Dhaka মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাবনায় সাইদার হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পাবনা পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ব্যবসায়ী সাইদার মালিথাকে (৫৫) হত্যার ঘটনায় ৯ জনের ফাঁসি আদেশ দিয়েছেন রাজশাহীর আদালত। একই সঙ্গে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সাতজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মহিদুজ্জামান মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুর ১২টায় এ রায় ঘোষণা করেন। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হেমায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন মালিথা, আশরাফ মালিথার ছেলে স্বপন মালিথা, রিপন খান, শহরের চক ছাতিয়ানি মহল্লার মৃত কালাম মালিথার ছেলে আশিক মালিথা, নুরুজ্জামান রাকিব মালিথা, ইয়াসিন আরাফাত ইস্তি, মো. রঞ্জু মালিথা, জনি ও চক ছাতিয়ানির মৃত আব্দুল হাকিম মালিথার ছেলে মোহাম্মদ আলিফ মালিথা।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- দুলাল মালিথা, রাজু মালিথা, হায়দার মালিথা, সঞ্জু মালিথা ও বেলাল হোসেন উজ্জ্বল। আসামিরা পাবনা জেলা কারাগারে রয়েছেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের বেশিরভাগই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আলাউদ্দিন মালিথার আত্মীয়। বাকিরা ভাড়াটে খুনি। হত্যাকাণ্ডের শিকার সাইদার মালিথা ও আসামি আলাউদ্দিন মালিথা সম্পর্কে চাচাতো ভাই। সাইদার মালিথা পাবনার সদর উপজেলার চর প্রতাপপুর কাবলিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বলেন, সাইদার মালিথা ও আলাউদ্দিন মালিথা তারা একে অপরের চাচাতো ভাই। তাদের মধ্যে ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সাইদার মালিথা হত্যা মামলার মোট আসামি ছিল ২১ জন। এর মধ্যে ৯ জনের ফাঁসির আদেশ ছাড়াও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এই মামলায় আসামি থাকা ৭ জন খালাস দিয়েছেন আদালত।

তিনি আরো জানান, সাইদার মালিথা ও আলাউদ্দিন মালিথার মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। আলাউদ্দিন মালিথার কাছে তিনি ৩০ লাখ টাকা পেতেন। এই টাকা নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে সাইদারকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চর বাঙাবাড়িয়ার নজুর মোড়ে ২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে চা খাচ্ছিলেন সাইদার মালিথা। এ সময় তার বুকে গুলি করা হলে তিনি প্রাণ বাঁচাতে দৌড় দেন।

কিন্তু বেশি দূর যেতে পারেননি। তাকে ধরে নজুর মোড়ে এনে ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে, পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনার বিচার চেয়ে মামলা করা হয়। তদন্ত শেষে পুলিশ ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চর বাঙাবাড়িয়ার নজুর মোড়ে চা খাচ্ছিলেন সাইদার মালিথা (৫০)। এ সময় বেশ কয়েকজন এসে তাকে ঘিরে ধরে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। নিহত সাইদার মালিথা হেমায়েতপুরের চর প্রতাপপুর কাবলিপাড়ার মৃত হারান মালিথার ছেলে। তিনি পাবনা পৌর আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাবনায় সাইদার হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশের সময় : ০৪:৫১:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পাবনা পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ব্যবসায়ী সাইদার মালিথাকে (৫৫) হত্যার ঘটনায় ৯ জনের ফাঁসি আদেশ দিয়েছেন রাজশাহীর আদালত। একই সঙ্গে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সাতজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মহিদুজ্জামান মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুর ১২টায় এ রায় ঘোষণা করেন। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হেমায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন মালিথা, আশরাফ মালিথার ছেলে স্বপন মালিথা, রিপন খান, শহরের চক ছাতিয়ানি মহল্লার মৃত কালাম মালিথার ছেলে আশিক মালিথা, নুরুজ্জামান রাকিব মালিথা, ইয়াসিন আরাফাত ইস্তি, মো. রঞ্জু মালিথা, জনি ও চক ছাতিয়ানির মৃত আব্দুল হাকিম মালিথার ছেলে মোহাম্মদ আলিফ মালিথা।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- দুলাল মালিথা, রাজু মালিথা, হায়দার মালিথা, সঞ্জু মালিথা ও বেলাল হোসেন উজ্জ্বল। আসামিরা পাবনা জেলা কারাগারে রয়েছেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের বেশিরভাগই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আলাউদ্দিন মালিথার আত্মীয়। বাকিরা ভাড়াটে খুনি। হত্যাকাণ্ডের শিকার সাইদার মালিথা ও আসামি আলাউদ্দিন মালিথা সম্পর্কে চাচাতো ভাই। সাইদার মালিথা পাবনার সদর উপজেলার চর প্রতাপপুর কাবলিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বলেন, সাইদার মালিথা ও আলাউদ্দিন মালিথা তারা একে অপরের চাচাতো ভাই। তাদের মধ্যে ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সাইদার মালিথা হত্যা মামলার মোট আসামি ছিল ২১ জন। এর মধ্যে ৯ জনের ফাঁসির আদেশ ছাড়াও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এই মামলায় আসামি থাকা ৭ জন খালাস দিয়েছেন আদালত।

তিনি আরো জানান, সাইদার মালিথা ও আলাউদ্দিন মালিথার মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। আলাউদ্দিন মালিথার কাছে তিনি ৩০ লাখ টাকা পেতেন। এই টাকা নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে সাইদারকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চর বাঙাবাড়িয়ার নজুর মোড়ে ২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে চা খাচ্ছিলেন সাইদার মালিথা। এ সময় তার বুকে গুলি করা হলে তিনি প্রাণ বাঁচাতে দৌড় দেন।

কিন্তু বেশি দূর যেতে পারেননি। তাকে ধরে নজুর মোড়ে এনে ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে, পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনার বিচার চেয়ে মামলা করা হয়। তদন্ত শেষে পুলিশ ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চর বাঙাবাড়িয়ার নজুর মোড়ে চা খাচ্ছিলেন সাইদার মালিথা (৫০)। এ সময় বেশ কয়েকজন এসে তাকে ঘিরে ধরে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। নিহত সাইদার মালিথা হেমায়েতপুরের চর প্রতাপপুর কাবলিপাড়ার মৃত হারান মালিথার ছেলে। তিনি পাবনা পৌর আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য ছিলেন।