Dhaka মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ন্যায্য ও সম্মানজনক চুক্তি চায় ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বৈঠক শুরু হয়েছে ওমানের রাজধানী মাসকটে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভিতে বলেছেন, তার দেশ একটি ‘ন্যায্য চুক্তি’ চায়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে ইরানের সঙ্গে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর হওয়া ওবামা-আমলের পামাণবিক চুক্তি থেকে সরে এসেছেন।

ইরানের সঙ্গে আরও ভাল একটি চুক্তি করবেন বলে দীর্ঘদিন থেকেই বলে এসেছেন ট্রাম্প। তবে এতদিন ইরান পুরোনো ওই চুক্তির জায়গায় নতুন চুক্তি করা নিয়ে আলোচনা প্রত্যাখ্যান করে এসেছিল।

ওমানে দুপক্ষ একই কক্ষে সরাসরি আলোচনায় বসেছে কিনা তা স্পষ্ট জানা যায়নি। তবে আলোচনার সূচনাকে একটি চুক্তির পথে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবেই দেখা হচ্ছে।

শনিবারের এই বৈঠকে আলোচনার একটি কর্মকাঠামো প্রতিষ্ঠা করাই প্রাধান্য পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দুই পক্ষের মধ্যে এই আলোচনা একদিকে যেমন আশার সঞ্চার করছে, তেমনি আলোচনায় কোনো ফল না এলে অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা মারাত্মক আকার ধারণ করবে এমন আশঙ্কাও আছে।

কোনো চুক্তি না হলে ইরানে বোমা মারার হুমকি আগেই দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এর পাল্টায় ইরান সতর্কতার সঙ্গে অগ্রসর হয়েছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগচি বরাবরই এই পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরোক্ষো আলোচনাই চেয়ে এসেছেন। তবে ট্রাম্প চাইছিলেন মুখোমুখি বৈঠক।

ওমানে আলোচনায় আরাগচি ইরানি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আর যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে আলোচনার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ।

এ বৈঠকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান কী ধরনের চুক্তিতে রাজি হবে সেটি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কেবলই বলে এসেছেন যে ইরানের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে পারবে না।

ওদিকে, ইরান চায় কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিনিময়ে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করা হোক, কিন্তু নির্মূল যেন করা না হয়।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগচি বলেন, সমান অবস্থান থেকে একটি ন্যায্য এবং সম্মানজনক চুক্তিতে উপনীত হওয়াই আমাদের অভিপ্রায়। অপর পক্ষও যদি একই অবস্থান থেকে এসে থাকে তাহলে প্রাথমিকভাবে একটি বোঝাপড়া হওয়ার সুযোগ থাকবে, যা থেকে আমরা আলোচনার পথে এগুব।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ন্যায্য ও সম্মানজনক চুক্তি চায় ইরান

প্রকাশের সময় : ১০:০৭:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বৈঠক শুরু হয়েছে ওমানের রাজধানী মাসকটে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভিতে বলেছেন, তার দেশ একটি ‘ন্যায্য চুক্তি’ চায়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে ইরানের সঙ্গে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর হওয়া ওবামা-আমলের পামাণবিক চুক্তি থেকে সরে এসেছেন।

ইরানের সঙ্গে আরও ভাল একটি চুক্তি করবেন বলে দীর্ঘদিন থেকেই বলে এসেছেন ট্রাম্প। তবে এতদিন ইরান পুরোনো ওই চুক্তির জায়গায় নতুন চুক্তি করা নিয়ে আলোচনা প্রত্যাখ্যান করে এসেছিল।

ওমানে দুপক্ষ একই কক্ষে সরাসরি আলোচনায় বসেছে কিনা তা স্পষ্ট জানা যায়নি। তবে আলোচনার সূচনাকে একটি চুক্তির পথে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবেই দেখা হচ্ছে।

শনিবারের এই বৈঠকে আলোচনার একটি কর্মকাঠামো প্রতিষ্ঠা করাই প্রাধান্য পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দুই পক্ষের মধ্যে এই আলোচনা একদিকে যেমন আশার সঞ্চার করছে, তেমনি আলোচনায় কোনো ফল না এলে অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা মারাত্মক আকার ধারণ করবে এমন আশঙ্কাও আছে।

কোনো চুক্তি না হলে ইরানে বোমা মারার হুমকি আগেই দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এর পাল্টায় ইরান সতর্কতার সঙ্গে অগ্রসর হয়েছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগচি বরাবরই এই পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরোক্ষো আলোচনাই চেয়ে এসেছেন। তবে ট্রাম্প চাইছিলেন মুখোমুখি বৈঠক।

ওমানে আলোচনায় আরাগচি ইরানি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আর যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে আলোচনার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ।

এ বৈঠকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান কী ধরনের চুক্তিতে রাজি হবে সেটি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কেবলই বলে এসেছেন যে ইরানের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে পারবে না।

ওদিকে, ইরান চায় কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিনিময়ে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করা হোক, কিন্তু নির্মূল যেন করা না হয়।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগচি বলেন, সমান অবস্থান থেকে একটি ন্যায্য এবং সম্মানজনক চুক্তিতে উপনীত হওয়াই আমাদের অভিপ্রায়। অপর পক্ষও যদি একই অবস্থান থেকে এসে থাকে তাহলে প্রাথমিকভাবে একটি বোঝাপড়া হওয়ার সুযোগ থাকবে, যা থেকে আমরা আলোচনার পথে এগুব।