Dhaka মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পানিতে তলিয়ে গেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি : 

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে টানা বৃষ্টি এবং ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সড়কের চট্টগ্রামমুখী লেন হাঁটুপানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে সড়কে যান চলাচল। এতে প্রায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে যানজট।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ভোর থেকে এই যানজট শুরু হয় এবং এখনও অব্যাহত রয়েছে।

জানা গেছে, নবগ্রাম রাস্তার মাথা থেকে চৌদ্দগ্রাম বাজার পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। সড়ক ডুবে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলে ধীরগতি সৃষ্টি হয়েছে, যা ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কাভার্ডভ্যান চালক এমদাদ মিয়া জানান, সকাল ৬টায় চৌদ্দগ্রামে যানজটের কবলে পড়েন। কালির বাজারের পর সড়কে হাঁটুপানি থাকায় গাড়ি চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে এবং যানজটের কারণে সমস্যা হচ্ছে।

প্রাইভেটকার চালক জাকির হোসেন বলেন, মহাসড়কে হাঁটুপানি দেখে তিনি অবাক হয়েছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন এবং ছোট গাড়ি নিয়ে মহাসড়কে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে চলাচলকারী হানিফ এন্টারপ্রাইজের সুপারভাইজার সোহেল মিয়া বলেন, ভোরে যখন কক্সবাজার যাচ্ছিলাম, তখনই মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম ও ফেনীর বিভিন্ন এলাকায় পানি দেখেছি। মহাসড়ক প্লাবিত হওয়ায় গাড়ি চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী একটি বাসের চালক আবদুল কাদের বলেন, মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম ও ফেনীর বিভিন্ন স্থানে হাঁটু পানি। ফলে গাড়ি চালানো অনেক কষ্টকর। ধীরগতি হওয়ায় সড়কে যানজট লেগেছে। প্রতিনিয়ত পানি বাড়ছে। এতে যাত্রীদের পাশাপাশি চালকরাও আতঙ্কে রয়েছে।

মিয়া বাজার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম লোকমান হোসাইন বলেন, মহাসড়কে পানির কারণে যানবাহন চলাচলে ধীরগতি সৃষ্টি হয়েছে। যানজট কমানোর জন্য হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পানিতে তলিয়ে গেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

প্রকাশের সময় : ০১:২৭:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি : 

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে টানা বৃষ্টি এবং ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সড়কের চট্টগ্রামমুখী লেন হাঁটুপানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে সড়কে যান চলাচল। এতে প্রায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে যানজট।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ভোর থেকে এই যানজট শুরু হয় এবং এখনও অব্যাহত রয়েছে।

জানা গেছে, নবগ্রাম রাস্তার মাথা থেকে চৌদ্দগ্রাম বাজার পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। সড়ক ডুবে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলে ধীরগতি সৃষ্টি হয়েছে, যা ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কাভার্ডভ্যান চালক এমদাদ মিয়া জানান, সকাল ৬টায় চৌদ্দগ্রামে যানজটের কবলে পড়েন। কালির বাজারের পর সড়কে হাঁটুপানি থাকায় গাড়ি চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে এবং যানজটের কারণে সমস্যা হচ্ছে।

প্রাইভেটকার চালক জাকির হোসেন বলেন, মহাসড়কে হাঁটুপানি দেখে তিনি অবাক হয়েছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন এবং ছোট গাড়ি নিয়ে মহাসড়কে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে চলাচলকারী হানিফ এন্টারপ্রাইজের সুপারভাইজার সোহেল মিয়া বলেন, ভোরে যখন কক্সবাজার যাচ্ছিলাম, তখনই মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম ও ফেনীর বিভিন্ন এলাকায় পানি দেখেছি। মহাসড়ক প্লাবিত হওয়ায় গাড়ি চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী একটি বাসের চালক আবদুল কাদের বলেন, মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম ও ফেনীর বিভিন্ন স্থানে হাঁটু পানি। ফলে গাড়ি চালানো অনেক কষ্টকর। ধীরগতি হওয়ায় সড়কে যানজট লেগেছে। প্রতিনিয়ত পানি বাড়ছে। এতে যাত্রীদের পাশাপাশি চালকরাও আতঙ্কে রয়েছে।

মিয়া বাজার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম লোকমান হোসাইন বলেন, মহাসড়কে পানির কারণে যানবাহন চলাচলে ধীরগতি সৃষ্টি হয়েছে। যানজট কমানোর জন্য হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে।