া সবাই, সব মানুষই জুলাই মুক্তিযোদ্ধা। আপনারা মুক্তিযোদ্ধা, আমরা দাঁড়িয়ে আছি, আমরাও মুক্তিযোদ্ধা। এই মুক্তিযুদ্ধের পেছনে অনেক গল্প আছে, লক্ষ্য ছিল। সেই লক্ষ্য পূরণে আমরা রক্তাক্ত হয়েছি, জীবন দিয়েছি, জেলে গেছি। সেই অতীত আমরা বলতে চাই না। কারণ আমরা প্রত্যেকেই সাক্ষী। কারণ আমরা গত ১৫ বছর নির্যাতনের শিকার ছিলাম।

তাহের বলেন, আর আওয়ামী লীগ সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলতে চাই না, কারণ এটা ‘গনকেস’। দিল্লি বহুদূর। তাদের নিয়ে কথা বলার কোনো দরকার নেই। কারণ আওয়ামী লীগ, স্বৈরাচার আর আসতে পারবে না, মানুষ তাদের চিনে ফেলেছে। আর এখন যারা নতুন করে স্বৈরাচার হওয়ার চেষ্টা করছে জনগণ তাদেরও ইনশাআল্লাহ আসতে দেবে না।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারূ সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দীন মানিক ও ইয়াছিন আরাফাত, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য জিয়াউল হাসান, জামাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মো. আতাউর রহমান সরকার এবং ঢাকা মহনগর উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য নাসির উদ্দীন।

আবহাওয়া

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত

পিআর পদ্ধতি ছাড়া বাংলাদেশে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না : ডা.তাহের

প্রকাশের সময় : ১২:৫৩:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, পিআর পদ্ধতি ছাড়া বাংলাদেশে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। যারা পিআর চায় না, তারা জনপ্রিয়তা নয় বরং চাঁদাবাজির অর্থ ও সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করতে চায়।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর মহাখালীতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত গণমিছিলের এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরা আপনাকে ভালো মানুষ হিসেবে জানি। আপনি বলছেন সংস্কার করবেন। আপনি সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন ঘোষণা করলে জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে।

সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, জনগণ আপনাকে (ড. ইউনূস) বসিয়েছে। আপনি কিন্তু রাজপথে ছিলেন না। টেলিভিশনের খবর দেখেছি আপনি বিদেশে ছিলেন। রাস্তায় আপনার চেহারা দুরবিন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না। আপনার কোনো ভাই-ব্রাদারের সন্তান রাজপথে জীবন দেয়নি। আমাদের রক্তের মাঠে দাঁড়িয়ে, আমাদের লোকদের লাশের ওপর দিয়ে আপনি ক্ষমতায় গেছেন। আমরাই এনেছি, আমরাই আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছি। আমরা আশা করব, আপনার মতো সজ্জন ব্যক্তি জাতির সঙ্গে বেইমানি-বিশ্বাসঘাতকতা করবেন না।

তিনি বলেন, আমরা কোনো ব্যক্তি নয়, আদর্শের কারণে আপনাকে বসিয়েছিলাম। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আপনাকে বসিয়েছিলাম। যদি আবার বিশ্বাসঘাতকতার গন্ধ পাই যে, স্বৈরাচারকে সহযোগিতা করছেন, স্বৈরাচার গড়ারও ষড়যন্ত্র করছেন, তাহলে জনগণ আপনাকেও ছাড় দেবে না।

তাহের বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সংস্কার যদি মানেনই, তাহলে আইনি ভিত্তি দিতে সমস্যা কোথায়? আইনি ভিত্তি দিতে কি কি অসুবিধা বলেন, সেটার জবাব আমি দেব। পিআর যদি না বোঝেন আসেন বিতর্ক করি, সবার সামনে, বায়তুল মোকাররম, প্রেস ক্লাবের সামনে বিতর্ক করি। আর যদি না আসেন তখন বুঝব আপনার মনের কথা ও মুখের কথায় মিল আছে।

কিছু সংখ্যক মানুষ ছাড়া এবং কয়েকটি দল ছাড়া সবাই, সব মানুষই জুলাই মুক্তিযোদ্ধা। আপনারা মুক্তিযোদ্ধা, আমরা দাঁড়িয়ে আছি, আমরাও মুক্তিযোদ্ধা। এই মুক্তিযুদ্ধের পেছনে অনেক গল্প আছে, লক্ষ্য ছিল। সেই লক্ষ্য পূরণে আমরা রক্তাক্ত হয়েছি, জীবন দিয়েছি, জেলে গেছি। সেই অতীত আমরা বলতে চাই না। কারণ আমরা প্রত্যেকেই সাক্ষী। কারণ আমরা গত ১৫ বছর নির্যাতনের শিকার ছিলাম।

তাহের বলেন, আর আওয়ামী লীগ সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলতে চাই না, কারণ এটা ‘গনকেস’। দিল্লি বহুদূর। তাদের নিয়ে কথা বলার কোনো দরকার নেই। কারণ আওয়ামী লীগ, স্বৈরাচার আর আসতে পারবে না, মানুষ তাদের চিনে ফেলেছে। আর এখন যারা নতুন করে স্বৈরাচার হওয়ার চেষ্টা করছে জনগণ তাদেরও ইনশাআল্লাহ আসতে দেবে না।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারূ সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দীন মানিক ও ইয়াছিন আরাফাত, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য জিয়াউল হাসান, জামাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মো. আতাউর রহমান সরকার এবং ঢাকা মহনগর উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য নাসির উদ্দীন।