Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাহাড়, বন দখল করে কোনো উন্নয়ন করা যাবে না : পরিবেশমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, সব উন্নয়নই যেন পরিবেশবান্ধব এবং জলবায়ু সহায়ক হয় সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। এজন্য সরকার গ্রিন ও ক্লাইমেট রেজিলেন্ট ডেভেলপমেন্ট নীতিমালা অনুসরণ করছে। জলবায়ু পরিবর্তন এখন মেইনস্ট্রিমিং হচ্ছে। স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, অবকাঠামো সব পরিকল্পনা প্রণয়নেই এ নীতি অনুসরণ করে হবে। পাহাড়, বন দখল করে কোনো উন্নয়ন করা যাবে না। পাহাড় ও জলাধার কাটা বন্ধ করা হবে। পাহাড় কেটে আবাসন নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীতে অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ আয়োজিত কনফারেন্স অব পার্টিস ২৮ এ বাংলাদেশের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি এবং কপ২৯ নিয়ে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে ‘কপ-২৮ এর অভিজ্ঞতা, প্রাপ্তি এবং আসন্ন কপ-২৯ নিয়ে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার রূপরেখা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর আমাদের অ্যাডাপটেশনে ৯ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। সেখানে সরকার সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার দিচ্ছে শুধু অ্যাডাপটেশনে। যদি এই বিপুল পরিমাণ অর্থ শুধু জলবায়ুতে দেওয়া না লাগতো তাহলে আমাদের রাস্তাঘাট, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো এসবে ব্যয় করতে পারতাম।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তা রাখা সম্ভব নয়। শতভাগ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হলেও তা পার হয়ে যাবে। ধারণা করা হয় তা ২.৫ বা ২.৬ এ চলে যাবে। তিনি বলেন, তাপমাত্রা যতই বৃদ্ধি পাক আমাদের ১.৫ ডিগ্রি নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই কাজ করতে হবে। জলবায়ু সুরক্ষার জন্য যা যা করা দরকার তা করতে হবে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি মোকাবিলায় সবাই যদি একমত হয় তাহলে সমাধান সম্ভব হবে। প্রক্রিয়াটাকে টিকিয়ে রাখার জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করবো।

তিনি বলেন, যারা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী আছেন তাদের এক জায়গায় নিয়ে আসতে চাই। আমরা সবাইকে একটি প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসবো। সেই প্ল্যাটফর্ম থেকেই জলবায়ু পরিবর্তনের সব অর্থায়ন ও পরিকল্পনা করা হবে।

এর আগে, কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মো. জিয়াউল হক। তিনি বাংলাদেশের কপ-২৮ এর প্রাপ্তি, ফলাফল এবং কপ-২৯ এ স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নেগোসিয়েশনের জায়গাসমূহ, উন্নয়ন কৌশল, এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। যার মধ্যে জলবায়ু প্রশমন, অভিযোজন, অর্থনৈতিক সহায়তা, প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার, সক্ষমতা বৃদ্ধি, ক্ষয়ক্ষতি এবং জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলায় বাংলাদেশের পরিকল্পনার মতো বিষয়গুলো উঠে আসে।

উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন, (সিএসও), জলবায়ু বিশেষজ্ঞ, তৃণমূল পর্যায়ে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর প্রতিনিধি, তরুণ জলবায়ু কর্মী, শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ এবং অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের প্রতিনিধিবৃন্দ প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

হাদি হত্যাচেষ্টা মামলায় ৩ দিনের রিমান্ডে নুরুজ্জামান

পাহাড়, বন দখল করে কোনো উন্নয়ন করা যাবে না : পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৯:২৫:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, সব উন্নয়নই যেন পরিবেশবান্ধব এবং জলবায়ু সহায়ক হয় সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। এজন্য সরকার গ্রিন ও ক্লাইমেট রেজিলেন্ট ডেভেলপমেন্ট নীতিমালা অনুসরণ করছে। জলবায়ু পরিবর্তন এখন মেইনস্ট্রিমিং হচ্ছে। স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, অবকাঠামো সব পরিকল্পনা প্রণয়নেই এ নীতি অনুসরণ করে হবে। পাহাড়, বন দখল করে কোনো উন্নয়ন করা যাবে না। পাহাড় ও জলাধার কাটা বন্ধ করা হবে। পাহাড় কেটে আবাসন নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীতে অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ আয়োজিত কনফারেন্স অব পার্টিস ২৮ এ বাংলাদেশের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি এবং কপ২৯ নিয়ে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে ‘কপ-২৮ এর অভিজ্ঞতা, প্রাপ্তি এবং আসন্ন কপ-২৯ নিয়ে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার রূপরেখা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর আমাদের অ্যাডাপটেশনে ৯ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। সেখানে সরকার সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার দিচ্ছে শুধু অ্যাডাপটেশনে। যদি এই বিপুল পরিমাণ অর্থ শুধু জলবায়ুতে দেওয়া না লাগতো তাহলে আমাদের রাস্তাঘাট, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো এসবে ব্যয় করতে পারতাম।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তা রাখা সম্ভব নয়। শতভাগ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হলেও তা পার হয়ে যাবে। ধারণা করা হয় তা ২.৫ বা ২.৬ এ চলে যাবে। তিনি বলেন, তাপমাত্রা যতই বৃদ্ধি পাক আমাদের ১.৫ ডিগ্রি নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই কাজ করতে হবে। জলবায়ু সুরক্ষার জন্য যা যা করা দরকার তা করতে হবে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি মোকাবিলায় সবাই যদি একমত হয় তাহলে সমাধান সম্ভব হবে। প্রক্রিয়াটাকে টিকিয়ে রাখার জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করবো।

তিনি বলেন, যারা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী আছেন তাদের এক জায়গায় নিয়ে আসতে চাই। আমরা সবাইকে একটি প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসবো। সেই প্ল্যাটফর্ম থেকেই জলবায়ু পরিবর্তনের সব অর্থায়ন ও পরিকল্পনা করা হবে।

এর আগে, কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মো. জিয়াউল হক। তিনি বাংলাদেশের কপ-২৮ এর প্রাপ্তি, ফলাফল এবং কপ-২৯ এ স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নেগোসিয়েশনের জায়গাসমূহ, উন্নয়ন কৌশল, এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। যার মধ্যে জলবায়ু প্রশমন, অভিযোজন, অর্থনৈতিক সহায়তা, প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার, সক্ষমতা বৃদ্ধি, ক্ষয়ক্ষতি এবং জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলায় বাংলাদেশের পরিকল্পনার মতো বিষয়গুলো উঠে আসে।

উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন, (সিএসও), জলবায়ু বিশেষজ্ঞ, তৃণমূল পর্যায়ে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর প্রতিনিধি, তরুণ জলবায়ু কর্মী, শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ এবং অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের প্রতিনিধিবৃন্দ প্রমুখ।