Dhaka বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাঞ্জাবকে বিদায় করে প্লে-অফের আশা বাঁচাল রাজস্থান

স্পোর্টস ডেস্ক : 

আইপিএলে প্লে-অফে যেতে বড় জয়ের সঙ্গে রান রেটের বিষয়টাও মাথায় রাখতো হতো রাজস্থান রয়্যালসের। একই বিষয় প্রযোজ্য ছিল প্রতিপক্ষ পাঞ্জাব কিংসের বেলাতেও। সেই জায়গায় ২ বল হাতে রেখে শুধু জয়টাকেই নিশ্চিত করতে পেরেছে রাজস্থান। ৪ উইকেটে জিতে পাঞ্জাবকে বিদায়ের পথ দেখিয়েছে তারা। তাতে প্লে-অফে যাওয়ার সম্ভাবনা টিকে থাকলেও এখন সেটা নিজেদের হাতে নেই।

প্লে-অফের জন্য তাদের রোববার (২১ মে) মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স-সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু-গুজরাট টাইটান্স ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। প্রার্থনায় থাকতে হবে মুম্বাই যেন হায়দরাবাদের কাছে হারে এবং বেঙ্গালুরু যেন কমপক্ষে ৬ রানে গুজরাটের কাছে পরাজয়ের স্বাদ নেয়।

পয়েন্ট টেবিলে ১৪ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে অবস্থান করছে রাজস্থান। এক ম্যাচ কম খেলা বেঙ্গালুরু ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তাদের ওপরে আছে। রাজস্থানের রানরেট ০.১৪৮। বেঙ্গালুরুর ০.১৮০। মুম্বাই ১৪ পয়েন্ট ও -০.১২৮ রান রেট অবস্থান করছে ছয় নম্বরে। তাদের হাতেও একটি ম্যাচ বাকি।

এমন জটিল সমীকরণের সামনে রাজস্থানকে পড়তে হতো না যদি ১৮৮ রানের লক্ষ্য তারা আরও আগেই টপকে যেত। কিন্তু সেটি হয়নি শুরুটা বাজে হওয়ায়। ১২ রানেই সাজঘরে ফিরেছেন জস বাটলার। তার পর হাল ধরেন দেবদূত পাডিক্কাল ও যশ্বসী জয়সওয়াল। দূজনেই ঝড়ো ব্যাটিংয়ে হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন। যোগ করেছেন ৭৩ রান। পাডিক্কাল ৩০ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫১ রান করেছেন। ম্যাচসেরাও তিনি। পাডিক্কালের বিদায়ের পর অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসনও (২) দ্রুত ফিরলে বিপদ বাড়ে রাজস্থানের। তার পর জয়সওয়াল-শিমরন হেটমায়ারের ঝড়ো জুটিই ইনিংস সামলেছে। দুজনের ৪৭ রানের জুটি ভাঙে জয়সওয়ালের বিদায়ে। এই ওপেনার ৩৬ বলে ৮ চারে ৫০ রান করেছেন। রায়ান পরাগ ১২ বলে ২০ রানের কার্যকরী ইনিংসে ফিরলেও রানরেটের কথা মাথায় রেখে খেলতে থাকেন হেটমায়ার। শেষ পর্যন্ত ২৮ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৬ রানে ফেরেন তিনি। ততক্ষণে শেষ ৬ বলে রাজস্থানের ৯ রান দরকার। সেই রান ১৯.৪ ওভারে ছক্কা মেরে টপকেছেন ধ্রুব জুরেল।

পাঞ্জাবের হয়ে ৪০ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন কাগিসো রাবাদা। একটি করে নিয়েছেন স্যাম কারান, আরশদীপ সিং, নাথান এলিস ও রাহুল চাহার।

শুক্রবার (১৯ মে) পাঞ্জাবের ধর্মশালায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিপদে পড়ে পাঞ্জাব কিংস। ট্রেন্ট বোল্টের বলে ওপেনার প্রভসিমরান সিং ফেরেন মাত্র ২ রান করে। উইকেট হারালেও রয়েসয়ে খেলার সুযোগ ছিল না শেখর ধাওয়ানদের। অথর্ব তাইদেকে সঙ্গী বানিয়ে ধাওয়ান বোলারদের ওপর চড়াও চেষ্টা করেন। তবে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি তিনি। ১২ বলে ১৭ রানে ধাওয়ান এবং তাইদে ফেরেন ১২ বলে ১৯ রান করে। জাম্পার বলে ধাওয়ান এবং নবদীপ সাইনি তাইদেকে ফিরিয়েছেন।

এরপর দলীয় ৪৬ ও ৫০ রানে আরও দুটি উইকেট হারায় পাঞ্জাব। যা তাদের বড় স্কোরের আশাকে মিইয়ে দিতে থাকে। তবে এরপরই ঘুরে দাঁড়ানো লড়াই শুরু প্রীতি জিনতার দলের। স্যাম কারান ও জিতেশ শর্মা ৬৪ রানের জুটি বাধেন। পরবর্তী জুটিতেও ছিলেন কারান। শাহরুখ খানের সঙ্গে তার জুটিটা আরও বড়। দুজনের ৭৩ রানের সেই হার না মানা বাধ পাঞ্জাবকে বড় সংগ্রহ এনে দেয়। জিতেশ ২৮ বলে ৪৪ রান করে ফিরলেও, কারান-শাহরুখ ছিলেন অপরাজিত। দুজনে মিলে শেষ দুই ওভারে তোলেন ৪৮ রান। ৩১ বলে কারান এবং শাহরুখ ২৩ বলে ৪১ রান করেন। অল্প পুঁজির শঙ্কায় থাকা পাঞ্জাব নির্ধারিত ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৮৭ রান সংগ্রহ করে।

রাজস্থানের হয়ে ৪০ রানে তিনটি উইকেট নেন নবদীপ সৈনি। একটি করে নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট ও অ্যাডাম জাম্পা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাঞ্জাবকে বিদায় করে প্লে-অফের আশা বাঁচাল রাজস্থান

প্রকাশের সময় : ০২:০২:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

আইপিএলে প্লে-অফে যেতে বড় জয়ের সঙ্গে রান রেটের বিষয়টাও মাথায় রাখতো হতো রাজস্থান রয়্যালসের। একই বিষয় প্রযোজ্য ছিল প্রতিপক্ষ পাঞ্জাব কিংসের বেলাতেও। সেই জায়গায় ২ বল হাতে রেখে শুধু জয়টাকেই নিশ্চিত করতে পেরেছে রাজস্থান। ৪ উইকেটে জিতে পাঞ্জাবকে বিদায়ের পথ দেখিয়েছে তারা। তাতে প্লে-অফে যাওয়ার সম্ভাবনা টিকে থাকলেও এখন সেটা নিজেদের হাতে নেই।

প্লে-অফের জন্য তাদের রোববার (২১ মে) মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স-সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু-গুজরাট টাইটান্স ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। প্রার্থনায় থাকতে হবে মুম্বাই যেন হায়দরাবাদের কাছে হারে এবং বেঙ্গালুরু যেন কমপক্ষে ৬ রানে গুজরাটের কাছে পরাজয়ের স্বাদ নেয়।

পয়েন্ট টেবিলে ১৪ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে অবস্থান করছে রাজস্থান। এক ম্যাচ কম খেলা বেঙ্গালুরু ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তাদের ওপরে আছে। রাজস্থানের রানরেট ০.১৪৮। বেঙ্গালুরুর ০.১৮০। মুম্বাই ১৪ পয়েন্ট ও -০.১২৮ রান রেট অবস্থান করছে ছয় নম্বরে। তাদের হাতেও একটি ম্যাচ বাকি।

এমন জটিল সমীকরণের সামনে রাজস্থানকে পড়তে হতো না যদি ১৮৮ রানের লক্ষ্য তারা আরও আগেই টপকে যেত। কিন্তু সেটি হয়নি শুরুটা বাজে হওয়ায়। ১২ রানেই সাজঘরে ফিরেছেন জস বাটলার। তার পর হাল ধরেন দেবদূত পাডিক্কাল ও যশ্বসী জয়সওয়াল। দূজনেই ঝড়ো ব্যাটিংয়ে হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন। যোগ করেছেন ৭৩ রান। পাডিক্কাল ৩০ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫১ রান করেছেন। ম্যাচসেরাও তিনি। পাডিক্কালের বিদায়ের পর অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসনও (২) দ্রুত ফিরলে বিপদ বাড়ে রাজস্থানের। তার পর জয়সওয়াল-শিমরন হেটমায়ারের ঝড়ো জুটিই ইনিংস সামলেছে। দুজনের ৪৭ রানের জুটি ভাঙে জয়সওয়ালের বিদায়ে। এই ওপেনার ৩৬ বলে ৮ চারে ৫০ রান করেছেন। রায়ান পরাগ ১২ বলে ২০ রানের কার্যকরী ইনিংসে ফিরলেও রানরেটের কথা মাথায় রেখে খেলতে থাকেন হেটমায়ার। শেষ পর্যন্ত ২৮ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৬ রানে ফেরেন তিনি। ততক্ষণে শেষ ৬ বলে রাজস্থানের ৯ রান দরকার। সেই রান ১৯.৪ ওভারে ছক্কা মেরে টপকেছেন ধ্রুব জুরেল।

পাঞ্জাবের হয়ে ৪০ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন কাগিসো রাবাদা। একটি করে নিয়েছেন স্যাম কারান, আরশদীপ সিং, নাথান এলিস ও রাহুল চাহার।

শুক্রবার (১৯ মে) পাঞ্জাবের ধর্মশালায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিপদে পড়ে পাঞ্জাব কিংস। ট্রেন্ট বোল্টের বলে ওপেনার প্রভসিমরান সিং ফেরেন মাত্র ২ রান করে। উইকেট হারালেও রয়েসয়ে খেলার সুযোগ ছিল না শেখর ধাওয়ানদের। অথর্ব তাইদেকে সঙ্গী বানিয়ে ধাওয়ান বোলারদের ওপর চড়াও চেষ্টা করেন। তবে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি তিনি। ১২ বলে ১৭ রানে ধাওয়ান এবং তাইদে ফেরেন ১২ বলে ১৯ রান করে। জাম্পার বলে ধাওয়ান এবং নবদীপ সাইনি তাইদেকে ফিরিয়েছেন।

এরপর দলীয় ৪৬ ও ৫০ রানে আরও দুটি উইকেট হারায় পাঞ্জাব। যা তাদের বড় স্কোরের আশাকে মিইয়ে দিতে থাকে। তবে এরপরই ঘুরে দাঁড়ানো লড়াই শুরু প্রীতি জিনতার দলের। স্যাম কারান ও জিতেশ শর্মা ৬৪ রানের জুটি বাধেন। পরবর্তী জুটিতেও ছিলেন কারান। শাহরুখ খানের সঙ্গে তার জুটিটা আরও বড়। দুজনের ৭৩ রানের সেই হার না মানা বাধ পাঞ্জাবকে বড় সংগ্রহ এনে দেয়। জিতেশ ২৮ বলে ৪৪ রান করে ফিরলেও, কারান-শাহরুখ ছিলেন অপরাজিত। দুজনে মিলে শেষ দুই ওভারে তোলেন ৪৮ রান। ৩১ বলে কারান এবং শাহরুখ ২৩ বলে ৪১ রান করেন। অল্প পুঁজির শঙ্কায় থাকা পাঞ্জাব নির্ধারিত ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৮৭ রান সংগ্রহ করে।

রাজস্থানের হয়ে ৪০ রানে তিনটি উইকেট নেন নবদীপ সৈনি। একটি করে নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট ও অ্যাডাম জাম্পা।