পাবনায় ইজারাসূত্রে পদ্মা নদীর মালিকানা দাবি করে জেলেদের মাছ ধরতে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি চক্রের বিরুদ্ধে। জেলেদের অভিযোগ, অন্য এলাকার জলমহাল ইজারার কাগজ দেখিয়ে চক্রটি মাছ ধরায় বাঁধা দিচ্ছে। জোর করে আদায় করছে চাঁদাও। এতে বিপাকে পড়েছে পদ্মা নদীর মাছের উপর নির্ভরশীল শতাধিক জেলে পরিবার।
শুষ্ক মৌসুমে হাঁটুপানি থাকলেও বর্ষায় দুই কূল উপচে পানি গড়ায় পাবনার হেমায়েতপুরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা পদ্মা নদীর এই অংশে। এখানে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছে আশেপাশের গ্রামের শতাধিক জেলে পরিবার।
ইজারাসূত্রে মালিকানার কথা বলে জেলেদের কাছ থেকে জোরপূর্বক অর্থ আদায় করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। যার মূলে রয়েছে বাঁশেরবাদা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি নামে একটি সমিতি। চাঁদা না দিলে মারধরের পাশাপাশি ছিনিয়ে নিচ্ছে সারারাত পরিশ্রম করে শিকার করা মাছ। আবার মাছ ধরতে বাধা দেয়ার অভিযোগও আছে। জেলেরা বলছেন, প্রতিবাদ ও মানববন্ধনে কাজ না হওয়ায় আদালতে মামলা করেছেন তাদের কয়েকজন। তাতে আরও বেড়েছে নির্যাতন।
তবে ওই সমিতির সভাপতি আলাউদিদ্দন বললেন, গত মার্চে ঈশ্বরদী উপজেলার জয়েনপুর এলাকায় ২২ একর আয়তনের একটি জলমহাল বাঁশেরবাদা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামে ইজারা নেন তিনি।
এদিকে, ইজারাদাররা নিজ সীমানার বাইরে মাছ শিকার করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেন জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন। মাছ শিকারে নিরাপত্তা ও চাঁদাবাজদের নিয়ন্ত্রণে নদীপথে নজরদারি বাড়ানোর দাবি জেলেদের।